(ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা। ভুলত্রুটি হলে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। )
আসসালামু আলায়কুম।
কাল বাংলাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বহু প্রত্যাশিত ঈদ-উল-ফিতর। "ঈদ" তা ধনী গরিব সকলের জন্যে।
ঈদ-উল-ফিতর এর আলাদা এক তাৎপর্য আছে। ঈদ আমাদের আত্মত্যাগ শেখায়। ধনী ও গরিব এর মাঝে ব্যবধান ঘুচানোর জন্যে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ফিতরা এবং যাকাত প্রদানের মাধ্যমেই সেটা সম্ভব। কিন্তু, আসলেই কি আমরা ঠিকভাবে যাকাত দিচ্ছি?
একটু আগে এনটিভি তে খবর দেখছিলাম।
লেডিস এন্ড জেন্টস পার্লার গুলোতে ছোট-বড় সবাই ব্যস্ত কিভাবে নিজেকে আরও বেশি আকর্ষণীয় আর স্মার্ট করা যায় তা নিয়ে। বলা বাহুল্য এসব পার্লারে প্রবেশ করা নিম্নবিত্ত (গরিব) মানুষের সপ্নেও সম্ভব না। এইতো সেদিন পত্রিকায় দেখলাম; সন্তানদের ঈদ-এ নতুন জামাকাপড় এর দাবি মেটাতে না পেরে এক দিনমজুর তার ২ সন্তানকে পদ্মায় ফেলে দিলেন!
আমরা অনেকে অযথা অনেক টাকা-পইসা এদিক সেদিক খরচ করি। কয়জন-ই বা ভাবি এসব গরিব মানুষদের কথা? অথচ পুরোপুরি না হোক, হোক না তা যৎসামান্য; আমাদের অল্প একটু সাহায্য কি পারে না তাদের মুখে একটু হাসি ফুটাতে?
খুব-ই আশার খবর হল ফেসবুক-এর কিছু পেজ-এর এডমিন এগিয়ে এসেছে এ কাজে। তারা পথশিশু এবং বৃদ্ধদের মাঝে নতুন কাপড় তুলে দিয়েছে।
আমি স্বাগত জানায় সেই সব ভাইবোনদের। তবে আমাদের মিডিয়া কতটুকু তুলে ধরছে সেইসব অসহায় মানুষদের করুণ কাহিনী। তারাও কি পারে না কিছুটা এগিয়ে আসতে? নাকি এতে তাদের প্রেস্টিস চলে যাবে? আর সেজন্যেই কি স্ট্যাটাস বজায় রাখতে শুধু উচ্চবিত্তদের কার্যকলাপ (যেটা বাধ্যতামূলক নয়) দেখাতে হবে?
সবার প্রতি অনুরোধ, আমাদের আশেপাশের গরিব মানুষদের কথা ভুলে যাবেন না। তারাও এই সমাজেরই অংশ। আমরা সবাই মিলেই পারি এই সমাজের ধনি-গরিব এর ব্যবধান কমাতে।
সবাইকে ঈদ-এর প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেয।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।