আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসে বসে আকাশের তারাই গুনি

বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility গতকাল থেকে মাথা একটু হলেও ঘুর ঘুর করছিল । চাপের উপর ছুটি দিয়েছিল, ম্যাক্সিমাম ছাটাই চলছিল । ছাটাই এ মাথা ব্যথা নাই তবে ছুটিতে ছিল । পরে কথা হল, বোঝা পড়াতে আসার পর , অক্টোবর নভেম্বর এ ছুটির একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এমডির সাথে । তবে পেইড অবশ্যই ।

যদিও ডাবল পেমেন্ট করবে তারা কিন্তু সময়টা তারা ৩ সপ্তাহ দিয়েছিল আমি ৫ সপ্তাহ বলেছিলাম সমঝোতায় ৬ সপ্তাহ বের হয়ে গেল ! মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ! খুশিও হলাম না দু:খও পেলাম না । আমার ছুটি নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না । কারন মন ফ্রি থাকলে নানান ঝামেলা উড়ে এসে জুড়ে বসে । ব্যস্ততাকে ভালবাসি তাই কাজ আমায় ছাড়ে না... ছাড়ে না । এখন চিন্তা করে দেখছি আমার বিজ্ঞানী হওয়া দরকার ছিল ।

আমি কখনো কল্পনা করি নাই এই আমি এরকম প্রত্যয়ী হব । একাগ্রতা কোন কাজে আমার পূর্ব জীবনে বা শৈশবকালে কখনই ছিল না । থাকলে আজ আমার জীবন অন্য রকমই হত । ধন্যবাদ আল্লাহকে দেরীতে হলেও পেয়েছি , বড় কথা পেয়েছি । জিনিসটা খারাপ কি ভাল জানি না ।

তবে এটা জরুরী সবার জন্যই । মোবাইল বা পেডের বা কম্পুর এফ বি ম্যাসেজ বা কল বা এসএমএস বা নোটিফিকেশন কিছুই যেন আমাকে বিচলিত করে না ! কিন্তু আমি পাথর নই পুরোপুরি, আমি গেইম খেলতে পছন্দ করি । কম্পুর রিভিউ , ম্যাগাজিন পড়লে ভাল লাগে । বাবা মা অসুস্থ । মা তার নিজের কর্ম গুনে অসুস্থ অথার্ত সুষম খাদ্যের অভাবে, ঠিকমত ঘুম ইত্যাদি যারা নিজের জীবনকে বুঝিয়ে চলতে পারে না ।

কিন্তু আব্বা সঠিক আহার গ্রহন করে এবং আমাদেরকেও শাক সবজি ফলমূল খাদ্য গ্রহন এ আগ্রহী করার চেষ্টা করেছিলেন যা আমরা কেউই হতে পারি নাই । তবে হ্যাঁ তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি তবে দেরীতে কিন্তু তাও পেরেছি । অন্য ভাই বোনরা হয়ত বুঝে নাই । বুঝবেও না । তাদের ঠিকানা মাসে মাসে ডাক্তার ।

আফসোস আমার ডাক্তার প্রায় বিনামূল্যে আর তাদের জন্য মোটা মোটা টাকা গুনতে হয় । আজ সকালে ডাক্তার এর কাছে ফুল বডি চেকআপ এ গিয়েছিলাম । মোটামোটি বাধ্যতামূলক বছর এ ১ বার করা । এই দিক দিয়ে বাবা বেচে গিয়েছে । বাবা যদি আর্মির চিকিতসা সুবিধা না পেত তাহলে আম্মাকে সিভিল ডাক্তার এর কাছে নিতে নিতে ... সম্পদ উজাড় করতে হত ।

আম্মাকে বুঝাই । কিন্তু পারি না । বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই আজ সুস্থ্য নয়, কিন্তু বয়স্ক এই মানুষটির জন্ম ১৯৩০ সালে ! তার বাধর্ক্য নামক রোগটিকে কি থামানো যায় না ? আমি চাই সে সব সময় থাকুক । বাবাকে খুব ভালবাসি তাই বলে না, কিন্তু বাসি । আমি টান অনুভূতি পাই ।

অসম্ভব রকম বই পুস্তকের ভাষায় ভালবাসি তাকে বলব না । আমি মনে হয় নিজেকেই ভালবাসি সম্ভবত। তবুও তাকে তারানোর ভয় মনে আসে । তখন নিজের স্মৃতি গুলি ভেসে উঠে । আমি চাইনা কাছের কেউ হারিয়ে যাক ।

যদিও সবাইকেই হারিয়েই যেতে হবে । সম্ভবত আমি একা হয়ে যাব তারা না থাকলে । আমি ভাই বোনকে খুব বেশী আপন হিসেবে কাউন্ট করি না । করতাম, কিন্তু এখন আর নয় । তাদের নিজেদের ভুবন আছে ।

তাই বাবা মা ই আমার সব । একটা সময় ছিল এই টান টা অনুভব করতাম না কিন্তু এখন করি । আমার ক্ষুদা লাগলে যদি বলি আমার জন্য রান্না করতে, মা বাবা যে কেউই করে দিবে কিন্তু তারা বলবে না এখন না পরে, কিন্তু ভাই বা বোন বা অন্য কোন মানুষ বা হোক সে স্ত্রী তারা তাদের অবস্থা বা সময় অনুযায়ী উত্তর দিবে । কিন্তু আমি যেন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছি । আমি কিভাবে হয়েছি তা নিজেরও খেয়াল নাই, হয়ত আমি এখন মা বাবাকে কোন কিছুর জন্য বলতে পারব না, আমি উল্টা নিজেই চেষ্টা করব খাবারটা রান্না করে দিতে বা যতটুকু পারি দ্রুত সাহায্য করব ।

