আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! অসময়ে নিশির ফোন পেয়ে খানিকটা অবাকই হলাম । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে এগারোর কিছু বেশি বাজে । সময়টা আমাকে খানিকটা চিন্তিত করল । নিশি এই সময়ে অফিসে থাকে । বলতে গেলে এই সময়টা ক্লাইন্টের ভীড় লেগে থাকে ।
ফোন করার ফুরসৎ পাবার কথা না ।
আর নিশি আমাকে দরকার ছাড়া খুব একটা ফোন করেও না । তাহলে আজ ?
কোন সমস্যা হল নাকি ?
বাসায় কি সব কিছু ঠিক আছে ?
চিন্তিত ভাবেই ফোনটা রিসিভ করলাম । ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ শোনা গেল না । যাবেও না জানতাম ।
নিশির এই একটা দোষ । যতবার ওর সাথে ফোনে কথা হয়েছে ও কখনই আগে কথা বলে না । চুপ করে থাকে ।
যতক্ষন না আমি কোন কথা জিজ্ঞেস করবো ততক্ষন কোন কথাই বলবে না ।
-নিশি ?
কোন কথা নাই ।
-নিশি কথা বল ! শুনছো ?
নিশি ক্ষীণ গলায় বলল
-হুম !
-ফোন দিলে যে ? কোন জরুরী দরকার ছিল ?
-না । এমনি ।
এমনি !! আমি এবার সত্যিই খুব অবাক হলাম । নিশি আমাকে এমনি ফোন করেছে ? আমার লক্ষ্যি বউটা আমাকে এমনি এমনি ফোন করেছে এটা ভাবতেই আমার মনটা ভাল হয়ে গেল ।
নিশির সাথে আমার বিয়ে হয়েছে মাস ছয়েক আগে ।
ভালবেসে না আবার ঠিক এরেঞ্জও না । কিভাবে যে বিয়েটা হল !!
যদিও আমার ইচ্ছা ছিল কিন্তু নিশি বিয়েটা করেছে ....
আসলে ও আমাকে যে কি কারনের বিয়ে করতে রাজি হল তা আমি এখনও ঠিক জানি না ।
তবে বিয়ে হলেও নিশি আমার বউ ঠিক মত হয় নি । দুজনের মাঝে কেমন একটা দুরুত্ব ঠিকই রয়ে গেছে । আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম
-কি হয়েছে বল আমাকে ?
-না এমন কিছু হয় নি ।
তুমি কাজ করছো তো । বিরক্ত করছি না তো ?
-না না কোন বিরক্ত না । তুমি বল ।
নিশি খানিকক্ষন চুপ করে থাকলো । আমার মনের মধ্যে তখন হাজারও চিন্তা আসছে ।
নিশি আজ এরকম আচরন কেন করছে ? তবে ওর আচরন আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে । যে নিশি বিয়ের ছয়ের মধ্যে আমার সাথে অতিরিক্ত একটা কথাও বলে নি সে আজ নিজ থেকে আমাকে ফোন দিল তাও আবার কোন কারন ছাড়াই । নিশি বলল
-তুমি কি খুব ব্যস্ত ?
-কেন বলতো ?
-না এমনি ।
-নিশি বল প্লিজ ।
-আসলে আমি তোমার অফিসের নিচে ।
তোমার যদি সময় থাকে একটু নিচে আসবে ?
-নিচে তুমি ? এই কথা তুমি আগে বলবে না ?
আমি আসলে আজ খুব অবাক হচ্ছি ! নিশি আমাকে অবাক করছে । আজ এমন কেন হচ্ছে ? অবশ্য যা হচ্ছে ভালই হচ্ছে !!
