আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেল করা শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫

দিনাজপুর বোর্ডে ৩১০২০৬ রোলধারী শিক্ষার্থী ২৩৭ ও ২৩৮ কোড সাবজেক্ট কোর্সে ফেল করেছিল। ওই শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে বোর্ডে আবেদন করেন। পুনঃনিরীক্ষায় দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থী দুটো কোর্সেই পেয়েছেন জিপিএ-৫। শেষ পর্যন্ত তিনি পেয়ে যান জিপিএ-৫। ১৮ই জুলাই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

ওই শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে বোর্ডে আবেদন করেন। মঙ্গলবার পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে ওই শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। সব বোর্ডের ফলেই পাহাড় সমান ভুল ধরা পড়েছে। প্রথম প্রকাশিত ফলে ফেল করেছিল এমন শিক্ষার্থীরও ভাল জিপিএ পেয়েছে। ঢাকা বোর্ডের এক শিক্ষার্থীর বাংলা দ্বিতীয়পত্রের খাতায় দেখা যায়, প্রথম ফলে তিনি পেয়েছেন ৪৯।

কিন্তু পুনঃনিরীক্ষায় দেখা যায়, তিনি পেয়েছেন ৭৮। পরীক্ষক ২৯ নম্বর যোগ না করেই বৃত্ত ভরাট করেন। ঢাকা বোর্ডের অধীন ১৫৭০৯৯ রোলধারী শিক্ষার্থী চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফলে ফেল করেছিল। পুনঃনিরীক্ষায় দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থী পেয়েছেন জিপিএ- ৪.৭৫। পুনঃনিরীক্ষায় শুধু ঢাকা বোর্ডেই ২৫৬ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।

এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ৩০ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন। পুনঃনিরীক্ষার ফলে সব বোর্ডেই ফেল করা অনেক শিক্ষার্থী যেমন পাস করেছেন তেমনি নতুন করে অনেকে পেয়েছেন জিপিএ-৫। যার দরুন পাসের হার ও মোট জিপিএ-৫ দু’টোই বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা বোর্ডে ১৪ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন।

রাজশাহী বোর্ডে ১০০ জনের ফল উন্নতি হয়েছে। এ বোর্ডে ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন ৭ হাজার ৩৩৩ জন। যশোর বোর্ডে ১১১ জনের ফল উন্নতি হয়েছে। এ বোর্ডে ৩৩ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন। মাদরাসা বোর্ডে ৯১ জনের ফল উন্নতি হয়েছে।

এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ৮ জন। এছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ জন। কুমিল্লা বোর্ডে ১৫৫৬৫০ রোলধারী শিক্ষার্থী একটি কোর্সে ফেল করেছিলেন। অথচ ওই কোর্সে তিনি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কুমিল্লা বোর্ডে ২৩ জনের ফল উন্নতি হয়েছে।

এরমধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন পাঁচ জন। দিনাজপুর বোর্ডে মোট ৫৫ জনের ফল উন্নতি হয়েছে। এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ১১ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ জন। বরিশাল বোর্ডে ২৬ জনের ফল উন্নতি হয়েছে।

নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ জন। সিলেট বোর্ডে ১৩ জনের ফল উন্নতি হয়েছে। এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ১ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯৯ জনের ফল উন্নতি হয়েছে।

এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ২২ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ জন। এ বোর্ডে আবেদন পড়েছিল ১৬ হাজার ৮১৪টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, পরীক্ষকদের উত্তরপত্র জমা দেয়ার জন্য যে সময় বেঁধে দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। আবার অনেক পরীক্ষক বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় ছাত্রদের দিয়ে বা আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে।

যাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। ফলে উত্তরপত্রে ভুল হয়ে থাকে। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্রে এমন ভুল হয়েছে যেটা কখনোই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, বেশির ভাগ ভুলই হয়েছে মেজর। পরীক্ষকদের শুধু বরখাস্ত করলেই শাস্তি হবে না।

অনেক উত্তরপত্রে অবহেলা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা বারবার প্রধান পরীক্ষক ও সহযোগী পরীক্ষকদের সতর্ক করেছি। তারপরও তারা সচেতন হননি। রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এইচএম হুরায়রা বলেন, যাদের উত্তরপত্রে বড় ধরনের ভুল হয়েছে তাদের দুই বছর কোন উত্তরপত্র দেয়া হবে না।

এছাড়া পরীক্ষকদের ডেকে কারণ জিজ্ঞাসা করা হবে। সূত্র:View this link ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।