.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এটি চার চার বছর পর পর একবার অনুষ্ঠিত হয় অনেকটা ফুটবল বা ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো। তবে এর উন্মাদনা ফুটবল ক্রিকেটকেও ছাড়িয়ে যায় কারণ অলিম্পিকে প্রায় পৃথিবীর সবগুলো দেশ অংশগ্রহণ করে যেটা ফুটবল ক্রিকেটের ক্ষেত্রে হয় না। সারা বিশ্ব এখন এখন অলিম্পিকের জ্বরে আক্রান্ত। তথাকথিত সবচেয়ে মুসলিম দেশ সৌদি আরব, ইরান থেকে শুরু করে সবচেয়ে আধুনিক (অবশ্যই বেলেল্লাপনার দিক থেকে) আমেরিকা, সুইডেন কেউই এই উন্মাদনা থেকে বাদ নেই। আমরাও এই অলিম্পিকের উন্মাদনার বাইরে নেই।
তা ফেইসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের পোস্ট ও কমেন্ট দেখলেই বুঝা যায়।
অলিম্পিকের অন্যান্য আসরের চেয়ে এবারের অলিম্পিক আসর নিয়ে তথাকথিত মুসলিমদের মধ্যে একটু বেশিই উন্মাদনা বা মাতামাতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কারণটা হচ্ছে সম্ভবত এই প্রথম সৌদিআরব ও ইরানের মেয়েরা অংশগ্রহন করছে তাও আবার হিজাব(?) পড়ে। সে এক বিরাট ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দুর্দশাগ্রস্ত মুসলিম জাতির জন্যে!!। ভাবটা এমন যে সৌদি-ইরানের মেয়েরা হিজাব পড়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহন করে মুসলিম উম্মাহর এক বিশাল উপকার করে ফেলেছে।
তার মধ্যে আবার বড় খবর হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের কোন ভাই নাকি অলিম্পিকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে স্থান পাইছেন। তাদের নিয়ে মুসলিম উম্মাহ আজ গর্বে গর্বিত!!! মূল কথায় যাওয়ার আগে অলিম্পিকের সত্যিকার চেহারাটা একটু দেখে নিই।
কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন পত্রিকার সংবাদের হেডলাইন ছিল এরকম, “লন্ডন অলিম্পিক ভিলেজে বসেছে সেক্স মেলা; দেড় লাখ কনডম বিতরণ”। একবার চিন্তা করে দেখুন অলিম্পিক শুরুর আগেই দেড় লাখ কনডম বিতরণ হয়ে গেছে। তাহলে অলিম্পিক শেষ করতে হলে কত লাখ লাগবে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।
অলিম্পিক আয়োজক কমিটির নাকি এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা হচ্ছে এই যৌনতা। যদিও সত্যিকার অর্থে সেটা লোকদেখানো। তারা এই চিন্তার নাম দিয়েছে “সেক্স ইন অলিম্পিক”, সংক্ষেপে “সেক্সলিম্পিক”। অনেক এথলেটই বলেন অলিম্পিক ভিলেজ হল যৌনতার স্বর্গ। নোংরামির চিত্রটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে আমেরিকান মহিলা দলের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক হোপ সেলোর অলিম্পিকে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনায়।
হোপ সেলো নিজের অলিম্পিক অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন,
“ভিলেজে একদিন রাত না কাটালে বোঝাই যাবে না সেখানে কী রকম নোংরামি চলে। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক ভিলেজে একদিন রাতে ঘুম ভেঙে গেল কী একটা শব্দে। বাইরে গিয়ে দেখি এক বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে এক মহিলা অ্যাথলিট ডাইনিং রুমে যৌনকর্মে ব্যস্ত। কিছুটা দূরেই দেখি আরো কয়েকজন সেই একই কাজ করছে। দেখে মনে হচ্ছে সেক্সের মেলা বসে গিয়েছে।
