আমি কখনো যায়নি জলে,কখনো ভাসিনি নীলে,কখনো রাখিনি চোখ ডানা মেলা গাঙচিলে আমার আজকের পোস্ট টা বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে ,যা লিখছি আমি নিজেও বিশ্বাস করিনা ,লিখছি এই আশায় যদি কেউ সঠিক ব্যাক্ষা দিতে পারেন।
এখনও মানুষ অবিরাম ছুটে চলছে অমরত্বের পিছনে কিন্তু আসলেই কি কেউ কেউ জানে এর রহস্য? কারো কাছে কি ধরা পরেছে?কেউ কি জানে এ সমন্ধে? কথিত আছে-লোকমান হেকিম মতান্তরে হযরত লোকমান (রাঃ) -যার নামে হেকিমি শাস্ত্রের উদ্ভাবন। তিনি গাছ -গাছালির কথা বুঝতে পারতেন জানতেন তাদের গুনাবলী সম্পর্কে । অনেকেই হয়ত এ ঘটনা জেনে থাকবেন..........। তিনি যখন বনের মাঝ দিয়ে হেটে যেত তখন সকল গাছই তাকে মাথা নুইয়ে সালাম জানাত একমাত্র হরতকী গাছই মাথা নত করত না ।
তিনি হরতকী গাছ কে প্রশ্ন করায় সে গাছ জবাব দেয় যে হে মরনশীল মানুষ আমি তোমার কাছে মাথা নত করবো কেন? আমার কাছে আছে তোমাকে অমর করার ঔষধ। হরতকীর পাকা ফলের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই অমরত্বের চাবিকাঠি। তখন লোকমান হেকিম বা মতান্তরে হযরত লোকমান (আঃ) সেই গাছ কে অভিশাপ দেয় যে। যে গাছের পাকা ফলের এত অহংকার সে গাছের ফল আর পাকবেই না । একমাত্র হরতকী গাছের ফলই কাচা অবস্হা থেকে সরাসরি শুকিয়ে যায় ।
সে গাছের ফল পাকেনা । এটা রুপকথা বলতে পারেন বা কথার কথা বা লোকমুখে প্রচলিত গল্প। আমিও তাই মানি কিন্তু সমস্যাটা হলো অন্য কোন গাছ নিয়ে বা অমরত্ব নিয়ে এমন কোন গল্প আর চালু নেই কেন?
আবার আসহাবে কাহাফের ঘটনাটি দেখুন-আল্লাহ সেই সাত যুবক ও তাদের কুকুরকে ৩০৯ বছর ঘুম পাড়িয়ে রাখলেন এক গুহার ভিতরে। এখানেও দীর্ঘায়ু এখানেও লোকচক্ষুর আড়াল।
আবার দেখুন অনেকেই জানেন অমৃত সম্পর্কে ।
অমৃত ভালো খাবার খেলে অনেকেই বলেন অমৃত খেলাম । আসলে এই অমৃত টা কি ? বলা হয় অমৃত এমন এক পানীয় যা পান করলে মানুষ লাভ করে অমরত্ব। সেটা কোথায় পাওয়া যাবে কি ভাবে এই কনসেপ্ট টা আসলো আমার জানা নেই ।
আর একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন কি ? অমরত্ব ব্যাপারটা আমাদের কাছে অধরা কেন? আসলে এমন না ত যে ব্যাপারটা সমন্ধে আমরা ওয়াকিবহাল হচ্ছি না ? এই যেমন ধরেন মহামুনি বাবাজী(২য় পর্বে বিস্তারিত).। উনি যদিও অমরত্বের স্বাদ পেয়েও থাকেন উনি সময় কাটাচ্ছেন হিমালয়ের গুহায়।
এমন অমরত্বের আদৌ কি কোন দরকার আছে? আমরা আসলে আমাদের জীবনটাকে ভালোবাসি এর পরিপার্শিকতার জন্য আমাদের পরিবার পরিজন সকলে আমাদের ঘিরে আছে তাই আমাদের বাচতে ইচ্ছা করে ধরেন আপনি যদি ১৮০০ বছর হন তবে কি হবে আপনার আশে পাশের সব কিছু বদলে যাবে। আপনার নিজস্ব বলতে কেউ থাকবেনা। গুহাবাসী হওয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা। তখন এই দীর্ঘ জীবন হয়ে পরবে ক্লান্তিকর । মৃত্যু কামনা করেও যদি না পান কি ভয়াবহ হবে ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখুন তো? আমার ধারনা প্রাচীন শাস্তের পন্ডিতেরা হয়তো অমরত্ব সমন্ধে জানত কিন্তু তারা সবাই ব্যাপারটার এই অসম দিকটা চিন্তা করেই হয়ত নিভৃতেই রেখে দিয়েছে।
ধীরে ধীরে এটা অপবিজ্ঞান হয়ে গেছে। প্রাচীন কালে মানুষ যত জ্ঞানের অধিকারী ছিলো এখনকার মানুষের আমূলই সেসব জ্ঞানের পরিধি কমে গেছে এ বিষয়টাও আমার কাছে ঠিক পরিস্কার না।
প্রথম পর্ব
দ্বীতিয় পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।