অফসিজনে বা অসময়ে ফর্মালিন/প্রিজারভেটিভ কোন ক্ষতি করতে পারে না। বাংলাদেশের বাজারে একটি গবেষণায় এ তথ্যা পাওয়া গেছে। ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা, কেমিক্যাল ক্ষতি করে তাও আবার সিজন দেখে? হ্যাঁ এই মারাত্মক বিষয়টি আপনি নিজেই একটু যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন যে বিষয়টি কতটা সত্যা। এই গবেষণার জন্য আপনাকে কোন কেমিষ্ট বা কোন পরীক্ষাগারে যাবার দরকার নাই। কিভাবে ক্ষতি করে না তার একটা প্রামাণ দেখেন।
গবেষণা- (১)
আম ঃ
কিছু দিন আগে চলে গেল আমের সিজন বা সময়, তখন প্রতিদিনই কোন না কোন পত্রিকায় কেমিক্যাল মিশ্রিত আম নিয়ে লেখা দেখা যেত, দেখতে পাওয়া যেত ছোটখাটো অভিযানও। কিন্তু বর্তমানে সে সকল বিষয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় কোন নিউজ বা লেখা চোখে পড়ে না। যেমন ল্যাংড়া/হিমসাগর আম বাজারে আসে প্রায় সবার আগে যা গত হয়েছে মাস দুয়েক আগে। কিন্তু এখন বাজারে বেশ সুন্দর আকর্ষণীয় ল্যাংড়া/হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে এবং সেগুলো বেশ উচ্চ মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। এগুলো কিনছে আমাদের উচ্চ এবং সদ্য মধ্য বৃত্ততে পা রাখা উঠতি পয়সাওয়ালা লোকেরা।
যদি ফরমালিন কোন ক্ষতি করত তা হলে কি এই উচ্চ বৃত্ত শিক্ষিত সমাজ সেটি ক্রয় করত? অসম্ভব।
কমলা লেবু-
এখনকার কমলালেবু মুখে দিলেই বোঝা যায় কেমিক্যালের মাত্রা কতটুকু। কোন পরীক্ষাগার ছাড়াই নাক নিজেই এর অষুধের মাত্র বের করতে সক্ষম। কিনছে উচ্চ বৃত্ত ও উচ্চশিক্ষিত কই! তাদের তো কোন ক্ষতি করছে না ।
মালটা-
ফলটা আসে বাইরে থেকে তাই কেমিক্যাল টেমিক্যাল যাই দেয়া থাক সব জায়েজ।
মাঝে মাঝে অষুধের গন্ধ পাওয়া গেলেও দোষের কিছু নাই।
টমেটো-
এই টমেটোর সিজন শেষও প্রায় ৩/৪ মাস আগে। কিন্তু বাজারে বেশ চড়া মূল্যে লোভনীয় টমেটো পাওয়া যায় যার ক্রেতা প্রায় সকল শ্রেণীই।
গাজর-
ইনি আসছেন সদুর ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য কিনে হউন ধন্য এই স্লোগান নিয়ে ক্রেতা সাধারণ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন এই গাজর ক্রয়ে।
মাঝে মাঝে অবশ্য উটকো কেমিক্যালের গন্ধ আসে তাতে কি? অফসিজনে কিনে ফুটানি তো দেখানো যাচ্ছে।
নিম্ন বৃত্তের কাচকি মাছ -
বাড়ীতে যখন কাচকি মাছ ধরতাম সে মাছকে ভাল রাখার জন্য সময় পেতাম মাত্র কয়েক ঘন্টা কিন্তু ঢাকা শহরে দিনের পর দিন বেশ শক্তপোক্ত থাকে এই মাছ বাবাজি। নিম্ন বৃত্ত চোখের উপকারের জন্য লাইন ধরে কিনে মজা করে খায়।
সো এ কথা প্রমাণিত যে ফরমালিন এখন তার ক্ষতির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সিজন বা মৌসুম পার হলেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।