খুবই খারাপ পাবলিক এ এক গভীর রাত । ঝি ঝি পোকার একটানা অশরীরী শব্দ। আর দূরে কবরস্তানের হিংস্র শিয়াল গুলোর এক আদিম চিতকার।
ভয়ে আমার হাত পা অবশ হয়ে আসছে। গলাটা শুকিয়ে কাঠ।
হাত বাড়িয়ে কোকের বোতলে রাখা পানি টা ধরতেও সাহস পাচ্ছিনা। এমন সময় ই আত্মা টা এলো। ঠিক আমার দুই হাত সামনে।
আমার দুই চোখ কে বিশ্বাস করতে পাচ্ছিলাম না। আমি তার নিঃশ্বাস এর গরম স্পর্শও যেন টের পাচ্ছিলাম।
আমার রোম গুলো কাটা দিয়ে উঠলো। কাউকে ডাকার ও শক্তি পাচ্ছিনা গলায়। কি ব্যাপার?যে করেই হোক পালাতে তো হবেই আমায়! আগুনের ভাটার মতো জ্বলজ্বলে চোখ । আমার দিকে তাকিয়ে নির্মম হাসি হাসছে। গায়ে চিমটি দিয়ে দেখি আমি আসলে বাস্তবেই আছি।
নিছক কোন কল্পনার রাজ্যে নেই। এখন আর পালানোর কোন পথ নেই। আমার হৃদপিণ্ডর চরম ধুক ধুক শব্দ নিজেই শুনতে পাচ্ছি। বুঝতে পারছি কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে আসছি। হায় খোদা!এখন কি তবে কোন উপায় ই নেই? চারপাশে তাকানোর শক্তি ও পাচ্ছিনা।
আর দৌড়ে পালানো তো দুরের কথা।
একে একে আরও কজন হাজির হল আমার সামনে। তাদের চোখে এক আদিম উল্লাস। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমাকে মারার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা । বাঁচার আশা ক্রমেই যেন ক্ষীণ হয়ে আসছে আমার।
বাস্তবকে অস্বীকার আর কোন পথ নেই আমার। অসহায় আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবো? | | |
বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনিটর টা অফ ই করে দিলাম। আর চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে শুয়ে পড়লাম বিছানায়। কাল সকালে চেয়ারম্যান স্যার এর ক্লাস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।