বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের ইতিহাসে ইসলামিক চিন্তাচেতনার আদলে এদেশের সাধারণ ধর্মপ্রিয় মানুষ বেড়ে উঠেছে। এ ধর্মীয় মানুষদের মনে আস্ফালন সৃষ্টি করার জন্য জামাত বিভীন্ন পলিসি অবলম্বন করেই চলেছে। তারা সারা বাংলাদেশে মুসলিম প্রিয় জনগণের মধ্যে ধর্মীয় ভাবে বিভিন্ন ফতোয়া পেশ করে আপামর জনসাধারণকে দলে ভিড়াচ্ছে। পুরুষরা না পারলেও মহিলাদের দিয়ে তারা পাড়া ও মহল্লায় মহিলা সংগঠন সৃষ্টি করে ইসলামিক চর্চার নামে জনগণকে ধোকা দিচ্ছে এবং মহিলাদের জামাতের অনুসারী করেই চলছে। এক জরীপে দেখা গেছে যে, ১০% ভোট সারা বাংলাদেশে জামাতের প্রতি সমর্থন রয়েছে আর এসবই করা সম্ভব হয়েছে কারণ তাদের সংগঠন খুবই শক্ত ও পরিমার্জিত মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মীয় চিন্তা চেতনার মানুষ এ দলে রয়েছে এবং তাদের চিন্তা সবসময় কিভাবে সাধারণ মানুষদের কিভাবে দলে ভিড়ানো যাই।

অধিকন্তু দেখা গেছে যে, ধর্মীয় অনুভূতি ও পরকালের উপর একটা চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এটা বরং দেশ জাতির জন্য চরম ক্ষতি এবং একদিন এর জন্য জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে। বর্তমান জামাতÑশিবির ঝাপটি মেরে আছে হঠাৎ তারা ফুঁসকে উঠবে সেদিন বেশি দূরে নয়। কারণ তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্র্ক অনেক শক্তিশালী। আসলে তারা কিন্তু বসে নেই গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মূলত: তাদের উদ্দেশ্য হল বিএনপির সাথে তালমিলিয়ে চলে সামনের দিকে এগিয়ে চলা এবং নিজেদের শক্তি কায়েম করে বিএনপিকে টেক্কা মেরে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আতœপ্রকাশ করবে বলে সূত্রে জানা গেছে। শুনা যাচ্ছে যে, ৪০ বছরের মধ্যে জামাত দেশের মধ্যে একটা চমক দেখাবে কিন্তু কোন চমক দেখাবে তাহা স্পষ্ট নয় তবে আমরা এটুকু ধরে নিতে পারি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আর এজন্য মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাথে তারা আঁতাত করে চলেছে এবং বিভিন্ন অর্থ শক্তি কায়েম করছে। তথ্য মতে: তাদের সংগঠনকে পরিচালনা করার জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রচুর পরিমানে অর্থ পেয়ে থাকে আর এসবই হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের একটা অঙ্গ রাজ্য গঠন করার একটা অপপ্রয়াস্। তাই সময় এসেছে এই স্বাধিনতার অপশক্তিকে দেশ থেকে উৎখাত করতে, সময় এসেছে সঠিক বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে দন্ডে দন্ডিত করে উচিত শিক্ষা দিতে।

আসুন আমরা সবাই এক হই এবং সরকারকে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করি এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলি। কিন্তু আজ আমরা তাদের কে চিনতে পারলাম না, সেই স্বাধীনের শুরু থেকে আজ তারা আমাদের ভাল চাইনি, চাইবেও না কিন্তু আমরা তাদের বিভিন্ন পদে অধিষ্টিত করে চলেছি। তাদের ছত্র ছায়া দিচ্ছি। বিশেষ করে বিএনপি যে, তাদের সাথে যে আঁতাত করে চলছে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ এবং বিএনপিকেই এর মাশুল দিতে হবে। সামনে সময় আসছে, বিএনপিকে তারা উচিত শিক্ষা দিবে।

বিএনপিকে তারা কোন পাত্তাই দিবেনা। তাই সাধু সাবধান, দুধ কলা দিয়ে সাপ পুষোনা কারণ ঐ সাপই তোমাকে একদিন দংশন করবে সেদিন তোমার (বিএনপি) বাঁচার কোন আশঙ্কা থাকবেনা তাই আরেকবার বলি সাবধান, সাধু সাবধান। ।