ভীষণ ঔদ্ধত্য আজকাল সিএনজি চালকদের। ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই যাত্রীদের প্রতি। প্রত্যেকটা সময় অপমানের চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে যায়। খুব মন খারাপ লাগে বিভিন্ন সময়। যতটা পারি ওদের প্রতি মানবিকতা প্রকাশ করতে চাই।
ইচ্ছাকৃত কিছু পরিস্থিতি তৈরি করে যাত্রীদের হেনস্তা করার প্রবনতা ওদের বেরেই চলেছে দিনের পর দিন ! কন্ট্রাক্ট এ ভাড়া ঠিক করেও পূর্বের উঠে থাকা ভাড়াসহ মিটার অন রেখে গাড়ি চালাবে, মিটার অফ করতে বললে বা রিস্টার্ট করতে বললে অযথাই এমন সব কথা বলে তাতে করে বোঝাই যায় কি মতলব!
ইদানিং আরও একটা ফাজলামি করে, মাঝ রাস্তায় এসে জিজ্ঞেস করে --
চালকঃ কোথায় নামবেন ?
যাত্রীঃ কেন নিকেতন !
চালকঃ নিকেতন...? আপনি না ভাড়া ঠিক করলেন ইস্কাটন...
যাত্রীর তখন চালকের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভাঙ্গে...
যাত্রীঃ কেন আমি ইস্কাটন বলব কেন, স্পষ্ট আপনাকে গুলশান নিকেতন যাব বলে পল্টন থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া ঠিক করেছি...
চালকঃ না না আমাকে বলেছেন ইস্কাটন...
যাত্রীঃ আরে ইস্কাটন কি পল্টন থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া ?
চালকঃ হ্যাঁ...আমি আপনাকে এই ভাড়াতে ইস্কাটন পর্যন্তই নিয়ে যাব...
এদের লোভ যে কি পরিমাণ বেড়েছে ভাবতে অবাক লাগে !!
আর যদি কোনোরকমে যাত্রীর উপর চালক মনঃক্ষুণ্ণ হন তাহলে ঐ যাত্রীর শারীরিক ক্ষতি করার ব্যাপারে তাদের কোন কমতি থাকবেনা।
গাড়ির গতি ইচ্ছামত বাড়ানো, ডানে-বাঁয়ে ঝাঁকুনি, হঠাৎ ব্রেক কষা, গাড়িতে সমস্যা হয়েছে বলে আধা ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা, সামনে জ্যাম তাই এখানেই নামতে হবে, আপনার আফিসে দেরি হলে আমার কি? আমাকে তো গ্যাস নিতেই হবে।
এছাড়াও বাড়তি ভাড়া দেওয়ার পরও ভাংতি নেই বলে টাকা ফেরত দিতে অনিচ্ছা বা আর কিছু বাড়তি টাকা নেওয়া। পুলিশ ধরলে যাত্রী কে দিয়ে মিথ্যা কথা বলানো সহ আরও অনেক বেআইনি কাজ , উদ্দেশ্যপূর্ণ চালাকি এরা চালিয়েই যাচ্ছে ।
আমি একা এই বিশাল অসুবিধার সমাধান করতে পারব বলে মনে হয়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।