যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
তোমার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আমি প্রথম বুঝেছিলাম
মানুষের প্রয়োজনের তালিকা
একটা ফু দেয়া মুখ।
আলতো করে ছুঁয়ে যাওয়া আঙ্গুল।
আর অপলক দৃষ্টি
ঘুম-সঙ্গ।
জড়াজড়ি বা ছাড়াছাড়ি করে শুয়ে থাকা শুধু নয়
কিংবা লেপ্টে থাকাও নয়,
নিঃশব্দ ঘরে দ্রিমিকি দ্রিমিক
হৃদস্পন্দনও নয়;
সর্বসত্তা দিয়ে জানান দেয়া খুব
কেউ আছে, অন্তত কেউ আছে।
এক সত্তা শুধু, যে দেখছে
যে অন্ধ হতে পারে, তবু দেখছে
দেখতে দেখতে জানান দিচ্ছে
সে আছে।
পুরোটা ঘর, পুরো আসবাব, পুরো শহর
পুরো আকাশ তোমার দিকে তাকিয়ে রয়।
তুমি ঘুমাচ্ছো যেভাবেই
একটা শিশুর মতোন,
একটা নারীর মতোন,
একদলা ঘাসের মতোন
কিংবা আমাজানের নদীর মতোন।
ঘুম-সঙ্গ; জেগে আছে যে
তাকে নিয়ে জানাচ্ছে নিরন্তর
কেউ আছে।
এই সুখে, এই আশ্বাসে
আমরা সবাই ঘুমাই
আমাদের ছাদ হয়; যেমন আগে ছিল গুহা
আমাদের ঘাম হয়; যেমন আগে ছিল অগ্নিকুন্ড
আর আমরা অনিয়ন্ত্রিত বিশ্বাসে
ভোরের আযানের হু হু হু করা বাতাসে
ঘুম যাই।
হয়ত নগর জুড়ে মৃত্যুর গন্ধ
হয়ত আততায়ীর ছুরি ঠিক বুকের উপরে
হয়ত বন্যার সাপ তোমার এক পা জড়িয়ে
হয়ত বালুয়ারিতে ডুবে যাচ্ছ তুমি
আর অমোঘ নিয়তির মত ঘুম,
তোমাকে জীবন সঙ্গ দিচ্ছে।
যেন জেগে উঠলেই নতুন সূর্য্য
এক দারুন বিশ্বাসের পায়ে হাঁটা পথ ধরে
জানান দিচ্ছে কেউ
সে আসছে।
মৃত্যু হোক, শ্রান্তি হোক, দুঃস্বপ্ন হোক
কখনো অকস্মাৎ, কখনো লাস্যময়ী
সে আসে তোমার বারান্দায়
এরপর ঘরে
এরপর শিয়রে
আর জানান দেয়, সে এসেছে।
ঘুম কিংবা ঘুম-সঙ্গ
বিনিদ্র কিংবা বেঘোর
সর্বব্যাপী এবং অমোঘ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।