নিশির সাথে পরিচয় ভার্সিটি লাইফ থেকে । চিনি বলছি কেন ওকে তখন থেকেই পছন্দ করি । কিন্তু কোন দিন বলতে পারি নি । বলবো কিভাবে ? ওর তখন একটা এফ্যায়ার চলছে ।
বেশ ভাল ভাবেই চলছে ।
এখন যে মেয়েটার আগে থেকেই একটা বয়ফ্রেন্ড আগে থেকেই আছে তাকে ভালবাসার কথা কিভাবে বলি ? তাই সারাটা সময় কেবল মুখ মুজে থেকেছি !! কোনদিন কিছু বলি নি ।
অফিসের নিচে গিয়ে আমি সত্যিই অবাক হলাম । নিশি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে । আমি সব চেয়ে অবাক হলাম ওর পোষাক দেখে ।
নীল রংয়ের একটা চুড়িদার পরেছে । আশ্চার্য কেমন টিনএজ মেয়েদের মত লাগছে । আর একটু সাজ গোজও করেছে খানিকটা । আমাকে দেখে কেমন একটু বিষন্ন ভাবে হাসল । আমি কাছে গিয়ে বললাম
-কতক্ষন এসেছো ?
-এই তো বেশিক্ষন না ।
-কি হয়েছে তোমার সমস্যা হয়েছে ? অফিস যাও নি ?
-না । ভাল লাগছিল না ।
-কেন শরীর খারাপ নাকি ? জ্বরটর নাকি ?
এই পর্যায়ে আমার উচিত্ ওর কপালে হাত দিয়ে জ্বর দেখা । কিন্তু সংকোচের কারনে পারলাম না । নিশি কোন কথা না বলে চুপ করে রইল ।
আমি বললাম
-চল অফিসে চল । অফিসে বসলে ভাল লাগবে ।
নিশি কেমন আদুরে গলায় বলল
-অফিসে যাবো না ।
-তাহলে !
-অপু আজ আমার মনটা ভাল নাই ।
ভাল নাই !!
-কেন ? সকালবেলা তো ভাল ছিল ।
কি হল এর মধ্যে ?
আসলেই সকালবেলা নিশির মুডতো ভালই ছিল । ভাল ছিল মানে স্বাভাবিক ছিল ! প্রতিদিনকার মত নিশির ডাকেই সকালের ঘুম ভাঙ্গে আজ । নিশির খুব সকালে গোছল করার স্বভাব ।
চোখ মেলে যখন নিশির দিকে তাকিয়ে মনটা ভাল হয়ে গেল । কেমন একটা পবিত্রতা মিশে আছে ওর চেহারায় ।
আর ওর চুল থেকে তখনও পানি পারছিল ।
আহা !
আর ওর ঠোট দুটো কেমন ভেজা ভেজা লাগছিল । খুব ইচ্ছা করছিল নিশির ভেজা ঠোটটাতে চুম খাই । কিন্তু বিয়ের পর যে আমি ওর হাতটা ঠিক মত ধরি নি ওকে চুম খাই কিভাবে !
আমি আবার বললাম
-কি হয়েছে বলতো ? মন খারাপ কেন ?
নিশি চুপ করে থেকে বলল
-আজ অফিস আসার সময় শাহেদকে দেখলাম ।
এই কথাটা বলে নিশি আবার নিচের দিকে তাকাল ।
শাহেদ ?
আমি কথা হারিয়ে ফেললাম । অস্বস্তি কর পরিবেশ ! শাহেদ নিশির এক্স বয়ফ্রেন্ড ।
ভার্সিটির পরপর নিশি আর শাহেদের বিয়ে হবার কথা ছিল । আমরা অন্তত তাই জানতাম । কিন্তু ঝামেলা বাধল অন্য খানে ।
নিশিরা দুবোন নিশি বড় আর ওদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী । ছোট বোনটা এখনও অনেক ছোট !
আমার মনের ভিতর একটা প্রশ্ন প্রায়ই জাগতো যে শাহেদ ভাই নিশির মা আর বোনটার দায়িত্ব নেবে তো ? কারন নিশি ছাড়া ওদের দেখার আর কেউ নাই ।
নিশির বিশ্বাস ছিল যে শাহেদ তা করবে । কিন্তু শাহেদ ভাই তা করলো না । নিশির প্রতি তার কোন অনাদর ছিল না কিন্তু বাড়তি দুজনের দায়িত্ব সে নিতে চাইল না ।
নিশি হয়তো পারতো শাহেদের কাছে যেতে কিন্তু মা আর বোন নিশির কাছে বেশি জরুরী ছিল নিজের ভালবাসার থেকে ।
এভাবেই চলছিল হঠাৎ একদিন নিশিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলাম । নিশি আমাকে অবাক করে দিয়ে রাজি হয়ে গেল । কিন্তু ওর কিছু শর্ত ছিল । আমি সব কিছু মেনে নিয়েই নিশিকে বিয়ে করলাম ।
নিশির দিকে তাকিয়ে বললাম
-তারপর ? কোথায় দেখলে?
