আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দশে মিলি করি কাজ,হারি জিতি নাহী লাজ

[ জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশার বাক্য শুনতে শুনতে বিরক্ত গ্রামবাসী ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নে স্বেচ্ছাশ্রমে ও স্থানীয়দের অর্থায়নে মহেশ্বরী সড়কের দুই কিলোমিটার সড়ক পাকা করলো। এতে নাজিরহাট কলেজ, নজিরহাট শিশু সোপান ও নাজিরহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর ও জনগণের যাতায়তের একমাত্র মহেশ্বরী সড়কটির যাত্রীদের আনন্দের সীমা নেই। এ সড়ক দিয়ে নাজিরহাট বাজার, চুঁরখারহাট বাজারে যেতে রাস্তাটি দৈনন্দিন ব্যবহার করছে পূর্ব সুয়াবিল এলাকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ। সুয়াবিলের ভাঙ্গাদিঘির পাড় হতে নাজিরহাট সংযোগ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন থেকে অদ্যাবধি সরকারিভাবে কোন সংস্কার হয়নি। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সাংসদসহ জনপ্রতিনিধিদের বহু প্রতিশ্রিুতির পরও সড়কটি সংষ্কার না হওয়ায় ৭/৮ মাস পূর্বে এলাকাবাসীর অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে কার্পেটিং করার পরিকল্পনা করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন পূর্ব সুয়াবিল খেলোয়াড় সমিতি।

পরে যুক্ত হয় আরো একটি সামাজিক সংগঠন সুয়াবিল উদয়ন সংঘ। সংগঠন দুটির সদস্য ও এলাকাবাসীকে নিয়ে কয়েক দফা সভা করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট মহেশ্বরী সড়ক উন্নয়ন কমিটি গঠন করেন। এলাকাবাসীর অতি প্রয়োজনীয় সড়কটি সরকারিভাবে কোন সংস্কার না করায় আমরা এলাকাবাসীর অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সড়কটি কার্পেটিং করার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২১ সদস্যের উপদেষ্টা ও ৫ সদস্যের কাজ তদারকি কমিটি গঠন করা হয়। এবং কাজ তদারকি জন্য নজরুল ইসলা্মকে কমিটির প্রধান নির্বাচন ক্রা হয়,গত ২ মার্চ ৭ কি.মি. মহেশ্বরী সড়কের শেষ প্রান্ত বনিকপাড়া থেকে কাজ শুরু করা হয়।

এলাকাবাসী ছাড়াও দৈনিক ২০ জন শ্রমিক রাস্তায় কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার কাজ সম্পাদন হয়েছে। এছাড়া এলাকার প্রবাসীদের কাছ থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করা হয়েছে। নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে গেছেন, কাজের কাজ কিছু করেননি। আমরা রাত দিন প্ররিশ্রম করে আমাদের ব্যবহারের সড়ক আমরা নিজেরায় তৈরি করছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।