রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে ... গণতান্ত্রিক দেশে সভা সমাবেশ করার অধিকার সবারই আছে। সেই অধিকারে হেফাজতে ইসলাম মতিঝিল শাপলা চত্বরে "শান্তিপূর্ণ সমাবেশ" করার অনুমতি পায়। সকাল থেকে মতিঝিলে সমাবেশ শুরু হল। শাপলা চত্বরে একদিকে মতিঝিলে উগ্র কর্মী সমর্থকদের উদ্দ্যত্ত পূর্ণ ভাষণ চলতে থাকলো , অন্যদিকে তারা অবরোধের নাম অরাজকতা করতে শুরু করলো ঢাকার ভিতরে এবং ঢাকা প্রবেশমুখে বিভিন্ন পয়েন্টে। সারা দিনভর চলল জ্বালাও পোড়াও।
এভাবেই দিনভর চলতে থাকল শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকার পতনের হুমকি, সরকারের "পালানোর পথ খুঁজে পাবে না" এসব বাকুম বাকুম ।
বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিং করে সৈয়দ আশরাফ সাহেব সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামকে ৬ টার পর চত্বর ছেড়ে চলে যেতে বললেন। তিনি জানিয়ে দেন ৬ টার পর চত্বর ছেড়ে না দিলে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে। ঠিক তার কিছুক্ষন পর সমাবেশ থেকে আশরাফ সাহেবেকে চ্যালেঞ্জ করে হেফাজতের নেতা কর্মীরা বক্তব্য র্রাখেন "আশরাফ সাহেব আমরা এখানে থাকব, আপনারা বরং পালাবার পথ খুঁজুন। " সন্ধ্যা নেমে আসার পর হেফাজতের জ্বালাও পোড়াও আরো ভয়ংকর রূপ নেয়।
ওরা একের পর এক পুড়িয়ে থাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। আজাদ প্রডাক্টস, কে এফ সি, হাউজ বিল্ডিং, বায়তুল মোকারমের একাংশ, ফুটপাথের দোকান পাট। রাস্তার ডিভাইডার, গাছ পালা থেকে শুরু করে রক্ষা পায় নি এটিএম বুথ ও।
একটা দেশে রাষ্ট্র যন্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী কেউ নয়। রাষ্ট্রযন্ত্রের সহনশীলতাকে হেফাজত দুর্বলতা ভেবে নেয়।
আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেঁধে দেয়া সময় পার হয়ে যাওয়ার পর হেফাজতের নৃশংসতা আরো বেশি বেড়ে যায়। মূলত সকাল থেকে রাত ২ ঘটিকা পর্যন্ত হেফাজত কি করতে পারে তা দেখিয়ে দিল পুরো জাতিকে। এরপর রাত ২:১৫ ঘটিকায় শুরু হল সরকারের বুঝিয়ে দেয়ার পালা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়।
তো মূলত আমাদের যেটা আশা ছিল, পুলিশ বিজিবি এসে হেফাজতকে বলবে, "বাবারা আর দুষ্টুমি করেনা, এবার বাড়ি চলে যা। " উত্তরে হেফাজত বলবে "না যামু না", এই বলে কয়েকটা পুলিশের মাথা থেথলে দেবে।
কিন্তু এমনটা হল না। পুলিশ নৃশংসভাবে দাবড়ানি দেয়া শুরু করল। ঠিক এইখানেই আমাদের যত আপত্তি। পুলিশ কেন এদের দুটো চুমু দিল না, এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তারা শুধু পল্টন মতিঝিল কেন তছনছ করবে, যারা মিরপুর উত্তরা থাকেন তাদের কি কোনো শখ থাকতে নাই? তারা কি এই আগুনে একটু জ্বলার অধিকার রাখে না ? কিন্তু এই বাকশালী সরকার সেটা হতে দিল না।
তাই তীব্র নিন্দা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।