প্রকৃত আলোয় আলোকিত হউক সবার হৃদয়। মাদ্রাসা শিক্ষাকে নেতিবাচক, অপ্রয়োজনীয় এবং পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে উপস্থাপনে আমাদের একশ্রেণির বুদ্ধিজীবি উঠে-পড়ে লেগেছেন। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আন্দোলন সংগ্রাম করে মাদ্রাসা ছাত্ররা কিছু বাধা অতিক্রমও করছে। এমনকি মাদ্রাসা ছাত্রদের জংঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করে সংবাদ পরিবেশনেও আমাদের অনেক সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম সক্রিয়।
সদ্য প্রকাশিত এইচ এস সি ও আলিম পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত নিউজ জানার জন্য আমি একটি স্থানীয় দৈনিক কিনেছিলাম। কয়েকদিন পূর্বে ভাল করে পড়তে গিয়ে আমার কাছে আমাদের জেলার মাদ্রাসা ও কলেজগুলোর ফলাফলের এক বিষ্ময়কর দিক ধরা পড়ে। তা হল শতভাগ পাশের হার অর্জন করা মাদ্রাসা ও কলেজের সংখ্যা। এবার চাঁদপুর জেলায় মোট ৪৭টি কলেজ ও ৯৩টি মাদ্রাসার ছাত্ররা যথাক্রমে এইস এস সি ও আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য হতে শুধুমাত্র ১টি কলেজ শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করে।
অন্যদিকে ৩৯টি মাদ্রাসা শতভাগ পাশ পায়। শতকরা হিসেবে যা ২.১১% ও ৪১.৯৩%। শিক্ষা বিষয়ে যারা চিন্তা ভাবনা করেন তারা পরিসংখ্যানটির চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে পারবেন। আমার ধারণামতে পাশের হার যেকোন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি বিবেচ্য বিষয়। সে হিসেবে মাদ্রাসাগুলো কলেজগুলো থেকে অনেকখানি পথ এগিয়ে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।