আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এটা স্রেফ গল্পই......

একবার আপনারে চিনতে পারলে রে , যাবে অচেনা রে চেনা দিনাজপুরে, যখন আমি ছোট ছিলাম তখনকার কথা। আমাদের পাড়ায় একটা কুকুর ছিল। ওর নাম ছিল লালু। সব কুকুরের মতই লালুর প্রভু ভক্তি ছিল চোখে পড়ার মত। নির্জন সেই পাড়ায় রাত এলে নামতো কবরের নিস্তব্ধতা।

আমরা দশটা বাজার আগেই ঘুমিয়ে পড়তাম। পেছনে শালবন আর একপাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। রাতের অন্ধকারে পাথারের নৈঃশব্দের ভেতর যখন আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসতো তখন লালু করুন কান্নার মত ডাকতো। আমরা বুঝতাম কেউ একজন জেগে আছে। একদিন আমাদের পাড়ায় ডাকাত পড়েছিল।

আমাদের চিৎকারে কেউ আসেনি। লালু ডাকাতদের পা কামড়ে ধরেছিল। লালু বেদম মার খেয়েছিল। আমরা বদ্ধ ঘরে আটকে থেকে লালুর ডাক অতঃপর বেদনাহত কান্না শুনেছি। সেই লালু আমাদের আনন্দের ও খোরাক ছিল।

আমরা ওকে খুচিয়ে আনন্দ পেতাম। শিশুরা মানব চরিত্রের নিষ্ঠুরতা বলে যে একটা অংশ আছে সেটাকে বেশ ভাল ভাবেই ধারণ করে বলে আমার ধারণা। লালুর মত মহান প্রাণীটিকে আমরা খুচিয়ে মজা পেতাম। একবার আমরা একটা এয়ার গান পেলাম। টিপ পরীক্ষা করার জন্য লালুকে পায়ে গুলি করেছিলাম।

লালু ঘেউ ঘেউ করে উঠেছিল। আমাদের সে কি হাসি। আমরাই আবার তার পা সেরে তুলেছিলাম। একদিন লালুকে কাছে ডাকলাম। কুই কুই স্বরে আহলাদ ঢেলে দিয়ে লালু আমার পায়ের কাছে এল।

পা দিয়ে স্পর্শ বুলাতেই দেখলাম লালু আনন্দে চোখ বুজে ফেলল। এবার ভাবলাম একটু লাথ্থি মেরে দেখি। লালু আর রাগ সামলাতে পারলো না। এই নিষ্ঠুর অপমান তার কুকুরানুভুতিতে আঘাত হানলো। লালু আমার পা কামড়ে দিল।

আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম। পাড়ার সবাই হৈ হৈ করে উঠলো। লালুটা এত খারাপ, নিষ্ঠুর,বেইমান! লালুর কথা খুব মনে পড়ে গেল। মার খেতে খেতে যখন কেউ ঘুরে দাড়ায় , পাল্টা মার দেয় তখন লালুর কথা মনে পড়ে। নিরীহ উপকারী প্রাণীটাও কেমন বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল।

********************* এটা স্রেফ গল্পই। ঐ প্রসংগ থাক। আচ্ছা ঢাকা মেডিকেলে ডাক্তার রা নাকি সাংবাদিকদের পিটিয়েছে? খবরটা আবছা শুনেছি। আজকাল ডাক্তাররাও পেটানো শুরু করেছে! তা ও আবার সাংবাদিক!ডাক্তাররা কি খারাপ! ডাক্তারদের তো চিরদিন নিরীহ উপকারী প্রানী বলেই জানতাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।