আমার লেখা পড়ে.................. মৌন বিকেল চলে গেছে বিশ্রামে আধারে বহু আগেই এখন নগরের ঘরে ঘরে একান্ত শিৎকার বা নাভিশ্বাস মধ্যরাতের গন্তব্যে চলে গেছে অনেক না ফেরা যাত্রী শেষ ট্রেন হুইসেল বাজিয়ে নীরব করেছে নক্ষত্রবিথী। বসে আছি এক পেয়ালা অন্ধকার হাতে নিমগ্ন আধারে, কিছু ক্ষন পরেই আমি চলে যাব যদিও ট্রেন চলে গেছে- আমি তবু যেতে পারব পাশের রঙিন মদ ফুরোলেই, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে আসবে আজ যা লিখেছিলাম । কেউ একজন বলেছিল একবার- আকাশের মত বড় হও এক বিকেলে নদীর জলে ভাসতে ভাসতে জেনেছিলাম জম্ম থেকেই মানুষ আকাশের চাইতে অনেক হৃদয়বান, এর আগেই আমি বারবার বড় হয়েছি, গ্যালাক্সি থেকে গ্যালক্সি খাবারের সংকট ছিল খুব- যেমন সংকট সব সভ্য জনের, পিতা মাতা শিখিয়ে দিয়েছিলেন-নিজেকে খাবার নিয়ম, আমি নিজেকে খেয়েই বেচে ছিলাম অনন্ত সময় ছোট শহরে । সঙ্গম হয়েছিল বা প্রণয় প্রিয় প্রেয়সীর সাথে কারণে-অকারণে পায়ের নিচে সর্ষ ছিল বুঝি আমার তাই ফিরে যাওয়া দুরেই বহুদিনপর জেনেছি উড়ে আসা তার চুলে-সেখানে আমার গন্ধ ছিলনা যেমন গন্ধ ছিলনা কোন শরীরের ভিতর জীবনের গন্ধ । আজ আমি আমাকে পাবো, আজ আমি আমার হবো, শুধূই আমার অনন্ত নক্ষত্রবিথীর সঙ্গে চুমু খেতে খেতে গ্লাসের মদটুকু শেষ হলেই বাতাসের সাথে আমি আজ উড়ে যাবো অনন্ত সময়ের শহরে পিছে পড়ে থাক সাজানো বাথরুম, রঙিন ফুলের টব, আমার ছায়া। কত কথা ছিল দুপুরের রোদের সাথে যেমন কথা হতো প্রেয়সীর বারে বারে ফিরে এসে বলেছিল বন্ধু আমিতো আছি, আমি আছি সেই প্রেয়সীর কখনও আঙ্গুল ছিলনা, খেয়ে নিয়েছিল জীবন সেই বন্ধু করে গেছে নিজের দালালী, অথচ জানতো সে পবিত্রতম আমি কোন এক ফাকে জেনে গিয়েছিলাম সভ্যতা মানে শূন্যতা এখানে বাবা-মা, বা প্রেমিকা সকলেই নিশ্বাসের খোজে ব্যাবসায়ী। শৈশবে মাছরাঙ্গার ঝগড়া দেখেছি বেশ কয়েকবার আগ্রহে ধুলো ঝড়ের ভিতর পবিত্রতা আছে জানিয়েছিল ঝরে পড়া পাতা , তাই আমি পুরো সভ্য হইনি কখন, ফলত মদের গ্লাস শেষ হলেই গ্লাসের ভিতর উড়ে এসেছে একটা রঙিন মাছ, তার পিঠে চেপেই্ যাত্রা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।