কোনো কোনো মহিলা অ্যাথলিট আবার ইভটিজিংয়ের অভিযোগও করেছেন। যৌনতায় অনিচ্ছুকদের নানাভাবে হয়রানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ”
মার্কিন তারকা সাঁতারু রায়ান লোকেট বলেছেন, অলিম্পিক ভিলেজের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ অ্যাথলিটকেই দেখেছি উদ্দাম যৌনলীলায় মেতে উঠতে। অনেকেই সেক্স করেছে মাঠে, ঘাসে, ডাইনিং রুমে, বাথরুমে…। এতে একটা উৎকট সমস্যাও তৈরি হয়েছিল।
একবার চিন্তা করে দেখুন অশ্লীলতা কোন পর্যায়ের। মোটামুটি একটা পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি বলা চলে। পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির সাথে পার্থক্য এইটুকু যে, পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে নোংরামিগুলো ভিডিও করা হয় এবং তা বাজার জাত করা হয় কিন্তু এখানে তা করা হচ্ছে না।
অলিম্পিকের প্রায় ৯০% ইভেন্টেই প্রায় উলঙ্গ হয়ে অংশগ্রহন করতে হয়। মহিলা ইভেন্ট হলে চিত্রটা আরও ভয়াবহ।
যেটুকু কাপড় থাকে সেটুকু থাকা না থাকা সমান কথা। আমি অবশ্য অলিম্পিকের একটা নাম দিয়েছি। সেটা হলঃ The greatest nudity show on the earth অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নগ্নতার আসর। এখানে পৃথিবীর সবগুলো দেশ প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর একবার নগ্নতা প্রদর্শনের জন্যে অলিম্পিক(সেক্স) ভিলেজ নামে একটা জায়গায় মিলিত হয়। এখানে সবাই জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে একই কাতারে নেমে আসে অর্থাৎ আমেরিকা নগ্ন, বাংলাদেশ নগ্ন, সৌদিআরব নগ্ন, এক কথায় সবাই নগ্ন।
এই হল আপনার আমার বহুল প্রতীক্ষিত, বহুল উন্মাদনার অলিম্পিকের আসল চেহারা।
হিজাব পড়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহন। বিষয়টা কি সত্যিই গর্বের?
প্রথমে শয়তান মানুষকে কিভাবে ধোঁকা দেয় সেটা নিয়ে একটা গল্প বলি। তাহলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
“ধরুন একটি যুবতী মেয়ে একজন ঈমানদার যুবকের কাছে এসে বলল, চলো আজ আমরা দু’জনে একসাথে রাত কাটাই।
তখন ওই যুবকটি বলবে, দু’জনে একসাথে রাত কাটাব! তাও আবার একটা মেয়ের সাথে রাত কাটাব! এটা হারাম, এটা যিনা, ব্যভিচার। সে তাৎক্ষণিকভাবে এটার প্রতিবাদ বা প্রত্যাখান করবে। কিন্তু ওই একই যুবতী যদি ওই যুবকের সাথে ফোনে কথা বলে তাহলে এটা তেমন কোন ব্যাপার নয়, পরবর্তীতে মেয়েটি ছেলেটিকে বলল, চলো আমরা আজকে স্ন্যাকস, কে এফ সি, পিজা হাট, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদিতে খাই। ছেলেটি ভাববে এটার জন্যে হয়তোবা তাদের আধা ঘণ্টা ব্যয় হবে এবং এটি তেমন কোন ব্যাপার নয় শুধু খেতে যাচ্ছি। এরপর মেয়েটি বলল আচ্ছা আমরা রাতের খাবার কেন খাচ্ছি না, চলো রেস্টুরেন্টে যাই।
তারা গেল কিন্তু এটাও তেমন কোন সমস্যা নয়। এরপর মেয়েটি বলল, তাহলে রাতটা তুমি আমার সাথে কাটাচ্ছো না কেন? তখন ছেলেটি বলল, একটি মেয়ের সাথে রাত কাটাব চমৎকার, কোন সমস্যা নয়। আর এটাই হলো শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ। ”
