ভাবনার জালে বন্ধী,তুমি-আমি লুল কলিমদ্দি গার্লস স্কুলের দেয়ালে হেলান দিয়া লুলামি করিতেছিল। এমন সময় পুলিশ আসিয়া তাহাকে প্যাদানি দিল। সেই প্যাদানি খেয়ে কলিমদ্দি আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করিয়া চিৎকার করিয়া উঠে। সেই চিৎকারে কোন ললনার মন না গলুক তাহার একটি ভাগ্নে জুটিয়া গেল। গল্পের শুরুতেই আমাদের এই মামা কলিমদ্দি সম্পর্কে কিছু বলিবার অবকাশ রহিয়াছে।
মামার এক পা কবরে চলে গেলেও, তাহার যৌবন এখনো ফুরায়নি। চুলে কালো কলপ মাখিয়া, কোট-প্যান্ট পরিয়া নিজেকে মধ্যবয়সী যুবকে পরিনত করিবার চেষ্টা তাহার সর্বদাই ছিল। মামার একটা সিঙ্গারার দোকান আছে। ঐখান থেকে যা আয় হয়, তাহা দিয়া তাহার লুলামির কলপ কিনার সমস্ত খরচ বহন করা চলে।
যাহা বলিতেছিলাম, মামার একটা ভাগ্নে জুটিয়া গেল।
ভাগ্নে মোটামুটি শিক্ষিত বিধায় মামাকে বিভিন্ন বুদ্ধি দিয়া সহায়তা করিতেছিল। বিনিময়ে মামার দোকানের দিনের প্রথম সিঙ্গারাটা তাহার উদরে পাচার করিতেছিল ভাগ্নে। ভাগ্নে একদিন মামাকে আসিয়া কহিল,
-মামা, এইভাবে গার্লস স্কুলের সামনে দাঁড়াইয়া কোন লাভ হইবেনা। আজকালের মেয়েরা অনেক আধুনিক হইয়াছে। তাহারা স্কুলে না আসিয়া ব্লগ এবং ফেসবুকে সময় অতিবাহিত করে।
ঐখানে গেলেই তাহাদের সন্ধান এবং তাহাদের হৃদয়ের সন্ধান মিলিবে।
লুল কলিমদ্দি মামার চোখ চকচক করিয়া উঠিল। উনি কিছু পৈত্রৃক সম্পত্তি বিক্রি করিয়া দুইখানা ল্যাপটপ ও একখানা ডেস্কটপ কম্পু কিনিয়া ফেলিলেন। ভাগ্নে এই দৃশ্য দেখিয়া মুচকি হাসিল। মামাকে বুদ্ধি দিয়া খসানোর মজা সে এতদিনে বুঝিয়া গিয়াছে।
ভাগ্নেকে হাসিতে দেখিয়া মামাও মনে মনে একটা অট্টহাসি দিল। কারন মামা জানিতেন, মামা যতটা চালাক মামার ভাইগ্না ততটা ভোদাই ছিলো। মামা ঘরে বইসা খালি চোখ টিপতো আর ভাইগ্না মাঠে যাইয়া যুদ্ধ করত। ভাইগ্না তো না যেন দেয়ালের ডিস্টেম্পার লেগে আছে, ঝড় বৃষ্টি কিছুতেই ছাড়ানো যায় না। ব্রাভো! মামা মনে মনে ভাগ্নের পিঠ চাপড়াইয়া দিলেন।
মনে মনে পিঠ চাপড়াইতে গিয়া মামা কিঞ্চিৎ যৌন সুখ অনুভব করিলেন। তথাপি মামা মনে মনেই ভাগ্নের পিঠ থেকে হাত সরাইয়া ফেলিলেন।
যাহা হোক, অন্তর্জালের দুনিয়ায় প্রবেশ করিয়া মামা দেখিলেন ভাগ্নের কথাই ফলিতেছে। এইখানে মেয়েদের অভাব নাই। আর ভাগ্নের সরলতাকে পুঁজি করিয়া মামা লুলামির মাত্রা বাড়াইতে লাগিলেন।
মামা মনে মনে উদাস হইয়া ভাবিলেন, আহা, কতইনা পুলিশের প্যাদানি খাইলাম। ডাকাত বংশ বলিয়া বাচিয়া আছি। নইলে ঐসব প্যাদানিতে মানুষ বাঁচে!
