আমি একজন সাধারন ব্লগার এবং সামুর ভাষায় সেফ/নিরাপদ ব্লগার।.... ডঃ ইউনুস মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাস্ট্রে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, ন্যাশভিলে বসে বাংলাদেশ নিউজলেটারও প্রকাশ করেছিলেন। তিনি যে মুক্তিযুদ্ধে তার অবস্থান থেকে সহযোগীতা করেছিলেন সেই মুক্তিযুদ্ধেই বিরোধীতা করেছিল এই বাংলাদেশেরই একদল লোক, রাজাকার। তার দেশের তরুনরা আজ এত এত বছর পর নিজেদের সবটুকু আগ্রহ আর আবেগ নিয়ে সেই রাজাকারদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছে। তিনি যে নৈতিকতার ভিত্তিতে ৭১ এ দেশের জন্য যা করেছিলেন বর্তমান প্রজন্ম যা করছে তার নৈতীক ভিত্তিও তাই। তাই প্রজন্মের জিজ্ঞাসা রাজাকারদের বিচারের প্রশ্নে তিনি নিরব কেন?? নোবেল, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল নিঃসন্দেহে অনেক বড় অর্জন, দেশের সুনাম বৃদ্ধির সহায়ক, এসব প্রাপ্তি নিয়ে সমালোচনা ক্ষুদ্র মানসিকতার পরিচায়ক, কিন্তু এই অর্জন আরো যথার্থ পরিপূর্ন এবং অর্থবহ হত যদি তিনি বুক চিতিয়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে প্রজন্মের সাথে থাকতেন, পরামর্শ দিতেন, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের আজন্ম শত্রু জামাত শিবিরের মুখোশ উম্মোচন করে দিতেন। । একজন গুনী দেশপ্রেমিকের নিকট থেকে এর বেশি আর কী প্রত্যাশা করা যেতে পারে??
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।