আমাদের তথাকথিত সবচেয়ে মুসলিম দেশের মেয়েদের হিজাব পড়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করাটা ঠিক তেমনি। শয়াতান জানে প্রথমেই তাদেরকে হিজাব খুলে ফেলে অংশগ্রহণ করতে বললে তারা তা করবেনা কারণ যে কোনদিন মদ খায়নি তার পক্ষে প্রথম বারেই বোতলের পর বোতলের মদ খাওয়াটা সম্ভব না।
প্রথমে তাদেরকে হিজাব সহই আমার (শয়তানের) আয়ত্তে আনতে হবে। তার পর ধাপে ধাপে খুলতে হবে। একসময় সেটা শর্টস বা বিকিনিতে গড়াবে। তাছাড়া আমাদের মুসলিম মেয়েরা যে হিজাব পড়ে খেলছে সেটাও হিজাবের আওতায় পড়ে না। প্রথমত তারা যে পোশাকটা পড়ছে সেটা গায়ের সাথে এমনভাবে ঝাঁপতে থাকে যে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সব বুঝা যায় এবং দ্বিতীয়ত তারা পুরুষের সামনে এইসব পোশাক পড়ে পারফর্ম করছে।
উপরের আলোচনা থেকে এটা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এই অলিম্পিক হচ্ছে মুক্ত যৌনতা ও অশ্লীলতার মিলনমেলা। সুতরাং সেখানে আপনি হিজাব পড়ে গেলেও সেটা এক ধরনের অশ্লীলতা। চিন্তা করুন কেউ যদি হিজাব পড়ে সিনেমা হলে পর্ণ বা অশ্লীল ছবি দেখতে যায় তখন তাকে কি বলবেন? বিষয়টা ঠিক এরকমই। তাছাড়া আরেকটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে,
“বিষ সোনার পাত্রে দিলেও বিষ। এমন নয় যে সোনার পাত্র দিয়ে বিষ পান করলে আপনি মারা যাবেন না”
সুতরাং এটা পরিষ্কার যে অশ্লীলতার এই সেক্স অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা মানে হল একে সহযোগিতা করা এর প্রসারে অবদান রাখা।
আর যারা অশ্লীলতার প্রসারে সহযোগিতা করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেঃ-
“যারা চায় মু’মিনদের সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক তারা দুনিয়ায় ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে৷ আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না ৷”-সুরা আন নুরঃ-১৯
এবার আসি মানবতার কথায়ঃ-
এই সেক্স অলিম্পিকের পৃষ্টপোষক হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের ছেলাফেলারা, যারা প্রতিনিয়ত মানবতার বুলি আওরায়। এটা কারোও অজানা নয় যে, এই অলিম্পিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং হচ্ছে। দেখুন তারা আপনার দেশের কিছু মানুষকে ইভেন্টটের নাম করে নগ্ন করার জন্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে পারে কিন্তু আপনার দেশে যে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে সে ব্যাপারে তাদের মানবতা নীরব। এমনকি তাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য গুলোও গরীব দেশগুলোকে দান করবেনা বরং সেগুলো গুদামে রেখে পচিয়ে প্রশান্ত, আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করে। এই হচ্ছে তাদের মানবতা।
আসলে সবই ভণ্ডামি।
আমি জানি আমার লেখায় হয়তোবা কিছুই হবেনা। তবুও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামান্য আওয়াজ মাত্র। দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে এইসব ফিতনাকে এড়িয়ে চলার তৌফিক করুন। আমীন।
তথ্যসুত্রঃ
http://www.deshibarta24.com/?p=9044