কিন্তু নিশি আমার প্রশ্নের জবাব দিল না । বলল
-আমার খুব ফ্রাইড চিকেন খেতে ইচ্ছা করছে ।
-মানে ?
কি কথার কি উত্তর ! নিশি এবার সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকাল । তারপর একটা একটা শব্দ আলাদা আলাদা করে বলল
-আমার ... খুব ... ফ্রাইড ... চিকেন ... খেতে ... ইচ্ছা ... করছে ।
-এখন ?
-কেন এখন ইচ্ছা করলে সমস্যা কি ?
-না মানে কোন সমস্যা নাই ।
চল ঐ রেস্টুরেন্টাতে চিকেন বানায় ।
-না আমি এখান থেকে খাবো না । বসুন্ধারায় চল ।
আমি সত্যিই আজ বারেবার অবাক হচ্ছি নিশির আচরনে । এই মেয়েটার আজ হয়েছ কি ?
নিশি বিয়ের পর কোন দিন আমাকে নিয়ে বের হয় নি ।
কখনই স্ত্রী সুলভ আচরনও করে নি । কিন্তু আজ কি হল মেয়েটার । মেয়েটা আজ এমন কেন করছে ?
শাহেদ ভাই যেদিন প্রথম নিশিকে জানাল যে ওর মা আর বোনের দায়িত্ব তার পক্ষে নেওয়া সম্বব না নিশি আমার সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করেছিল । কথাটা শোনার পর শাহেদ ভাইয়ের উপর খুব মেজাজ খারাপ হয়েছিল ।
এতো দিনকার সম্পর্ক ওদের এভাবে চট করে বলে দিলেই হল যে দায়িত্ব নিতে পারবে না ।
কিন্তু পরে চিন্তা করে দেখলাম আসলে শাহেদ ভাইকে খুব একটা দোষ দেওয়া চলে না ।
শাহেদ ভাইয়ের নিজেরও ফ্যামিলি আছে । সে পরিবারের একমাত্র ছেলে । তারও অনেক দায় দায়িত্ব আছে । সে কিভাবে তা অস্বীকার করবে ।
আর হ্যা সে যদি নিশিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাতো সেটা অবশ্য আলাদা ব্যাপার ছিল । কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম ছিল না ।
আবার নিশিও নিজের মা আর ছোট বোন টাকে ছেড়ে নিজের ভালবাসাকে বেছে নিতে পারে নি ! যে যার অবস্থানে ঠিকই ছিল কিন্তু তবুও অবস্থাটা কত জটিল দিকে চলে গেল ।
-খাচ্ছো না কেন ?
রেড চিলিসে বসে চিকেন খাচ্ছিলাম । আসলে আমি ঠিক খাচ্ছিলাম না ।
নিশির খাওয়া দেখছিলাম আর পুরানো কথা ভাবছিলাম । ওর সাথে বিয়ের কিছু দিন পর মনে হল যে নিশিকে বিয়ে করা হয়তো ঠিক হয়নি । নিশি হয়তো কোন দিন শাহেদ কে ভুলে আমার সাথে ভাল ভাবে জীবন শুরু করতে পারবে না ।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে .....
আমি বোধহয় একটু বেশি বেশি কল্পনা করছি । নিশি আবার বলল
-কি ব্যাপার খাচ্ছ না কেন ?
-এই তো খাচ্ছি ।
বলে হাসলাম একটু ।
-আসলে আমি তোমার খাওয়া দেখছিলাম ।
-মানে ?
