আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান ফ্লাইওভার ও কয়েকটি চোর।

ভাল থাকতে চাই ২০০৫ এ টেলিকমিউনিকেশন, জালানি, যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসে বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী আবু ধাবী গ্রুপ প্রধান শেখ মনসূর। তাদের ঐ প্রজেক্টের অন্যতম গুলিস্তান-যাত্রবাড়ী ফ্লাইওভার। তাদের এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে নিয়োগ করা হয় এদেশীয় বেলহাসা একম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস (এটি শিল্পপতি ওবায়দুল করিমের ওরিয়ন গ্রুপের একটি অংগ প্রতিষ্ঠান। দেশের বৃহত্তম গুলিস্থান-যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয় ২০০৬ এর শুরুতে। ফ্লাইওভারটির নির্মান ব্যায় ধরা হয় ৬৭০ কোটি টাকার।

উল্লেখ্য আবুধাবী গ্রুপের এই দেশে বিনিয়োগ করতে আসাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি ভারতীয় পৃষ্টপূসকতায় পরিচালিত দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার। সেই সাথে বিএনপি ঘরনা দেশীয় শিল্পপতি ওবায়দুল করীমের সাথে তাদের যৌথ প্রজেক্ট। নাহ্‌ একেবারেই মেনে নেয়ার মত ছিল না তাদের কাছে। শুরু হয়ে গেল বিরামহীন অপপ্রচার। ২০০৭, ১১জানুয়ারী নতুন সরকার ক্ষমতায় আসল।

বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইওভার নির্মান কাজ। গ্রেফতার করা হয় শিল্পপতি ওবায়দুল করীমকে। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় সাজা হয় ৪৩ বছরের। এ পুরো প্রকৃয়ায় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে প্রথম আলো, ডেইলী স্টার ও তাদের সহযোগী সংবাদ মাধ্যমগুলি। ২০০৯ এর প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে হাসিনার নেত্রিত্বাধীন মহাজোট সরকার।

শুরু হয় দুর্নীতিবাজ সাজাপ্রাপ্ত ব্যাবসায়ীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। (শুনা যায় বসুন্ধরার শাহ আলমের সাথে ১০০ কোটি টাকায় ডিল হয়। ) এ প্রক্রিয়ায়ই জেল থেকে মুক্তিপান ওবায়দুল করিমও। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে হইচই করলে কোটি টাকার বিজ্ঞপনে রফাদফা হয় পত্রিকা গুলির সাথে। ২০১০এর জুনে আবারো শুরু হয় যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান ফ্লাইওভারের কাজ কিছুটা দৈর্ঘ বাড়িয়ে ব্যায় ধরা হয় ১৪০০ কোটি টাকা।

ফ্লাইওভারটির কাজ শেষ হবার কথা ছিল ২০১২ ৩১ ডিসেম্বর। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে ১৮ মাস আগে কিন্তু এখনো কাজ শেষ হয় নি। বিভিন্ন কারন দেখিয়ে প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে ২হাজার১০৮। শুনা ্যাচ্ছে এতেও হবে না, আরো ব্যায় হবে তাই অনুমোদনের চেষ্টা চলছে। যে বিষয় গুলি লক্ষ করতে হবে: ১. পুরো বিষয়টা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের লুটেরা ভুমিকা।

২. প্রাথমিক ও সবশেষ প্রস্তাবিত ব্যায়ের পার্থক্য। ৩. ওবায়েদুল করিমের দুর্নীতি কোন সময়ে দৃশ্য মান হয়। ৪. ৪৩ বছরের জেল দন্ড ও মুক্তি প্রক্রিয়া। ৫. বাংলাদেশের বিদুৎ খাত (রেন্টাল) নিয়ন্ত্রন করা তিনজনের এক জন এই ওবায়েদুল করিম (অন্য দুজন দরবেশ বাবা ও আজিজ খান) ৬. বিদেশী বিনিয়োগে সংবাদ মাধ্যমের বাধা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।