.অলিম্পিক গেমস যার অপর নাম “The greatest show on the earth” অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী। এটি চার চার বছর পর পর একবার অনুষ্ঠিত হয় অনেকটা ফুটবল বা ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো। তবে এর উন্মাদনা ফুটবল ক্রিকেটকেও ছাড়িয়ে যায় কারণ অলিম্পিকে প্রায় পৃথিবীর সবগুলো দেশ অংশগ্রহণ করে যেটা ফুটবল ক্রিকেটের ক্ষেত্রে হয় না। সারা বিশ্ব এখন এখন অলিম্পিকের জ্বরে আক্রান্ত। তথাকথিত সবচেয়ে মুসলিম দেশ সৌদি আরব, ইরান থেকে শুরু করে সবচেয়ে আধুনিক (অবশ্যই বেলেল্লাপনার দিক থেকে) আমেরিকা, সুইডেন কেউই এই উন্মাদনা থেকে বাদ নেই।
আমরাও এই অলিম্পিকের উন্মাদনার বাইরে নেই। তা ফেইসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের পোস্ট ও কমেন্ট দেখলেই বুঝা যায়।
অলিম্পিকের অন্যান্য আসরের চেয়ে এবারের অলিম্পিক আসর নিয়ে তথাকথিত মুসলিমদের মধ্যে একটু বেশিই উন্মাদনা বা মাতামাতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কারণটা হচ্ছে সম্ভবত এই প্রথম সৌদিআরব ও ইরানের মেয়েরা অংশগ্রহন করছে তাও আবার হিজাব(?) পড়ে। সে এক বিরাট ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দুর্দশাগ্রস্ত মুসলিম জাতির জন্যে!!।
ভাবটা এমন যে সৌদি-ইরানের মেয়েরা হিজাব পড়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহন করে মুসলিম উম্মাহর এক বিশাল উপকার করে ফেলেছে। তার মধ্যে আবার বড় খবর হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের কোন ভাই নাকি অলিম্পিকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে স্থান পাইছেন। তাদের নিয়ে মুসলিম উম্মাহ আজ গর্বে গর্বিত!!! মূল কথায় যাওয়ার আগে অলিম্পিকের সত্যিকার চেহারাটা একটু দেখে নিই।
কয়েকদিন আগে একটি অনলাইন পত্রিকার সংবাদের হেডলাইন ছিল এরকম, “লন্ডন অলিম্পিক ভিলেজে বসেছে সেক্স মেলা; দেড় লাখ কনডম বিতরণ”। একবার চিন্তা করে দেখুন অলিম্পিক শুরুর আগেই দেড় লাখ কনডম বিতরণ হয়ে গেছে।
তাহলে অলিম্পিক শেষ করতে হলে কত লাখ লাগবে আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। অলিম্পিক আয়োজক কমিটির নাকি এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা হচ্ছে এই যৌনতা। যদিও সত্যিকার অর্থে সেটা লোকদেখানো। তারা এই চিন্তার নাম দিয়েছে “সেক্স ইন অলিম্পিক”, সংক্ষেপে “সেক্সলিম্পিক”। অনেক এথলেটই বলেন অলিম্পিক ভিলেজ হল যৌনতার স্বর্গ।
নোংরামির চিত্রটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে আমেরিকান মহিলা দলের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক হোপ সেলোর অলিম্পিকে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনায়। হোপ সেলো নিজের অলিম্পিক অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন,
“ভিলেজে একদিন রাত না কাটালে বোঝাই যাবে না সেখানে কী রকম নোংরামি চলে। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিক ভিলেজে একদিন রাতে ঘুম ভেঙে গেল কী একটা শব্দে। বাইরে গিয়ে দেখি এক বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে এক মহিলা অ্যাথলিট ডাইনিং রুমে যৌনকর্মে ব্যস্ত। কিছুটা দূরেই দেখি আরো কয়েকজন সেই একই কাজ করছে।