-এই যে তুমি ছোট ছোট কামড় দিচ্ছো চিকেনটাতে , দেখতে খুব ভাল লাগছে !
নিশি কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে থেকে বলল
-এমন আমার কি কি জিনিস তোমার ভাল লাগে ?
আমি চট করেই কোন জবাব দিতে পারলাম না ! নিশি একেবারে সরাসরি আামর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ! ওর দৃষ্টি আজ কেন জানি কেমন অপরিচিত মনে হচ্ছে ! নাকি আজই আমি ওকে চিনতে শুরু করেছি?
ভার্সিটি জীবনের প্রথম থেকেই নিশির সাথে আমার পরিচয় ছিল ! টুকটাক কথাবার্তা হত আর কি ! কিন্তু একটা দিনের কথা আমার খুব ভাল করে মনে আছে ! একটা বিশেষ দিনে কথা !
সেদিন আকাশ জুড়ে বৃষ্টি হচ্ছিল । বৃষ্টি আমার বরাবরই খুব পছন্দের । আমি বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি এমন সময় পেছন থেকে নিশির কথা শুনতে পেলাম
-এই রকম ঝুম বৃষ্টিতে খুব ভিজতে ইচ্ছা করে, না?
-করে ।
কিন্তু এখন তো সম্ভব না !
-কেন সম্ভব না ?
-আরে তোমার মাথা খারাপ নাকি ? এখন বৃষ্টিতে ভেজার উপায় আছে নাকি ?
-চাইলেই হয় ! দেখ......
এই বলে নিশি যা করলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না । বৃষ্টির মধ্য নেমে নিশি বলল
-দেখলে তো । চাইলেই হয় । আসো ।
-আরে না ।
মাথা খারাপ নাকি ?
কিন্তু আামর মনে মধ্যে তখন তীব্র ইচ্ছা জেগেছে যে নিশির সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো । সত্যি এমন সুযোগ কি আর আসবে জীবনে !
নিশি আবার বলল
-দেখ তোমার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তোমার ভিজে ইচ্ছা করছে ! এসো প্লিজ..... আমার একা একা ভিজতে কেমন লাগছে ....
মুখে না না করলেও আমি একটু পর নেমে গেলাম বৃষ্টি তে । কি অসাধারন সেই অনুভুতি ছিল । সত্যি বলতে কি এমন আশ্চার্য আনন্দ আমার আর কোন দিন হয় নি !
ঐদিনের পর নিশির সাথে আমার সম্পর্কের আরো উন্নতি হল ! কিন্তু ওর সাথে বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি আর । এমন না যে আর সুযোগ হয় নি ।
সুযোগ এসেছে ।
বিয়ের পরও নিশিকে অনেকবারই আমি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছি । কিন্তু কোনদিন ওর পাশে গিয়ে দাড়াতে পারিনি ! দুর থেকে কেবল ওকে দেখতাম ! দুর থেকে হলেও বৃষ্টির পানি আর ওর চোখে পানি কে ঠিকই আলাদা করা যেত !
মনে মনে কেবল বলতাম এতো কেন কষ্ট তোমার ?
খুব কাছে গিয়ে ওর হাত ধরতে ইচ্ছা করতো । বলতে ইচ্ছা করতো এইতো আমি আছি তোমার পাশে !!
তুমি জেনো সবসময় থাকবো !!
-কই বললে নাতো ?
-কি বলবো ?
নিশি আবার ও আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো ।
-আচ্ছা আর একটা কথার উত্তর দেবে ?
-বল ।
-আমাকে তুমি কেন বিয়ে করলে ? তুমি খুব ভাল করেই জানতে আমি অন্য একটা ছেলেকে ভালবাসি । তার কথা ভুলে কোন দিন তোমাকে ভালবাসবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না । তবুও তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে ?
আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না । আর আজ নিশির হয়েছেটা কি ?
কেমন যেন আচরন করছে ?
নিশি আবার বলল
-আর আমিতো দেখতে খুব বেশি আহামরি সুন্দরী না, আর আমার বাপের অঢেল সম্পত্তিও নাই । তাহলে?
