ভোদাই সোহেলকে এখন আমরা ভাই ডাকিয়া থাকি। আমাদের সমবয়সী বন্ধু হইলেও মূর্খামি, ভোদাইগিরিতে নিজেকে সে অন্য উচ্চতায় স্থাপন করিয়াছে। মেস চালানোর চৌদ্দ বছরের অভিজ্ঞ সোহেল ভাই সুযোগ পাইলেই আমাদের জানাইয়া দিত তাহার "পোলাপান চরানোর" বিশাল অভিজ্ঞতার গৌরবময় ইতিহাসের কথা। এই সোহেল ভাই একবার কলিকাতা গেল । দাদাদের দেশ হতে ফেরত আসিবার পর তাহাকে আমরা চিনিতেই পারিতেছিলামনা।
কি তাহার ভাব,কি তাহার ভাষা । কথায় কথায় দুগ্ধ,জুতো,খাচ্ছিলুম টাইপের শুদ্ধ ব্যাকরন ব্যবহার শুরু করিল। আর আমাদের কোথাকার কোন আবাল ভাবিতে লাগিল। আমরাও উপায়ন্তর না দেখিয়া তাহাকে ভাই ডেকে সম্মান দেয়া শুরু করিলাম।
আমের দেশে যাত্রা
আমরা কতিপয় বান্দর (সোহেল,মাহমুদ,সাচ্চু,ইব্রাহিম আর আমি) যাইতেছিলাম ইব্রাহিমের নানাবাড়ি, চাপাইনবানগঞ্জে।
যেকোন মূল্যে আমরা এই ভ্রমনে সোহেল ভাইয়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করিতে চাহিয়াছিলাম। কারণ আমাদের বিনোদনের আকাশে সে এক বিশাল নক্ষত্র। সোহেল তখন সবে আমাদের আকাশে তারকা(??) খ্যাতি পাওয়া শুরু করিয়াছে।
বাস ছাড়িতে তখনও কিছু সময় বাকি। হঠাৎ সোহেলের "ছোটটা" চাপিল।
তদুপলক্ষে সে দুরে দেয়ালের আড়ালে গিয়া কর্ম সম্পাদন শুরু করিল। মাহমুদ আর আমি দৌড়াইয়া গিয়া হন্তদন্ত হইয়া সোহেলকে বলিলাম,দোস্ত,বাস তো ছাড়িয়া দিয়াছে, দৌড় দে।
সোহেল হন্তদন্ত হইয়া দৌড়াইয়া আসিল। ড্রাইভারশুন্য বাস তখনও দন্ডায়মান দেখিয়া সোহেল ভাইও টাস্কি খাইয়া দাড়াইয়া গেল। একটা অসহায় চাহনি দিয়া প্যান্টের জিপার ঠিক করিয়া লইল।
ওকে বলিলাম বাস ছাড়িয়া দিবে,তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়।
তোরা যে বলিলি বাস ছাড়িয়া দিয়েছে। ভাবলেশহীন গলায় আমাদের জিজ্ঞেস করিল সে।
হ্যাঁ,দিয়াছেই তো। আমাদেরটা না,আগেরটা।
ততোধিক শান্ত গলায় মাহমুদ বলিল।
খানিকটা এগিয়ে আসিতেই আমরা আবিষ্কার করিলাম তার প্যান্টের বিশেষ স্থানে বিশেষ তরলের বড় একটা ছোপ।
এমতাবস্থায় আমাদের মহাজ্ঞানী সাচ্চু পরামর্শ দিল, এই নাপাক প্যান্ট পড়িয়া থাকা কিছুতেই শাস্ত্রসম্মত হইবে না। এ অবস্থায় তাহাকে নিম্নরুপ পরামর্শ দেয়া হইলঃ-
"সোহেল বাসের ছাদে উঠিয়া ভ্রমন সম্পন্ন করিতে পারে"-(আমি)
"সে প্যান্ট খুলিয়া শুধু অন্তর্বাস পরিধান করিয়া যাইতে পারে"-(সাচ্চু)
"দেশী পোশাক লুং্গি পরিধান করিয়া যাইতে পারে"-মাহমুদ
ইহার মধ্যে মাহমুদের পরামর্শ সোহেল ভাইয়ের মনে ধরিল। অতঃপর সোহেল ভাই জাতীয় পোষাক লুঙ্গি পরিধানপূর্বক বাসের যাত্রী সাধারণকে বিমলানন্দ দান করিতে করিতে নবাবগঞ্জ যাত্রা করিলেন।
পরবর্তি পর্ব আসিতেছে ব্রেকের পর. . . .(সোহেল ভাই+ঐশ্বরিয়া পর্ব) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।