বাংলাদেশিদের মতো এত স্বার্থপর জাতি মনেহয় পৃথিবীতে আর একটাও নেই। আমাদের জাতীয় প্রবাদ হচ্ছে ''নিজে বাচলে বাপের নাম'',যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনকিছু আমাদের ঘাড়ে এসে পরে ততক্ষন পর্যন্ত আমরা কোন কিছু নিয়ে উচচবাক্য করিনা। নিজে ভাল আছি, বেকার ঝামেলায় যাওয়ার কি দরকার, দেশ গোল্লায় যাক। আর দেশ নিয়েতো ভাবার অনেক লোক আছে। এই হচ্ছে আমাদের মনোভাব।
কোথাও খারাপ বা অন্যায় কিছু হলে আমরা ভাবি কি লাভ প্রতিবাদ করে কিছুই তো ঠিক হবেনা। তারচেয়ে খাই দাই ঘুমাই নিজের কাজ করি। এই তো বেশ ভাল আছি। এভাবেই আমরা একটা অন্যায় থেকে আরেকটা অন্যায় এর জন্ম দিচ্ছি। টের পাচ্ছি তবু গায়ে মাখছি না।
ভাবছি তাতে আমার কি আমি তো ভাল আছি। আমরা একটা অন্যায় কে প্রশ্রয় দিয়ে আরেকটা অন্যায় এর ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা জেনে বুজে খুব সুস্থ মস্তিস্কে অন্যায়কারিকে অন্যায় করার সুজগ করে দিচ্ছি। কেউ প্রতিবাদ করছে না, আবার অনেকে এ বলে পাস কাটছে যে ওদের কে এত পাত্তা দেয়ার কি আছে। এভাবেই আসতে আসতে ছার দিয়ে দিয়ে আমরা একটা ফ্রাক্কেস্তাইন তৈরি করছি যেটা এখন আমাদের উপরি চেপে বসেছে।
খারাপদের মধ্যে বেশি খারাপ হচ্ছে তারা যারা বিভিন্ন দলের অন্ধ সমর্থক। তাদের দল যাই করুক, বলুক টা যতবড় অন্যায়ই হোক না কেন এরা চোখ বন্ধ করে তালি বাজায়, নির্লজ্জের মতো পক্ষে সাফাই গায়। ঘরের মধ্যে এসে কেউ মেরে যাক, শেয়ার বাজার থেকে লক্ষ কোটি টাকা লুট করুক, দেশ কে ইজারা দিয়ে দিক, বোমা মেরে বিরোধী পক্ষকে মেরে ফেলুক, দুর্নীতি করে লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করুক, স্বাধীনতা বিরোধীদের দের পুনর্বাসন করুক, যুদ্ধাপরাধিদের মন্ত্রী বানাক, রাজাকারদের পাশে নিয়ে আন্দোলন করুক, স্বাধীনতা বিরোধীরা নিজেদের স্বাধীন বাংলার রুপকার হিসেবে পরিচয় দিক তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা ভাবি কি দরকার ঘরের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানোর। হায়রে বাঙালি!!! যে ঘুমায় থাকে তাকে জাগানো যায় কিন্তু যে জেগে থেকে ঘুমের ভান করে তাকে কার বাপের সাধ্য ঘুম থেকে জাগানোর।
তাই আমরা সময় মতো জেগে জেগে ঘুমাই, সময় হলে বগল বাজাই, হাত তালি দেই। হয়ে যাই লজ্জাহীন এক স্বার্থপর জাতি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।