দেখে মনে হচ্ছে সেক্সের মেলা বসে গিয়েছে। কোনো কোনো মহিলা অ্যাথলিট আবার ইভটিজিংয়ের অভিযোগও করেছেন। যৌনতায় অনিচ্ছুকদের নানাভাবে হয়রানিও করা হয় বলে অভিযোগ। ”
মার্কিন তারকা সাঁতারু রায়ান লোকেট বলেছেন, অলিম্পিক ভিলেজের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ অ্যাথলিটকেই দেখেছি উদ্দাম যৌনলীলায় মেতে উঠতে। অনেকেই সেক্স করেছে মাঠে, ঘাসে, ডাইনিং রুমে, বাথরুমে…।
এতে একটা উৎকট সমস্যাও তৈরি হয়েছিল।
একবার চিন্তা করে দেখুন অশ্লীলতা কোন পর্যায়ের। মোটামুটি একটা পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি বলা চলে। পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির সাথে পার্থক্য এইটুকু যে, পর্ণ ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে নোংরামিগুলো ভিডিও করা হয় এবং তা বাজার জাত করা হয় কিন্তু এখানে তা করা হচ্ছে না।
অলিম্পিকের প্রায় ৯০% ইভেন্টেই প্রায় উলঙ্গ হয়ে অংশগ্রহন করতে হয়।
মহিলা ইভেন্ট হলে চিত্রটা আরও ভয়াবহ। যেটুকু কাপড় থাকে সেটুকু থাকা না থাকা সমান কথা। আমি অবশ্য অলিম্পিকের একটা নাম দিয়েছি। সেটা হলঃ The greatest nudity show on the earth অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নগ্নতার আসর। এখানে পৃথিবীর সবগুলো দেশ প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর একবার নগ্নতা প্রদর্শনের জন্যে অলিম্পিক(সেক্স) ভিলেজ নামে একটা জায়গায় মিলিত হয়।
এখানে সবাই জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে একই কাতারে নেমে আসে অর্থাৎ আমেরিকা নগ্ন, বাংলাদেশ নগ্ন, সৌদিআরব নগ্ন, এক কথায় সবাই নগ্ন। এই হল আপনার আমার বহুল প্রতীক্ষিত, বহুল উন্মাদনার অলিম্পিকের আসল চেহারা।
হিজাব পড়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহন। বিষয়টা কি সত্যিই গর্বের?
প্রথমে শয়তান মানুষকে কিভাবে ধোঁকা দেয় সেটা নিয়ে একটা গল্প বলি। তাহলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
“ধরুন একটি যুবতী মেয়ে একজন ঈমানদার যুবকের কাছে এসে বলল, চলো আজ আমরা দু’জনে একসাথে রাত কাটাই। তখন ওই যুবকটি বলবে, দু’জনে একসাথে রাত কাটাব! তাও আবার একটা মেয়ের সাথে রাত কাটাব! এটা হারাম, এটা যিনা, ব্যভিচার। সে তাৎক্ষণিকভাবে এটার প্রতিবাদ বা প্রত্যাখান করবে। কিন্তু ওই একই যুবতী যদি ওই যুবকের সাথে ফোনে কথা বলে তাহলে এটা তেমন কোন ব্যাপার নয়, পরবর্তীতে মেয়েটি ছেলেটিকে বলল, চলো আমরা আজকে স্ন্যাকস, কে এফ সি, পিজা হাট, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদিতে খাই। ছেলেটি ভাববে এটার জন্যে হয়তোবা তাদের আধা ঘণ্টা ব্যয় হবে এবং এটি তেমন কোন ব্যাপার নয় শুধু খেতে যাচ্ছি।
এরপর মেয়েটি বলল আচ্ছা আমরা রাতের খাবার কেন খাচ্ছি না, চলো রেস্টুরেন্টে যাই। তারা গেল কিন্তু এটাও তেমন কোন সমস্যা নয়। এরপর মেয়েটি বলল, তাহলে রাতটা তুমি আমার সাথে কাটাচ্ছো না কেন? তখন ছেলেটি বলল, একটি মেয়ের সাথে রাত কাটাব চমৎকার, কোন সমস্যা নয়। আর এটাই হলো শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ। ”