আর এইখানে! কোন প্যাদানীর ভয় নাই। শুধু আড্ডার নামে সবাইকে সিঙ্গারার দোকানে আনিয়া গোটা দুয়েক সিঙ্গারা খাইয়ে দিলেই হল। কেউ কেউ গোটা দুই সিঙ্গারা খেয়েই কেটে পড়িল, আবার কেউ সিঙ্গারার প্রেমে পড়িয়া মামার প্রেমে পড়িয়া গেল।
মামা সুখেই দিনাতিপাত করিতেছিলেন। কিন্তু কথায় রহিয়াছে, সুখে থাকিলে ভূতে মাইন্ড করে। মামার ভুতেও মাইন্ড করিল।
তিনি লোকমুখে মামা ডাক শুনতে শুনতে যখন ক্লান্ত তখন তিনি হরমুজ নাম ধারন করিলেন। হরমুজ নামের পাশাপাশি তিনি তাহার এক কবি বন্ধুকে দিয়া কবিতা লেখাইয়া নিজের নামে অন্তর্জালে ছড়াইয়া দিতে লাগিলেন।
মামা কবি হরমুজ হইয়্যা প্রসিদ্ধ হইলেন। কবিত্ব ধরিয়া রাখিতে তিনি চুল বড় রাখিলেন। উহাতে কিছু বোকা লোক বিভ্রান্ত হইয়্যা তাহাকে মেয়ে ভাবিয়া তাহার প্রেমে পড়িয়া গেল। এর পাশাপাশি মামা হইয়্যা অন্তর্জালের নারীসকলের হৃদয়ে বারবার উঁকি দেওয়াও চলিতে থাকিল। কিন্তু বিধিবাম! মামা ধরা পড়িয়া গেল! তাহার সকল পরিচয় উন্মুক্ত হইয়্যা পড়িল।
ব্লগের ত্যাদড় কিছু ভাগিনা, যাহারা মামার দোকানে একদা সিঙ্গারা গিলিয়াছিল তাহারা মামাকে জুতাপেটা করে ব্লগছাড়া করিল। কি নিষ্ঠুর এই ব্লগ! মামা কান্না লুকাইয়া ব্লগ ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন, চলিয়া যাইতে বাধ্য হইলেন।
মামাবিহীন ব্লগে ভাগিনা উদাস হইয়্যা একা একা ঘোরে। সকালে ঘুম হইতে উঠিয়া মামার দোকানে গিয়া সিঙ্গারা খাইয়্যা আসে আর মামাকে বলে, তোমাকে ফিরাইয়া আনিবোই আনিব। অতঃপর ব্লগে গিয়া মামার স্তুতি করিয়া উত্তমরুপে প্যাদানি খাইয়্যা আসে।
রাতে মামা তাহার পচ্ছাৎদেশে হাত বুলাইয়া দেন। তারপর মামা-ভাগিনা মিলিয়া গলাগলি করিয়া কি করেন তাহা আর না বলিলাম। ১৮+ লিখিয়া দিলেও বাচ্চা ব্লগাররা ঢুঁ মারিয়া যায়।
কিন্তু সত্য বাদি ভাগিনার জয় একদিন হবেই। নিজের লুঙ্গি খুলে হলেও মামার ইজ্জত সে রাখবেই।
দুষ্ট লোকে বলে, ওহে ঠিকাদার সেনাপতি তোমার টুন্টু দেখা যায়।
রাজ্য বিজয়ের হাসি দিয়ে সে বলে মামার ইজ্জত রাখাই একজন নুন খাওয়া ভাগিনার কর্তব্য।
(একটি ময়নাতদন্ত গ্রুপ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।