আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দয়া করে আপনারা শেষবারের মত এইবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা রেখে দেন ।

অ আ ক খ একেবারে হঠাৎ করেই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলেন , কোন বাছবিচার না করেই এই রকম সিদ্ধান্ত একেবারে অমানবিক । কারণ এর সাথে অনেক ছাত্রের স্বপ্ন এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িত সাথে আছে তাদের মা-বাবার বুক-ভরা আশা । আশ্চর্য হচ্ছেন কেন আশা ভাঙ্গবে ? সে কোন একভাবে নিলেও তো সবাইকে নেওয়া যেত না, কারো না কারো স্বপ্নতো ভাঙ্গবে । হ্যা, ঠিক কথা ! পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতেছি । প্রথমে দেখি কি কি যুক্তিতে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করা হলঃ ১ প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশংকায় ।

২ প্রশ্নপত্র পাইয়ে দেওয়া নিয়ে অসাধু ব্যক্তিদের ব্যবসার আশংকায় । ৩ কোচিং বাণিজ্য বন্ধের জন্য । ১ এই বার প্রশ্ন ফাঁসের আশংকা না থাকলেও , দূর্ণীতির এক বিরাট শংকা সবার মাঝে থাকবে । ২ প্রশ্নপত্র নয় এইবার এ-প্লাস ধারীদের চান্স পাইয়ে দেওয়া নিয়ে নেতা-পাতি নেতারা ব্যবসা করবে । ৩ মেনে নিচ্ছি ইহা স্থায়ী ভাবে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করবে , কিন্তু বোর্ড পরীক্ষার পূর্ববর্তী কোচিং আরো বাড়িয়ে দেবে ।

সবচেয়ে বড় বিষয় এই পরীক্ষা এইবারের কোচিং ব্যবসার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, কারণ কোচিং ওয়ালারা বিশেষ করে জামাতী রেটিনা গোষ্ঠী তাদের ছাত্রদের কাছ থেকে ১২ হাজার করে পেয়ে গেছে । হঠাৎ করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা গুলো জলে গেছে । সরকার এই ক্ষেত্রে কি টাকা ফেরত এনে দিতে পারবে ? নতুন প্রক্রিয়ায় ভর্তি এবং সৃষ্ট জটিলতাঃ প্রথমে দেখি এ-প্লাসের সংখ্যা দুই সেশন (যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ) এসএসসিঃ ২০০৯ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৪৬ হাজার ৩৬৭জন ২০১০ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৬২ হাজার ১৩৪ জন। এইচএসসিঃ ২০১১ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৩৯ হাজার ৭৬৯ জন ২০১২ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৬১ হাজার ১৬২ জন মোট ডাবল প্লাস( ২০১০ এবং ২০১২) ঃ ৫০ হাজার (ধরে নিলাম) মোট ডাবল প্লাস( ২০০৯ এবং ২০১১) ঃ ৩০ হাজার (ধরে নিলাম) বিগত প্রায় প্রতিটি পরীক্ষায় দেখা গেছে চান্স প্রাপ্ত ছাত্রদের ৬০% -ই ২য় বারের পরীক্ষার্থী। তাই ধরে নিলাম এইবার গত সেশনের বিশ পার্সেন( ৬০০০ জনের মত) এ-প্লাস এই বার পরীক্ষা অংশগ্রহণ করবে ।

এখন মোট ৫৬০০০ এর মধ্যে ১০০০০ হাজার অনায়াসে পাওয়া যাবে । তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই মার্ক দেখতে হবে এজন্য শিক্ষা বোর্ড-কে পাবলিকলী আবার মার্ক প্রকাশ করতে হবে, তা না হলে সবার মধ্যে এক ধরণের সন্দেহ কাজ করবে । শুধু শিক্ষা বোর্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আভ্যন্তরিণ যোগসুত্রে রেজাল্ট পাবলিশ হলে সন্দেহ অভিশ্বাস থেকে যাবে। তাই সবচেয়ে ভাল হত সামনের বছর থেকে এই নিয়ম কার্যকর করলে, শিক্ষা বোর্ড তখন রেজাল্টের সময় গ্রেডের সাথে মার্ক ও প্রকাশ করতো । যাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে ঃ সেই ৬০০০ যারা ইতি মধ্যে তাদের শিক্ষা জীবনের এক বছর ড্রপট দিয়ে, বছর জুড়ে প্রস্ততি নিয়েছেন তাদের কি হবে ? তদের তো আগে কোন নির্দেশ দেওয়া হয় নি, তাদের এক বছর কে ফিরিয়ে দেবে ।

আরা যারা এই বার এ প্লাস পাননি কিন্তু অন্য ধরনের কোচিং বাদ দিয়ে শুধু মেডিকেল ভর্তি কোচিং করেছেন তারা কি করবে? তাদের আবার নতুন করে ভর্তি হতে হবে বিশ্ববিদ্যাল্য কোচিং-এ - আবার সেই দশ হাজার টাকা । আরেকটা কথা মাদ্রাসাকে বাদ দিতে হবে, কারণ এদের সিলেবাসের সাথে জেনারেলদের যথেষ্ট গড়মিল থাকবে । আর ইংলিশ মিডিয়াম তো আরো বিড়ম্বনা ওদের গ্রেডিং মার্ক বিন্যাস সম্পূর্ণ আলাদা সেখানে ও জটিলতা মোকাবেলা করতে হবে । সব শেষে এ কথা বলতে চাই দয়া করে, এইবার আগের নিয়মই রাখেন, অনেক ছাত্রদের হঠাৎ স্থবির করে দেবেন না, আর কোন সরকার কখনো এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না । আশা করি বিষয়টি বিবেচনা করা হবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.