আজ শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপার নির্মম হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পেরিয়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতে প্রায় আড়াই বছর চলে গেল সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ হত্যার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব উচ্চমহলই খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
আমি আজ কথা বলেছিলাম শহীদ সাংবাদিক রুনি আপার ছোট ভাই রুমান এবং শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাইয়ের ছোটবেলার এক বন্ধুর সাথে। রুমান আমাকে জিজ্ঞাস করলেন,খুনিদের খুঁজে বের করতে আসলেই কি কোন তদন্ত হচ্ছে।
তাঁর এ প্রশ্নের উত্তর কি দিব,আমি বুঝতেই পারছি না।
প্রিয় মেঘের কথা জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এই অবুঝ এতিম ছেলেটাও নাকি মাঝে মাঝেই তাঁর মামা রুমানকে জিজ্ঞাস করে,এটিনের মালিক মাহফুয তাঁর আব্বু-আম্মুকে নিয়ে কি খারাপ কথা বলেছিল। আমি রুমান ভাইকে সান্ত্বনা দিতে পারলাম না। আমি শুধু এই কথাটা বললাম যে,আমার এক ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকেও খুন করা হয়েছিল সিলেটে ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ। ভাই হত্যার বিচারতো পেতে ভিখারির মতো কত মানুষের কাছে (আসলে এরা কেউ মানুষ না,এরা অমানুষ।
মানুষ হলে তো কেউ খুনিদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে পারতো না,নিহত অধ্যাপক হারুনের নিষ্পাপ চরিত্রের উপর মিথ্যা অপবাদ দিতে পারতো না,খুনিদের বাঁচাতে অপচেষ্টা করতে পারতো না) ঘুরছি। বিনিময়ে কি পেয়েছি? শুধুই অপমান,হতাশা এবং বুকফাটা কান্না!
যে দেশে খুনিরা প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠে,সেই দেশে আর যাই হোক,শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার পেতে আর কতদিন কত মাস কত বছর লাগবে,একমাত্র মহান আল্লাহ্ই ভালো জানেন।
তবে একটা কথা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি,শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ,শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনির খুনিদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাঁদের বিচার এই দুনিয়াতে না হলেও,মহান আল্লাহ্র দরবারে বিচার হবেই হবেই,ইনশাল্লাহ। কেউ কেউ পারবে না সে বিচার ঠেকাতে।
শহীদ সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ভাই এবং শহীদ সাংবাদিক মেহেরুন রুনি আপা এবং শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ ভাই,তোমরা ঘুমাও শান্তিতে,আমরা জেগে আছি তোমাদের হত্যার চরমতম বদলা নিতে।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে দয়া করে এখানে ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।