একটা ছেলে বিয়ে করার জন্য একটা মেয়ের মধ্যে যা যা কিছু দেখে তার কিছুই আমার নাই ।
তাহলে তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে ?
-নিশি আজ তোমার কি হয়েছে বলতো ? এসব কথা কেন বলছো ? কি দরকার এসবের আর !!
-কিছুটাতো আছেই ।
আমি চুপ করেই থাকি । এতো দিন যখন বলি তখন এখন আর বলে কি হবে !
আমার মনে শুরু থেকেই একটা বিশ্বাস ছিল যে নিশি একদিন না একদিন ঠিকই আমার মনের কথা বুঝতে পারবে ।
পারবে কি ?
কে জানে !
-আজ আমি তোমাকে একটা মিথ্যা কথা বলেছি ।
-মিথ্যা কথা ?
-হুম ।
-আজ আমার মন খারাপ না । বরং ভাল । শাহেদের সাথে আমার দেখা হয় নি । আর দেখা হলেও সেটা কোন মন খারাপের কারন হত না । আমি অনেক আগেই শাহেদের স্মৃতি থেকে নিজেকে বের করে এনেছিলাম ।
আমি বেশ পুলকিত হলাম নিশির কথায় ।
নিশি বলেই চলল
-আমি এতো দিন কেবল এই কথাটাই ভাবছিলাম যে তুমি কেন আমাকে বিয়ে করতে চাইলে ? এটাকি কেবলই করুনা করে নাকি অন্য কিছু ?
-করুনা ?
-হুম, করুনা । অসহায় একটা মেয়ে, মা আর বোনকে নিয়ে বিপদে পরেছে । এই মেয়েটার প্রতিতো করুনা তো দেখানোই যায় ।
-নিশি , এটা কি বলছ তুমি ?আমি তোমাকে করুনা কিংবা সিমপ্যাথি জানানোর জন্য বিয়ে করি নি ।
আমি তোমাকে ...
-তুমি আমাকে .... কি ? বল ।
আমি বলতে পারি না । কোথায় যেন একটা সংকোচ থেকেই যায় । নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়েই থাকে । ওর চোখ দুটো যেন কিছু একটা শুনতে চাচ্ছে আমার কাছ থেকে ।
কিন্তু আমি কেন বলতে পারছি না ।
অপু আজ আমি জানি তুমি কেন আমাকে বিয়ে করেছো ?
জানো?
-একটা মেয়ে এটা সহজেই বুঝতে পারে । এতোদিন কেবল ধারনা ছিল আজ সিওর হয়েছি ! কিন্তু তবুও তুমি কেন আমাকে বল নি । আমি যখন বৃষ্টি তে কাঁদতাম তখন কি আমার তোমার ভেজা উচিত্ ছিল না ? হাতটা ধরে এই কথাটা কি বলা খুব কঠিন ছিল যে আমি তোমার পাশে আছি ?
কি আশ্চার্য !! আমি যা ভেবেছি নিশি তার সবটাই জানে ।
তাহলে কেন এতো সংকোচ করেছি ?
কেন এই কয়টা মাস আমি নষ্ট করেছি কেন একসাথে বৃষ্টিতে ভিজি নি ! ভালবাসি কথাটা বলা কি এতোই কঠিন !
আমি তবুও নিশির দিকে তাকিয়েই থাকি ! ভালবাসি কথাটা কেন যে বলতে পারি না !!!
দেখি আজ বলা যায় নাকি !!
নিশি আমার দিকে তাকিয়েই আছে সেই চোখের দৃষ্টি নিয়ে !
ঈদের আগে এটাই আমার শেষ লেখা ! কাল বাড়ি যাবো ! কতদিন পর বাসায় যাচ্ছি ! কত কিছু ভেবে রেখেছি ।
কিন্তু তার কিছুই পুরন হবে না আমি জানি । সব থেকে বড় কথা টিয়া পাখির সাথে হয়টো এবার দেখা হবে না ।
যাক সবাই ভাল থাকবেন । অনেক আগেই জানিয়ে রাখলাম
ঈদ মোবারক !! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।