আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাতদিনের মাঝে পেয়ে যাওয়া পাসপোর্টের সুখস্মৃতি আর বর্তমান

এখনই, নয়তো কখনই নয়...। উত্তরা পাসপোর্ট অফিসটা তখন সবে মাত্র কাজ শুরু করেছে। উত্তরার অনেকেই তখনও জানে না অফিসটার কার্যক্রম। ফরম পূরন করে জমা দেয়ার সাত দিনের মাথায় ফোনে এস এম এস আসলো যে আমার তৈরি হওয়া পাসপোর্ট গ্রহন করার জন্য। বেশ অবাক হয়েছিলাম।

ভেবেছিলাম একমাসের আগে পাবো না। এবার আমার মেয়েটার পাসপোর্টের পালা আসলো। বললো একমাস লাগবে। তারপরও আস্বস্ত আমি; কারন এখন এই উত্তরা অফিসে যেরকম ভীড়। কিন্তু ঠিক এক মাস পার হওয়ার পর এস এম এস আসে না।

এলোই না। এক মাস দুই সপ্তাহের মাথায় পাসপোর্ট অফিসে খোজ নিতে ওরা বললো যে ওরা পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পায়নি। ভেরিফিকেশনের জন্য যে পুলিশ অফিসার এসেছিলো ওনার সাথে যোগাযোগ করা হলো। একবার নয়, বেশ কয়েকবার; এই কারনে যে আমরা পুলিশের উপর গরপড়তা আস্হা খুব কমই রাখি। কিন্তু উনি শেষে বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই বললেন যে ওনার কাছে উত্তরা পাসপোর্ট অফিসের রিসিভ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টের কপি আছে।

এবার উত্তরা অফিস বললো যে সোনালী ব্যাংক যে ফি পরিশোধের যে লিস্ট দিয়েছে তাতে আমার মেয়ের নাম ভুল আছে। যে কারনে তারা পাসপোর্টের তথ্য আগারগায় প্রিন্টের জন্য পাঠাতে পারছে না। তারা আমাদের সেই লিস্টের কপি আর আমাদের পুরন করা ফরমের প্রথম পাতার কপিটা দিল। দেখেতো মাথাটা পুরাই গরম। প্রথমা পাতায় ইংলিশ ক্যাপিটাল লেটারে লেখা আমার মেয়ের নাম আরশিয়া আর সোনালী ব্যাংকের সেই লিস্টে লেখা আরুনিয়া।

যাই হোক সোনালী ব্যাংক উত্তরা শাখা থেকে সংশোধিত লিস্ট বের করে তাতে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে সেটা আবার পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলাম। এবার উত্তরা অফিস কনফার্ম করলো যে পাসপোর্টের তথ্য তারা আগারগায়ে পাঠিয়েছে। সেখানে সংস্লিষ্ট এক অফিসারকে বললাম আমার আগের অভিজ্ঞতার কথা। উনি তা শুনে আমাকে বললেন যে আগে উত্তরার পাসপোর্ট অফিসেই পাসপোর্ট প্রিন্ট হত যে জন্য উত্তরার মানুষ পাসপোর্ট পেত অনেক জলদি। এখন কেন্দ্রীয়ভাবে আগারগায়েই সব পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়।

বললাম, “ভালই ব্ল্যাংক মেশিন রিডেবল পাসপোর্টগুলো চুরি (বিক্রি) করাটাও এতে করে সুবিধাজনক হয়েছে, তাই না?” দেখলাম ঐ অফিসারটা মুখে অস্বস্তির হাসি। আরও একটা মেজাজ খারাপ করা তথ্য পেলাম। তা হলো এখনও ৩৭ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্টের অপেক্ষায় আছে। এতোগুলো পাসপোর্ট পেনডিং থাকার কারন হল তিনটি প্রিন্টিং মেশিনের দুটিই নষ্ট। আমরা বাংলাদেশিরা বানিজ্য খুব ভালই বুঝি।

বিশেষ করে সরকারি চাকরি করে বানিজ্য করা। বিনা পুজিঁতে এরকম বানিজ্য কি কেউ না করে থাকতে পারে? ব্ল্যাংক পাসপোর্ট বেচে বানিজ্য, প্রিন্টিং মেশিন মেরামত/নতুন মেশিন কেনার বানিজ্য, যাদের পাসপোর্ট ঐ ৩৭ হাজারের লিস্টে আছে তাদের সাথে বানিজ্য.......। আর কত? বলতে বলতে হাপিয়ে উঠি......। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।