আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার বছর হলেই সন্তানকে সাতাঁর শিখান

মানুষ হিসেবে মাথা উচুঁ করে থাকতে চাই। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী, খাল, পুকুর, দিঘী, জলাশয় সারা দেশে জালের মত ছড়িয়ে আছে। প্রতি বছর বহু শিশু এমনকি মাঝে মাঝে বয়স্কদের ও পানিতে ডুবে মারা যাবার খবর শোনা যায়। যারা গ্রামে বাস করে তারা বলতে গেলে প্রাকৃতিক ভাবেই সময়মত সাতাঁর শিখে ফেলে। তবে অনেক অভিভাবকের অলসতার কারণে বাচ্চার সময়মত সাতাঁর না শেখানোয় বিপদ ঘটতে দেখা যায়।

আর যারা শহরে থাকেন সমস্যা মূলত: তাদের নিয়ে। শহরে যান্ত্রিকতার মধ্য থেকে সময় বের করে সন্তানদের সাতাঁর শেখানোকে অনেক অভিভাবকই তেমন গুরুত্ব দেননা। তাদের জন্য এখনই সুযোগ। আপনার সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যত চিন্তার পাশাপাশি তার বেঁচে থাকার নিশ্চয়তামূলক প্রতিকার ও আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। যারা এই ঈদে গ্রামে যাবেন বা গেছেন তারা গ্রাম্য পরিবেশে সন্তানকে সাতাঁর শিখাতে পারেন।

এ জন্য সর্বপ্রথম যা দরকার তা হলো আপনার ইচ্ছাশক্তি। আপনার ইচ্ছাশক্তি প্রখর হলে ২/৩ বা ৪ দিনই আপনার সন্তানের সাতাঁর শেখার জন্য যথেষ্ট। তবে মনে রাখবেন বেশিক্ষন পানিতে থাকলে আবার যেন অসুখ বাধিঁয়ে না বসে। আর যারা শহরে আছেন তাদের জন্য ও এখন মস্ত বড় সুযোগ। শহরে এখন মানুষের চাপ কম থাকায় আপনার নিকটস্ত পুকুর, দিঘী, খাল বা নদীতে গিয়ে ঝামেলাহীন ভাবে সাতাঁর শিখাতে পারেন।

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপনি নিজে ভালভাবে সাতাঁর জানেনতো ? নিজে ভালোভাবে না জেনে শিখাতে যাবেননা, তাতে বিপদ হওয়া স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুইমিং পূলে যেতে পারেন। হোটেল রূপসি বাংলা, ধানমন্ডি লেক সুইমিং ক্লাবের মত অনেক স্থানেই আপনি ২/৩ হাজার টাকায় জনপ্রতি সাতাঁর শিখতে পারবেন। সাতাঁর শিখাতে পূর্বেই সন্তানকে পানির ভয় কমাতে মানষিকভাবে তৈরি করে নিন। এছাড়া ও যা প্রয়োজন: ১।

সন্তানের ওজন অনুযায়ী সঠিক মাপের লাইফ জ্যাকেট। পাবেন তাবু বা নৌ সামগ্রি বিক্রি কারক দোকান সমূহে। গুলিস্তান বা পল্টনে এমন দোকান আছে অনেক। ২। যেখানে জ্যাকেট কেনা সম্ভব নয়, সেখানে স্থানীয় রেডক্রোস কেন্দ্র বা কর্মিদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

৩। যেখানে তা সম্ভব নয়, সেখানে নৌযানের বয়ার সাহায্য নিতে পারেন। ৪। যেখানে তা ও সম্ভব নয়, সেখানে বাজার থেকে জেলেরা জালে যে বলের মত ফ্লো ব্যবহার করে তা ২টি কিনে নিন অথবা মাঝারি মাপের ২টি প্লাস্টিক পট ব্যাবহার করুন। ৫।

আর যদি উপরের কোনটিই সংগ্রহ করা সম্ভব না হয় তা হলে ২টি বড় সাইজের শুকনা নারিকেল অল্প ছোলা তুলে বেধেঁ নিন। অথবা বড় গামছার দুই প্রান্তে শক্ত করে বেধেঁ নিন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।