....,....... কিছু কথা : এই গল্পের সব গুলো চরিত্রই কাল্পনিক। জীবিত, মৃত অথবা হাসপাতালে থাকা কোন ব্যাক্তির জীবনীর সাথে মিলে গেলে তা সম্পূর্ণ দোয়েল তালীয়। এতে আমার করার কিছু নাই।
——————————————
আজ বিকেলটা লেমন এর কাছে খুব ভালো লাগছে। সূর্য আর মেঘের লুকোচুরি খেলা, তার সাথে বিশাল আকাশের হারনামানা হুংকার।
সব মিলিয়ে কেমন যেন এক মোহ সৃষ্টি করা পরিস্থিতি। লেমন তার ভাবনার নীল আকাশে খুব মজার সাথে বিষয় গুলো উপভোগ করছে। হঠাৎ তার মায়ের ডাকে তার ভাবনার আকাশে ব্রজপাত ঘটলো। একটু বিরক্ত মনোভাব নিয়ে মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে নিচে নেমে আসে লেমন। লেমন কে দেখতে পেয়েই তার মা বলতে লাগলো "রোহান ফোন করছিলো তোকে কাম্পাসে যেতে বলল " রোহান এর কথা শুনেই লেমন কেমন যেন এক অসস্তিতে পড়ল।
কথা শুনেই সে তার রুমে চলে যায়। জানালার দিকে তাকিয়ে কি যেন একটা ভাবছে। সামান্য সময়ে বৃষ্টি শেষ। আকাশ পরিস্কার। একটু পর সে কাম্পাসের উদ্দেশ্য বাসা ছাড়ে।
কাম্পাসের এক নির্দিষ্ট গাছের নিচে বসে তার বন্ধুরা। সবাই অনেক মজা করছে। লেমন ও তাদের সাথে যোগ দিল। জরুরি আলাপ শেষ হল এখন আড্ডা দেয়ার পালা।
লেমন বেশ অসস্তিতে ভুগছে এখন।
তার সব বন্ধুরা আকাশে ধোঁয়া উড়াচ্ছে। শুধু লেমন ছাড়া। তার বুন্ধুদের মধ্যে থেকে আরিফ বলল " কি রে লেমন আর কত দিন মেয়েদের মত ঠোঁট লাল করে রাখবি? এখন একটু পুরুষ হ "
লেমনের যেন অসস্তি বেরেই চলছে। কিছু পর রোহান তার পাশে বসল। আবারো সেই পুরাতন স্টাইলে অপমান।
(যা প্রায় ২/৩ বছর ধরে করে আসছে) রোহান সিগারেট লেমন এর হাতে দিয়ে বলে " নে দুই এক টান দে কিছু হবে না "
লেমন বাধ্য হয়ে সিগারেট টানে।
পরে নাকি সিগারেটে বেশ মজা লাগে লেমনের।
কয়েক মাস, পরের কথা। লেমনের ঠোঁট মেয়েদের মত আর লাল না। লেমন এখন আর ছোট নেই এখন সে বড়।
লেমন তার মা কে ভিষণ ভালবাসে। তার মা লেমন কে তার চেয়ে বেশী ভালোবাসে।
এখন তার মায়ের কাছে লেমন কে অদ্ভুত দেখাই।
তার মা লেমন কে এই বদলে যাওয়া লেমন এর মাঝে খুজে বেরাই। যতই. খোঁজে ততই হতাশ হয়ে ফিরে আসে।
এক সময় লেমন এর কান্সার ধরা পড়ে। লেমন এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
((গল্পটা আধুনিক))
:
;
;
:
লেমন চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে তার মায়ের কোলে। সন্তান কে কাচে পেয়ে আবেগে আপ্লুত তার মা। আর জীবনে সিগারেটের ভয়বহতার সাক্ষী লেমন আর সিগারেট খাই না।
কিন্তু সিগারেটের মোহ তার বন্ধুদের এখনো কেউ ছাড়তে পারে নি।
ধুমপানের কারণে তার বন্ধু রোহান আর বাঁচতে পারে না। সে মারা যায়।
(মধ্য থেকে লেখাগুলো অগুছালো কারন ...থাক কারন টা আমার কাছেই থাক)
"ধুমপানকে না বলুন "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।