আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

●|● একটি সাধারন প্রশ্নঃ "যদি পবিত্র রমজান মাসে শয়তানকে বন্দী করেই রাখা হয়, তাহলে তবুও কিছু মানুষ কেনো রমজান মাসেও গুনাহ-পাপ কাজে লিপ্ত থাকে ??? "

সুখ সেতো অধরা; ভালো করেই জানি, মর্ত্যলোকে ঘুড়ে বেড়াই আমি অভিমানী। মানুষের সব থেকে বড় শত্রু হলো 'শয়তান' এবং তার 'নফস'। কিছু কিছু বুজুর্গের মতে নফসই বড় শত্রু। কারন শয়তানের কাজ শুধু নফসকে জাগ্রত করে দেয়া এবং পাপের পথে উৎসাহিত করা। এরপর মানুষ যদি তার নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে; শুধু মাত্র তখনই সে পাপ কাজে লিপ্ত হয়।

'নফস' হলো 'মনের কুপ্রবৃত্তি, মনের বাজে খায়েশ'। যা ক্ষণে ক্ষণে মানুষের মনে ভর করে। মানুষ যদি ঈমানদার হয়, সৎ হয় এবং মনে আল্লাহ্‌র উপর পূর্ণ বিশ্বাস, আল্লাহ্‌ ভীতি ধারন করে তবেই সে তার এই কুপ্রবৃত্তির উপর জয় লাভ করতে পারে নচেৎ নয়। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ''নফসের সাথে জিহাদই বড় জিহাদ। '' গুনাহ-পাপ কাজ যদিও শয়তানের ধোকার কারনে হয়ে থাকে কিন্তু দীর্ঘ এক বছর ধরে মানুষ যদি শয়তানের সাথে মেলামেশায় এবং শয়তানের ধোকায় কোনো পাপের চর্চা করে আসে তবে এই মেলামেশা এবং তার বিষক্রিয়া ছড়িয়ে যাওয়ার কারনে নফসের সম্পর্ক শয়তানের সাথে এমন ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় যে , এখন কিছুদিনের জন্য আর শয়তানের অনুপস্থিতি অনুভুত হয় না, বরং শয়তানি খেয়াল স্বভাবে পরিনিত হয়ে যায় এবং তা অভ্যাসে পরিনত হয়।

তাই দেখা যায় রমজান ছাড়া অন্য সময় যাদের দ্বারা গুনাহের কাজ বেশী হয় রমজান মাসেও তাদের দ্বারাই বেশী হয়। আর নফস যেহেতু সর্বদা মানুষের সাথেই থাকে তাই তার প্রভাবও সর্বদা থাকে। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ''মানুষ যখন কোনো গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়িয়া যায়। ইহার পর যদি সে খাটি তওবা করে তবে ঐ দাগ দুর হইয়া যায়, নয়তো উহা লাগিয়াই থাকে। পুনরায় যদি গুনাহ করে তবে অনুরুপ আরেকটি দাগ পরিয়া যায়।

এইভাবে দাগ পড়িতে পড়িতে তাহার অন্তর সম্পূর্ণ কালো হইয়া যায়। অতঃপর ভালো কথা তাহার অন্তরে স্থান পায় না। '' অর্থাৎ, রমজান ছাড়া অন্য সময় যদি মানুষ অতিরিক্ত গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে তবে তাদের অন্তর গুনাহের কাজে এমন ভাবে অভ্যস্ত হয়ে যায় যে, রমজান আসার পর আর শয়তানের প্রয়োজন হয় না, নিজেই শয়তান হয়ে যায় এবং অভ্যাসবশত নফসের খায়েশ মেটাতে গুনাহ চলতেই থাকে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।