বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চেয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। রানা প্লাজা ধ্বসের পর তিনি নিজের ব্যাংকের উদ্দ্যোগে বিদেশী ক্রেতাদের সহযোগিতায় গঠন করতে চেয়েছেন একটি আন্তর্জাতিক তহবিল। তহবিলের অর্থ দিয়ে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি রাখতে চান বিশেষ ভূমিকা।
অপরদিকে সুচিকে রাজনীতির হাতিয়ার করে নিজ দেশে পোশাক শিল্পের বিস্তারে কাজ করছে মিয়ানমার। মিয়ানমার সরকার সুচিকে বন্দী দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে এবং রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে।
জান্তা সরকারের এই কাজ বিদেশীদের প্রতি সে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর এক বার্তা। আর এই সুযোগকে মিয়ানমার দেখছে তৈরি পোশাক শিল্পের বিস্তার লাভের মোক্ষম সুযোগ হিসেবে। এই কাজে লবিস্ট নিয়োগ করে মিয়ানমার তাদের কাজ করে চলেছে সুচারুরুপে। যেখানে ড. ইউনূস তার তহবিল নিয়ে আর কোন কথাই বলেন নি। মিয়ানমারের ভূমিকা পড়তে ঘুরে আসুন... http://www.notun-din.com/?p=3225
সংবাদসূত্রে জানা গেছে, তৈরীপোশাক রপ্তানীতে বার্মা বর্তমানে পিছিয়ে পড়লেও দেশটির রয়েছে সফলতার ইতিহাস।
বার্মায় গার্মেন্টস শিল্পের সূত্রপাত হয় নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯৭ সালে পোশাক রপ্তানী থেকে বার্মার আয় ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার। ২০০১ সালে পোশাক রপ্তানী থেকে দেশটির আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০ মিলিয়ন ডলারে।
কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় ২০০১ সালের পর বার্মার রপ্তানী আয় কমে গেলেও আবারো চলতে শুরু করেছে বার্মার পোশাকশিল্প। ২০১২ সালে তাদের আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬০ মিলিয়ন ডলারে।
বার্মার গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এসোসিয়েশন মনে করছে ২০১৩ সালে তাদের আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১ বিলিয়ন ডলারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।