আমার বিবেক কেন জানি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, বা কিভাবে হয়েছে জানি না । আমি রিকশাওয়ালাকে কখনো তুই বলতে পারি না, তুমি বলতে গেলেও মুখে বেজে উঠে । আপনিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি । তবে খেয়াল করেছি যে ভাল ব্যবহার থেকে খারাপ ব্যবহার করলে তারা সব কিছু মেনে নেয় ! নৈমেত্তিক ভাড়া তারা কখনই চায় না, পুরাই বাজারের দড়াদড়ি মন হয় ! যখন কেউ চায় ভাল লাগে, না চাইলে হাটাকেই আমি প্রিফার করব, তবে সময় এর বাজেট আমার মধ্যে সর্বদা কাজ করে , যদিও সব সময় একে কাজে লাগাতে অনীহা লাগে । এইগুলির অভিজ্ঞতা নিয়ে কোন দিন লেখব, আজ নয় ।

বৃষ্টির সময় দ্বিগুন ভাড়া দিতেও আমার আপত্তি নাই । ব্যাপারটা ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারছি না হয়ত । আমি শ্রমের প্রাপ‌্য অনুযায়ী মূল্য বুঝি । এটা সিএনজি বাস সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । যাই, বাবা এই বয়সেও রিক্সা কম হেটেই বাসায় আসেন ।

সে চাইলে জীবনে অনেক অনেক কিছু করতে পারত । বসুন্ধরা যমুনা গ্রুপ আমাদের থাকা আমি অবাক হতাম না । অবাক এটাতেই হই, তার কিছু নাই বলার মত । হুম সম্মান আছে, সে চোর নয় । চোর কথাটা মানায় এই পোষ্টে তবুও বললাম এই কারনে একজন নন অফিসার এর এত সম্পত্তি থাকতে পারে তাহলে অফিসার এর না থাকার কি হল ! তাও আবার দীর্ঘ সার্ভিস সময় ।

লেট বাই গন বি বাই গন.... সামনের চিন্তা করলে সবাইকে নিয়েই চিন্তা করি । আমি ফোন করলে পুরো আধা ঘন্টাই বুঝাই খাদ্যভাস, এটা করেন, সেটা করবেন না । কারন খাদ্যই একমাত্র বুলশিট যা দুনিয়ার সিংহভাগ মানুষকে রোগের দিকে টানে । সে পয়সা হওয়ালা,গিক পারসন বা ডাক্তারই হোক না কেন । কে শুনে কার কথা, যে যার মত চলে ।

দুনিয়াতে আসছি... কাজ করছি খাচ্ছি দাচ্ছি.. নামাজ পড়ছি, আল্লাহ ভরসা ! তাহলে বলব ডাক্তার এর কাছে যাওয়ার দরকার নাই, আমার সাথে বলেন আল্লাহু আকবার, আল্লাহ ভরসা ! কিন্তু কিসের কি ... আল্লাহ ডাকতে ডাকতে ডাক্তার এর কাছেই যায় ! আমার বোনের একটি হাত অবশ হবার পথে.. মানে যে অবস্থা তা ১০ বছরেই রোগ তার লক্ষ্যে মানে অবশ করে দিবে ! না হলেও অনেক ভোগান্তি দিবে । অনেক বুঝিয়েছি কাজ হয় নাই । আমি আছি এখানে... আমাকে বুঝানের তো আমিই কাছে । নিজে যদে কামবেক করতে পারি সে পারব না কেন ? হার্ট ডিজিস তার কি একলাই ! ব্লাড প্রেশার, কোলেস্ট্রল,হ্দরোগ,গাউট,ডায়াবেটিস, আনবিক বিকরনজনিত রোগ যদি নিয়ন্ত্রনে আনতে পারি তারা কেন পারবে না ? বুঝলাম আমার বয়স তাদের তুলনায় কম কিন্তু রোগ কম ছিল না । মনোবলই তো মানুষ হারিয়ে ফেলে ! সেটা আমি হারাই নাই ।

আমি সাধারন রোগের কাছে হারতে চাই না । মরলে শহীদ বাচলে গাজী টাইপের চিন্তা ভাবনা , হাহাহাহাহ । আমি মৃত্যুর একটা অদম্য ইচ্ছা বা ফরিয়াদ বিধাতার কাছে আমি যেন কাউকে সহযোগীতা করে যেতে পারি । যদি মৃত্যুকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নাই থাকে কাউকে উপকার করে গেলাম । অন্তত কাপুরুষতার মৃত্যু আমার ইচ্ছা নাই ।

৭৮ টু ৬১ কিলো! ম্যাসিভ উমপ্রুভমেন্ট । আজ চেকআপ টারমিন ছিল । গিয়েছিলাম রক্ত সহ.. আরও অনেক কিছুর স্যাম্পল নিল । রিপোর্ট পাব আগামী সপ্তাহে ... ভাল কিছুর না হলেও খারাপ কিছুর আশা করছি না । আপাতত নিজেকে সুপার হিউম্যান না হলেও ডাবল এনার্জীর ভিতর আছি ।

কুরবানীর সময় বিসমিল্লাহ বলে কিলোর পর কিলো গোস্ত হজম যদি মনে করে থাকেন কিচ্ছু হবে না (পরিমিত ওয়ার্কআউট ব্যতীত), গোরস্থান এর ঠিকানা অগ্রীম বা ডাক্তার এর ঠিকানা দেওয়া যেতে পারে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।