আলম আবু-ধাবি থাকে বাড়ি নোয়াখালী অনেক থেকে জেকলিন নামের একটা মেয়েকে
ভালোবাসে । জেকলিন তাঁর ভাবির আপন খালাতো বোন । তাঁর বাড়ি ও নোয়াখালীতে । জেকলিন কলেজে পড়ে । দেশে দুইজন দুইজন কে দেখেনি ।
আলম বিদেশ আসার পরে মোঠোফোনে তাঁদের পরিচয় । এই পরিচয় এক সময় প্রেমে পরিনত হয় । দুইজন দুইজন কে ঢ়ের ভালবাসতে শুরু করে । প্রতি দিন তাঁদের ফোনে কথা হয় । এক দিন কথা না বলে থাকতে পারে না ।
শত ব্যস্ততার মাঝে দুইজন দুইজনকে ভালবাসা...র মায়াবী শব্দ উচ্চারণ করতে কখনো ভুল করেনি। আলম যেমন জেকলিন কে ছাড়া অন্য কোন কিছু ভাবতে পারে না । ঠিক তেমনি জেকলিন ও আলম বিহীন শূন্যতা অনুভব করে । কি যে ভালোবাসা দুইজনের মনের গভীরে । পৃথিবীতে এমন ভালোবাসা আজ-কাল ঠিক একটা দেখা যায় না ।
একটা প্রতীক্ষা দুইজনের হৃদয়ে প্রয়জনে সংসার ত্যাগ করবে,পৃথিবিকে বিদায় জানাবে। কিন্তু দুইজন দুইজনের হাত ছাড়বে না । যত কঠিন বাঁধা আসুক একসাথে মোকাবেলা করবে । দুইজনের মনে আনন্দের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে । কত স্বপ্ন ভালোবাসা ভরা উষ্ণ হৃদয়ে ।
স্বপ্নে বিভোর হয়ে , জেকলিন তাঁর পড়া-লেখা আরও ভালো ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে । জেকলিনের ভালোবাসা ভরা হৃদয় সারাক্ষণ ডানা মেলে উড়তে চায় । ভালোবাসার মানুষ কে কাছে পাওয়ার জন্য আনমনা হয়ে কি ভাবে । সে ছাড়া অন্য কারো বুঝার উপাই নাই । এই দিগে আলম জেকলিনের প্রেমে অন্ধ হয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছে না কর্মসংস্থানে ।
দুইজনের মন আজ মিলনের জন্য ব্যাকুল । দুইজন দুইজন কে পাওয়ার জন্য অধির আগ্রহে অস্থিরতার নীড়ে লগ্ন বিসর্জন দিচ্ছে । আলম ঠিক করলো অতি তারাতারি সে দেশে যাবে । মালিকের কাছে ছুটিও চেয়েছে । ঠিক এই সময় দুইজনের পরিবারের মধ্যে জানা-জানি হয়ে গেলো ।
জেকলিনের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্যই কোন বাঁধা আসেনি । কিন্তু আলমের পরিবার থেকে বাঁধা না এসে পারলো না । আলমে মা-বাবা , ভাই- বোন কেউই রাজি নয় । কি করা যায় আলম সারাক্ষণ ভাবতে লাগলো । ভালোবাসা বলে কথা ,মনের বিরদ্ধে তো আর কিছু করা যায় না ।
তাই আলম ঠিক করলো সে জেকলিন কে ছাড়া অন্য কাউকে জীবন সঙ্গি হিসেবে মেনে নেবে না। যত বাধাই আসুক জেকলিন কে তাঁর চাই । তাকে নিয়েই ভালবাসার সুখের নীড় গড়বে । আলমের ভাই তাঁর বউ কে শাসাতে লাগলো । তোমার কারনে আমার ভাই তোমার খালাতো বোন কে ভালোবাসে ।
আলমের ভাই আলমের প্রেমের কারনে তাঁর বউ কে তালাক দিবে বলে হুমকি দিল । আলম ও জেকলিন ভীষণ চিন্তিত । কি করা যায় ভেবে পাচ্ছে না । অবশেষে আলম সিদ্ধান্ত নিল সে তাঁর ভালবাসার অপমৃত্যু হতে দিবে না। তাঁর মনের মানুষ কে সে বিয়ে করবে ।
আলম ছুটি নিয়ে দেশে গেলো। ফোনে তাঁদের আলাপ হতে লাগলো । এই দিগে আলমের ভাই আলম কে বুঝাতে লাগলো যে, জেকলিন ভালো মেয়ে না। জেকলিন এর বিরদ্ধে অনেক খারাপ কথা বললো । মিথ্যা অভিযোগে আজ জেকলিন অপরাধি ।
কিন্তু কি অদ্ভুধ আলম সহজে তা সত্যি মনে করলো । তাঁর এত দিনে ভালবাসার মানুষের বিরদ্ধে অসত্য কথা বলল,অথচ সে একবারের জন্যও তাকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করেনি । মনের মানুষের জন্য তাঁর মন কাদেনি । এই দিগে জেকলিনের খালাতো বোন জেকলিনের কাছে তাঁর সংসার ভিক্ষে চাচ্ছে । এক দিগে আলম তাকে অবিশ্বাস করতেছে অন্য দিগে তাঁর খালাতো বোনের সাজানো সংসার ।
জেকলিন এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না । সারারাত নির্ঘুম কেটে গেলো জেকলিনের । দু চোখের অশ্রু অনবরত বয়ে যাচ্ছে । মন কে মানাতে বা বুঝাতে পারছে না । অবশেষে নিজের মন কে পাথর করে নিয়তি কে মেনে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তে অবনিত হল ।
জেকলিন নিজের ভালোবাসার মানুষ কে সুখি দেখার জন্য নিজে কে আড়াল করলো । বিসর্জন দিল তাঁর সাজানো একমোঠো স্বপ্ন কে । নিজের মোঠোফোন বন্ধ করে দিল । কিছু দিন পরে জেকলিনের এইচ এস সি পরীক্ষা ,সে লেখা-পড়া মন দিতে শুরু করলো । আলম কি ভেবে এক দিন কল দিল ।
কল দিয়ে দেখল জেকলিনের ফোনে বন্ধ । আলম আরো বেশি বিশ্বাস করতে লাগলো তাঁর ভাইর সাজানো মিথ্যা কথা গুলু । আলম তাঁর পছন্দ মতে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করলো । আর জেকলিন নিজের কষ্ট কে বুকে চেপে অঝধারা কাঁদলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।