আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে রয়েছো নয়নে নয়নে

সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ! ১. বেঁচে থাকার শব্দ শুনছি। ওপাশে উঠান ঝাঁট দিচ্ছে কেউ। শুকনো পাতা উড়িয়ে দিয়ে অবেলায় বেঁচে থাকার কথা বলছে সেও। কিছু শব্দ না চাইলেও শোনা যায়। বেঁচে থাকাটা এমন! অথচ কেউ তো বেঁচে থাকেই এভাবে পা মাড়িয়ে গেলে তার চোখ উপড়ে নিলে আর গা কচলে দিলেও শব্দ আসেনা আহ! অথচ এও তো তার বেঁচে থাকায়।

২. একসময় সুখ তোমাকে ক্লান্ত করে দেবে। সমস্ত অতীত বলে বেদনার আছে অতৃপ্ত তনু। সুখের পোষাক আর ঝলমলে আলো ঘাম চুঁইয়ে ফেলে। একসময় সুখ থেকে তুমি পালাতে চাও। তোমার ভাল লাগে স্বপ্নের আগে! আঁধারেই কেন বোনা থাকে স্বপ্নের সুতো কাজ।

তুমি দেখবে সন্ধ্যা মেলার সময়টা - কত বেশি ভাল আজ। আলো আর আঁধার! শুধু সুখ তোমাকে অসুখে ফেলে তাই সহজেই। আঁধারের খোঁজে যেতে থাকো দূরে পাল তোলা মেঘে হাওয়া। তোমার ভেতরে বাড়তে থাকে ভুল বাড়তে থাকে ক্লান্তি হারাতে চাওয়া। ৩. কথা বোলনা শুধু শুনে যাও কি করে সুর তোলে গাতক।

আমাদের গানগুলো তাকে দিয়ে দেব। অজস্র বকুলগন্ধা স্মৃতি অথবা নদীময় চাওয়া। আমরা যা চাই চোখে অশ্রু নিয়ে। আমরা জেনেছি ঈশ্বর নদী ভালবাসে। ঈশ্বর মানুষের চেয়ে ভালবাসে মানুষের চোখ।

নদীময় চোখ। শুধু শুনে যাও। নদীরও থাকে বয়ে যাওয়া সুর। আমাদের লিখে দেয়া গান। ৪. একটা নিরব বিকেলে তুমি কান্না শুনতে পাও।

তিতিরেরা ঘরে ফেরে। তুমি ভাবো প্রেম ফিরে পেলে তুমিও কাঁদতে। সুখ আর অশ্রুতে মিলে যেত তোমার সময়। জানোতো বরফ রঙের অশ্রুতে থাকে আগুনের আঁচ। তাই গলে যায় সাধ বুনো তোমাকে পাবার! ৫. এখন আর না বললেই নয় তোমাকে লেখা সাধারন চিঠি আমি দিয়েছি এক অচেনা বাহকের হাতে।

তুমি তা কখনো পাবেনা। শৈশব আমাকে শিখিয়েছিলো কি করে মেঘ মাখাতে হয় খুলে রাখা ক্যাপে। তারপর যেনো তা ঝরে শ্রাবনের এগারো তারিখে! হারানো চিঠিটি ছিল কাগজের নৌকো। বাগানের জমা জলে ভাসিয়ে দেয়া বানাতে শিখেই! ৬. একেকটা দিন কি করে যে যায়! না যেতো অথবা ক্যালেন্ডারে ধরো এ দিনটায় নেই। এমনতো হতেই পারে! ঘুরে ঘুরে কেন প্রতি সপ্তাহ আসে! ধরো আজ তুমি নেই বলে এ দিনটাই নেই।

ফ্যাকাসে হলুদ ঠোঁটের একটি পাখির মত দিন। পাখিরা যা করে আর কি! ধরো উড়ে চলে গেছে। ৭. রাত্রির অন্ধকার নীল খামের ভেতর সারাদিন পর প্রেম বলতে সেই পুরোনো অন্ধকার ই! সেই বিষাদময় ভালথাকা। দীর্ঘ চেনা জীবনকে ভ্রমনের শেষে কে বলতে পারে এ পথে তার বেদনার শেষ! আগুনের পরে শ্রাবনের মেঘ পাতানো বাহারি! ৮. আজ পত্রিকার পাতায় ছিলনা প্রত্যাশিত খবর। পুরনো আমলের দোতলা দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তার পাশে।

ভোর হলে একটা বরফ রঙের ল্যাম্পপোস্টে দেখা গেলো রোজকার বড় বড় হরফ। ঘোলা জলের কালিতে লেখা আকাশ থেকে নামছে তি তি র! লচি মাছের ডালি নিয়ে মাছওয়ালা বুড়ো চাচাটা এলো। স্কুল গুলো টুপটাপ খুলে গেলো সময়ের সাথে। শুধু আমিই এসে দাঁড়ালাম একা। দরজা খুলে কেউ হেসে বললোনা, "কি খবর?" ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।