স্বার্থপরতাকে ঘৃণা করি তীব্রভাবে মজিদ মাদ্রাসায় পড়ে , তো মাদ্রাসায় পড়ার শেষদিন সবাই মিলে হুজুরের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসলো কিন্তু মজিদ কিছুই আনতে পারলো না । সে মন খারাপ কইরা বসে রইল । হুজুর তারে ডেকে বললেন , " কিরে, সবাই তো কিছু না কিছু নিয়া আইছে , তুই তো দেখি কিছুই আনলি না ??
মজিদ মন খারাপ করে বলল । " হুজুর, আমি কি করমু ? আমি তো নানাবাড়িতে থাকি । বাপে সাথে থাকে না ।
আমি অনেক গরীব । "
হুজুর কইলো , ঠিক আছে , " তাহলে তুই তোর আম্মারে বল , আমারে গোস্ত রান্না কইরা খাওয়াইতে । তাইলেই হইবো ? "
মজিদ ওর আম্মারে কান্না কইরা এই কথা জানাইলে ওর আম্মা কয় , " এইটা কোন ব্যাপার হইলো ?? আমি কালকেই গোস্ত রান্না কইরা দিমু । আমার কাছে যেই টাকা আছে তা দিয়া গোস্ত রান্না করার টাকা হইয়া যাইবো । "
পরের দিন মজিদ একটা পাতিলে গোস্ত নিয়া হাটা শুরু করলো ।
হঠাত কইরা যে দেখলো তার বন্ধুরা মাঠে ফুটবল খেলতেছে । সে নিজেও খেলতে নেমে গেলো । কত্তক্ষণ পরে দেখে , একটা নেংটি কুকুর সেই গোস্তের পাতিলে মুখ দিয়ে খাইতেছে ।
সে তো দৌড় দিয়া এসে কুকুর তাড়াইল । দেখে কুকুর শুরু গোস্তের উপরে যেই সর পড়ছে তা খেয়ে ফেলছে ! সে ভাবল , এটা আর এমন কি ? দেখে তো আর বুঝা যায় না কিছু ।
সে সেটা নিয়েইও হুজুরের বাড়িতে গেলে হুজুর খেতে বসলো ।
হুজুর খাওয়া শুরু করে বললো , " বাহ, তোর আম্মার রান্নার হাত তো খুওব ভালো । অনেক মজার হইছে । "
মজিদ কইলো , " হুজুর, এইটা আর কি স্বাদের । কুত্তা যদি সরটা না খাইতো তো বুঝতেন টেস্ট কারে কয় ?? "
হুজুর তো রাইগ্যা আগুন , কয় " হারামজাদা , এইটা কি করলি ?? " বলেই পাতিল ঢিল মাইরা ফেলে দিলো ।
পাতিল ভাংগার পড়ে মজিদ জোড়ে জোড়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো ?
হুজুর কইলো , " ওই হারামজাদা , তুই কাদনস কেন ?? "
মজিদ চিল্লাইয়া কইলো , " আপনে যে পাতিল ভাইঙ্গা ফেলছেন ওই পাতিলে আমার নানী রাইতে প্রেসাব করতো । উনি আমারে বাড়িত গেলে পিটাইবো । "
এবার আপ্নারাই কন , হুজুর এখন কি করবে ?? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।