সাধারন একজন লোক, চিকিৎসা বিজ্ঞানে আগ্রহী। এখনকার সময়ের এক জনপ্রিয় পানীয় হলো কফি। Coffea canephora আর Coffea arabica হলো কফি গাছের দুটি নাম, এই গাছের পাকা বিন/ফলকে প্রসেস করার পরই আমরা বাজারে প্রচলিত কফি পাই।
সাধারণতঃ কফি গাছ থেকে ফলকে হাতে তোলা হয়, তারপর এর বাইরের অংশকে মাড়ানো হয় মেশিনে, ফলে বীজ বের হয়ে আসে। এই বীজকে তখন ফারমেন্টেড করে এর স্লাইমি স্তরকে দূর করা হ্য়।
এরপর এই বীজকে রোস্ট করা হয়, তখন এর তাপমাত্রা ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছে। এই রোস্টেড কফি বীজকে গ্রিন্ড করে আর পানিতে বয়েল করেই আমরা পানের জন্য কফি পাই।
আমরা সবাই জানি যে এই কফি হলো ক্যাফেইনের একটা ভালো উৎস। ক্যাফেইন হলো এক ধরনের এক মাত্র পানিতে দ্রবণীয় অ্যালকালয়েড, যেটা আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উদ্মিপিত করে। ক্যাফেইন আমাদের মেমোরিকে ভালো করে আর অ্যানালাইটিক্যাল অ্যাবিলিটিকে বাড়ায়।
মনে করা হয় যে আলঝিমারস্ ডিজিজে ক্যাফেইন ভালো কাজ করে। যদিও ক্যাফেইনের এত ভালো কাজ আছে, কিন্তু বেশি পরিমান ক্যাফেইন গ্রহন ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। এর মধ্যে হার্টরেট আর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, ইররেগুলার হার্ট বিট অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ক্যাফেইন ছাড়াও কফিতে প্রায় ১০০০ ধরনের সুগন্ধি রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে ক্লোরজেনিক এসিড (সিজিএ), একটা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফ্রি-রেডিক্যাল থেকে আমাদেরকে বাচাতে পারে।
গ্রীন আনরোস্টেড কফি বিনে প্রায় ১২ ভাগ সিজিএ থাকে, আর এর কারনেই কফির স্বাদ তিতকুটে হয়। এক কাপ কফিতে প্রায় ২০-৬৭৫ মিগ্রা সিজিএ পাওয়া যেতে পারে, এটা ডিপেন্ড করে কফি বিনের রোস্টিং টাইমের উপর। আরও যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুলা থাকে তা হলো, কুইনিক এসিড, প্যারা কমারিক এসিড, ক্যাফেইক এসিড, ফেরুলিক এসিড ইত্যাদি।
ক্লোরজেনিক এসিড অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। হাইপারটেনসন, ডায়াবেটিসের প্রতিরোধে এটা একটা খুবই ভালো মোলিকিউল বলে ধরে নেয়া হয়।
তা ছাড়াও এটা রক্তের লিপিড লেভেলকে কমায়, ইনসুলিনের পরিমান বাড়ায় আর গ্লুকোজ লেভেলকে ঠিক রাখে। হাইড্রক্সিহাইড্রকুইনোন বলে একটা কমপাউন্ড কফির হাইপারটেনসিভ বিহেবিয়ারের জন্য দায়ী বলে ধরা হ্য়, কাজেই একে কফি থেকে দূর করতে পারলে এটা বেশিরভাগ রক্তচাপের রোগীদের জন্য একটা দারুন পথ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
রিসেন্ট গবেষণায় দেখা গেছে মডারেট কফি পানে হার্ট ফেইরলরের চান্স ও পরিমান কমে যায়। কাজেই কফি পান করুন প্রতিদিন এক বা দুই কাপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।