নিম হচ্ছে একটি ভেষজ বৃক্ষ । নিমের নানাবিধ গুণের কথা আমরা কমবেশি জানি । প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য এমন উপকারী বৃক্ষ আজ অবধি বোধ হয় দ্বীতিয়টি আবিস্কৃত হয় নি । বহুবিধ গুণের কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নিমকে ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে ।
নিচে নিমের কিছু গুণের কথা উল্লেখ করা হল-
>নিমপাতা ভেজে খেলে হাম, বসন্ত, চুলকানি পাঁচড়া হয় না ।
>যাদের বদহজম সমস্যা আছে, তারা রাতে দু-তিন টুকরা নিমগাছের ছাল আধ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে বাসি পেটে নিয়মিত সাতদিন খেলে বদহজম নিরাময় হয় ।
>ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে ৮-১০টা নিমপাতা চার-পাঁচটা গোল মরিচসহ চিবিয়ে খেলে রক্তের শর্করা কমে ।
>পাঁচ-ছয় ফোঁটা নিমপাতার রসের সাথে অল্প দুধ মিশিয়ে খেলে চোখে ঝাপসা দেখা ও ছানি পড়া কমে ।
>লিভারে ব্যথা হলে চার-পাঁচটা নিমপাতার রস, সামান্য কাঁচা হলুদ, আধ চামচ আমলকীর গুঁড়া একত্রে মিশিয়ে খেলে লিভারের ব্যথা কমে ।
>ফোঁড়া পাকাতে নিমের ছাল বাটা লাগালে কাজ হয় ।
>যাদের গায়ে চর্মরোগ আছে, তারা নিমপাতা পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করে এ পানি দিয়ে গা মোছালে চর্মরোগ ভাল হয় ।
>নিমগাছের ছায়ায় বসে নিমপাতার হাওয়া গায়ে লাগালে বহু রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
>জলবসন্ত রোগীকে নিমপাতার উপর শোয়ালে বা বিছানায় নিমপাতা বিছিয়ে দিয়ে শোয়ালে বসন্ত ওঠার সময় যে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়, তা কমে যায় । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।