একটা আটপৌরে ঘরোয়া সাদামাঠা প্রেমের কবিতা লিখতে চাই ১.
পঙ্কিল গহ্বরে আটকে আছে বিদঘুটে সময়। ফেরারী আলো চলে গেছে সেই কবে। ক্লান্ত ফেরীওয়ালার ঝাপি ভরে গেছে বন্ধ্যা শব্দের জটে । শোকিত শকটের চাকা দেবে গেছে প্রাক গতির জঞ্জালে।
অঘোরে ডুবে যায় অপুষ্ট অহমগুলো, যারা ভেবেছিল দৈনন্দিন শিরোনামে তাদের অবস্থান সুনিশ্চিত।
কথিত ক্যাবারে মঞ্চে বেভুলে নেমে আসে কম্পিত ভঙ্গিমা। শিহরিত চারপাশে উন্মাদিত প্রেতাত্মা। খসে পড়ে প্রাচিণত্বের অর্বাচীণ মুখোশ।
ঠিকরে পড়া অর্কেষ্ট্রার সুরে মেদহীন জেনার। অদ্ভুতুরে সঞ্চালন প্রিয় কবিতার খাতায়।
বোদ্ধতার আতিশয্যে বেশুমার ছন্দপতন।
তবু লিখে চলা ধূসর বিকেল বেলা।
২.
সাম্পান যায় ভেসে অজানায়
কূল হারা অকূল ঠিকানায়
শৈবাল স্বপ্ন থেকে যায় কল্পনায়
তুমি বাতিঘর হয়ে
বাড়াও হাত আপন মহিমায়।
সুফলা চর জাগে ঊর্মীবালার কোলে,
ভীরু মাল্লার কম্পিত হাতে ক্ষয়িষ্ণু হাল
থেমে থেমে কেঁপে ওঠে চুপসানো ভেজা পাল।
পূজারী তোমার নৈবদ্যের ডালিতে তুলে দিলাম ঘ্রাণহীন ২৯ গোলাপ-
যার পাপড়ীতে শুধুই অপলাপ।
রোশনাই মন্দিরে শত আলোকের ভিড়ে
নিমলিত শিখার প্রদীপ তোমার উজালায় জোছনা কুড়ায়।
পরযায়ী সারলি বাধা পড়ে নূপুর বাধনে, সজ্জিত আঁচলে।
৩.
চাঁদ কণ্যা এসো তোমার আলোয় জোছনা উৎসব করি প্রিয় আলিঙ্গনে।
৪. ঝাউ বনে এলো চুলে
উদাসী মন উড়ছে ভুলে,
মেঘ বিদুরে বাকা নজরে
খুঁজছে ঝিনুক সাগর তীরে,
ভেজা সৈকতে গাঙচিল ভীড়ে
আপন খেয়ালে।
৫. ভোরের আলো ফুটলো যেই
মেঘবালিকা জাগলো ওই,
পাখির সুরে পড়লে সাড়া
মনটা আজ বাঁধন হারা,
মিষ্টি সকাল আকাশ জুড়ে
রঙিন ঘুড়ি হৃদয় পুরে।
৬. ঘুমাও তুমি চক্ষু মুদে নিদ্রা দেবীর কোলে
চাঁদের আলো আদর বুলাক জোনাক মাখা জলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।