টক দই অনেকেই পছন্দ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে ভিন্নতাও রয়েছে। অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন না কেননা তাতে মিষ্টি বলতে কোন স্বাদ থাকে না। কিন্তু টক দই এর অনেক উপকারীটাই আমাদের অনেকের অজানা।
টক দই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে
টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে।
টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক তাই এটি পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
টক দই হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে ।
কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়।
টক দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়, এটি দুধের চেয়ে অনেক কম সময়ে হজম হয়। তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে এটি খেতে পারেন।
টক দই রক্ত শোধন করে।
উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ এর রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরকে সরবরাহ করে ।
টক দইয়ে আমিষ থাকে, যেহেতু আমিষ হজম হতে সময় লাগে, তাই পেট ভরা বোধ হয় ও শক্তি পাওয়া যায় | অতিরিক্ত খাবারও খেতে ইচ্ছা করে না।
এর পুষ্টি উপাদানগুলো হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে দ্রুত শরীরকে শক্তি দেয়।
টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে | তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে ভালো।
ঘরে পাতুন টক দই
উপকরণ :
দুধ ১ লিটার,
পানি ১ কাপ,
দইয়ের বীজ (আগের দই) ১ টেবিল চামচ,
মাটির হাঁড়ি ১টি।
প্রণালি: দুধে ১ কাপ পানি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। দুধে বলক এলে আঁচ কমিয়ে দিন।
মৃদু আঁচে ১৫ মিনিট দুধ জ্বাল দিন। দুধ মাঝেমধ্যে নাড়তে হবে। হাঁড়ির তলায় যেন ধরে না যায়। দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়তে থাকুন। দুধ কিছুটা ঠান্ডা হলে মাটির হাঁড়িতে ঢালুন।
কুসুম গরম থাকতে দইয়ের বীজ দিয়ে নেড়ে দিন এবং ঢেকে রেখে দিন। চার-পাঁচ ঘণ্টা পর দই জমে যাবে। ঠান্ডা হওয়ার জন্য ফ্রিজে তুলে রাখুন ঘরে পাতা টক দই।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট থেকে নেয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।