আমাদের তথাকথিত সবচেয়ে মুসলিম দেশের মেয়েদের হিজাব পড়ে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করাটা ঠিক তেমনি।
শয়াতান জানে প্রথমেই তাদেরকে হিজাব খুলে ফেলে অংশগ্রহণ করতে বললে তারা তা করবেনা কারণ যে কোনদিন মদ খায়নি তার পক্ষে প্রথম বারেই বোতলের পর বোতলের মদ খাওয়াটা সম্ভব না। প্রথমে তাদেরকে হিজাব সহই আমার (শয়তানের) আয়ত্তে আনতে হবে। তার পর ধাপে ধাপে খুলতে হবে। একসময় সেটা শর্টস বা বিকিনিতে গড়াবে। তাছাড়া আমাদের মুসলিম মেয়েরা যে হিজাব পড়ে খেলছে সেটাও হিজাবের আওতায় পড়ে না।
প্রথমত তারা যে পোশাকটা পড়ছে সেটা গায়ের সাথে এমনভাবে ঝাঁপতে থাকে যে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সব বুঝা যায় এবং দ্বিতীয়ত তারা পুরুষের সামনে এইসব পোশাক পড়ে পারফর্ম করছে।
উপরের আলোচনা থেকে এটা বুঝতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এই অলিম্পিক হচ্ছে মুক্ত যৌনতা ও অশ্লীলতার মিলনমেলা। সুতরাং সেখানে আপনি হিজাব পড়ে গেলেও সেটা এক ধরনের অশ্লীলতা। চিন্তা করুন কেউ যদি হিজাব পড়ে সিনেমা হলে পর্ণ বা অশ্লীল ছবি দেখতে যায় তখন তাকে কি বলবেন? বিষয়টা ঠিক এরকমই। তাছাড়া আরেকটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে,
“বিষ সোনার পাত্রে দিলেও বিষ।
এমন নয় যে সোনার পাত্র দিয়ে বিষ পান করলে আপনি মারা যাবেন না”
সুতরাং এটা পরিষ্কার যে অশ্লীলতার এই সেক্স অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা মানে হল একে সহযোগিতা করা এর প্রসারে অবদান রাখা। আর যারা অশ্লীলতার প্রসারে সহযোগিতা করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেঃ-
“যারা চায় মু’মিনদের সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটুক তারা দুনিয়ায় ও আখেরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে৷ আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না ৷”-সুরা আন নুরঃ-১৯
এবার আসি মানবতার কথায়ঃ-
এই সেক্স অলিম্পিকের পৃষ্টপোষক হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের ছেলাফেলারা, যারা প্রতিনিয়ত মানবতার বুলি আওরায়। এটা কারোও অজানা নয় যে, এই অলিম্পিকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং হচ্ছে। দেখুন তারা আপনার দেশের কিছু মানুষকে ইভেন্টটের নাম করে নগ্ন করার জন্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করতে পারে কিন্তু আপনার দেশে যে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে সে ব্যাপারে তাদের মানবতা নীরব। এমনকি তাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য গুলোও গরীব দেশগুলোকে দান করবেনা বরং সেগুলো গুদামে রেখে পচিয়ে প্রশান্ত, আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করে।
এই হচ্ছে তাদের মানবতা। আসলে সবই ভণ্ডামি।
আমি জানি আমার লেখায় হয়তোবা কিছুই হবেনা। তবুও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামান্য আওয়াজ মাত্র। দোয়া করি আল্লাহ আমাদের সবাইকে এইসব ফিতনাকে এড়িয়ে চলার তৌফিক করুন।
আমীন।
তথ্যসুত্রঃ
http://www.deshibarta24.com/?p=9044
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।