আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৮১ সালের ৩০শে মে, একটি নক্ষত্রের ঝরে পরা, শোকে মূহ্যমান জাতি - পর্ব ৪

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ১৯৮১ সালের ৩০শে মে, একটি নক্ষত্রের ঝরে পরা, শোকে মূহ্যমান জাতি - পর্ব ৪ ------------------------------------------------ ডঃ রমিত আজাদ (পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে) পরদিন ২রা জুন সকালেই ঘুম থেকে উঠে টেলিভিশনের সামনে বসলাম। আজ আমাদের প্রিয় নেতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে। সারা দেশের জনগণ তাঁর শাহাদত বরণের সংবাদে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। উনার মৃতদেহ কোথায় আছে, কেমন আছে, ইত্যাদি কিছুই যখন জানা যাচ্ছিলো না, তখন আরো অধিক ব্যাথিত হৃদয়ে সবাই পড়েছিলো গায়েবানা জানাজা।

আজ অন্ততপক্ষে উনার কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে জানাজা পড়া যাবে। শেষ শ্রদ্ধা জানানো যাবে। পরম করুণাময়ের কাছে তার জন্য প্রার্থনা করা যাবে! সেই ভাবগম্ভীর আধ্যাত্মিকতা অনুভব করার জন্য আমরা শিশুরা আর মহিলারা বসলাম টিভি সেটের সামনে। আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশীরা যাদের বাড়ীতে টিভি ছিলনা তারাও আসলেন আমাদের বাড়ীতে। আর পুরুষ মুরুব্বীরা গেলেন জানাজায় শরীক হতে।

সকাল ১১টা পর্যন্ত কফিনটি তেজগাঁও সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে (বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) রাখা হলে আগের দিনের মতই অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেখানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অগণিত মানুষ শহীদ জিয়াকে শেষবারের মতো একনজর দেখেন। আমরা টিভি সেটে দেখছিলাম টুপি মাথায় দিয়ে কেবল মানুষ আর মানুষ। মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতে শোকে মুহ্যমান ছিল গোটা জাতি। তাঁর কফিনের পাশে অবস্থান নিয়েছিল গোটা বাংলাদেশ।

ঢাকার সুপ্রশস্ত মানিক মিয়া এভিনিউতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। রাজধানী ঢাকার সব পথই সেদিন মিশে গিয়েছিল এক মোহনায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় শহীদ জিয়ার মরদেহ আনার পর তার জানাজায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। সবার চোখে ছিল কান্না আর হৃদয়ে শোকানুভূতি। এই এত এত মানুষের ঢল দেখানোর জন্য ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরা তোলা হয়েছিলো ক্রেনের উপর।

জিয়াউর রহমানকে স্বচক্ষে দেখেছি কয়েকবার। সৌভাগ্য হয়েছিলো উনার সাথে হ্যান্ডশেক করার। আমার বড় দুই বোন একবার খুব খুশী খুশী মনে ঘরে ফিরলেন। বললাম, "কি আপারা, এতো খুশী কেন?" উনারা বললেন, "আর বলিস না, আজ রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ ঐ পথেই গেলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া, আমাদের দেখে গাড়ী থেকে হাত নাড়লেন। " সে কি খুশী উনারা দুজন।

মুরুব্বীরা বললেন, "কত ভালোবাসা দেশের মানুষের জন্য, এই না হলে জিয়া!" আজ সেই জিয়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করেছেন। তবে তিনি তার জনতার উদ্দেশে হাত উঁচাইয়া তাহাদের প্রতিউত্তর দেন নাই। লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে দেহরক্ষীদের চোখ এড়াইয়া অকস্মাত্ গাড়ি থামাইয়া স্বীয় গমন পথে অপেক্ষমাণ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলোর সাথে হাত মিলান নাই। অথবা এই কথাও বলেন নাই “আপনারা কেমন আছেন। “ তিনি এসেছেন।

কিন্তু চির নীরব। চিরনিদ্রায় শায়িত। কফিনের অভ্যন্তরে। কফিন জাতীয় পতাকা এবং পুষ্পে পুষ্পে আচ্ছাদিত। ... কড়া প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো জিয়ার মরদেহ।

পরবর্তিতে শুনেছিলাম আমার এক বন্ধু সেদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আর্মিদের উদ্দেশ্য করে ভর্ৎসনা করে বলেছিলো, "বা বা! এইবার জিয়ারে গার্ড দিছেন ভালো কইরা। এই গার্ডটা কি জীবিত থাকতে দেয়া যাইতো না?" লক্ষ লক্ষ মানুষ বানের স্রোতের মত ছুটে যাচ্ছিলো জানাজার ময়দানের দিকে। তিন বাহিনীর তিনটি চৌকষ দল মার্চ করে এগিয়ে যাচ্ছিলো। জনতা সরে গিয়ে একপাশে তাদের যায়গা করে দিচ্ছিলো। আমার তখন মনে পড়ছিলো ১৯৭৬ সালে দেখা আরেকটি জানাজার দৃশ্য।

সেইদিন পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছিলেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। শুনেছিলাম ভারত সেই সময় চেয়েছিলো কবির মরদেহ ভারতে দাফন করতে। জিয়াউর রহমান সেটা হতে দেননি। জিয়া নিজে উপস্থিত থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জানাজা পড়ে দাফন করেছিলেন, কবির ইচ্ছা অনুযায়ী মসজিদের পাশে (মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই, যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জীনের আযান শুনতে পাই)। সেই সময়ে সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশেই কবিকে সমাহিত করা হয়।

আজ সেই জিয়াউর রহমান নিজেই সমাহিত হতে চলছেন। যতদূর মনে পড়ে দশ লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছিলো জিয়ার জানাজায়। এটিই ছিলো বাংলার ইতিহাসে বৃহত্তম শবযাত্রা। তিনি যে কত জনপ্রিয় ছিলেন তা বোঝা গিয়েছিল ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তার নামাজে জানাজায়। সেদিন পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিল ‘একটি লাশের পাশে সমগ্র বাংলাদেশ।

’ ক্রমে জানাজার সময় ঘনিয়ে এলো। এবং নামাজে জানাজার পরপর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উনার মরদেহ সমাহিত করা হলো, নির্মানাধীন জাতীয় সংসদ ভবনের ক্রিসেন্ট লেকের পাশে। ধীরে ধীরে উনার কফিন নেমে গেল কবরে, মাটি বিছিয়ে দিতে থাকলেন সবাই, তারপর আমাদের কোটি কোটি শোকসন্তপ্ত চোখের সামনে আস্তে আস্তে মাটির আড়ালে চলে গেলেন আমাদের প্রিয় নেতা। নাকি মাটির আড়ালে চলে গেলো গণতন্ত্র? নাকি মাটির আড়ালে চলে গেলো আমাদের কয়েক বছর আগে খুলে যাওয়া সৌভাগ্য? নাকি সমগ্র দেশটাই মাটির আড়ালে চলে গেলো? জানিনা, বুঝিনা। শুধু দেখলাম উপস্থিত সকলের চোখের কোন গড়িয়ে ঝরে পরছে অশ্রু।

টিভির পর্দায় দেখছি লাখো মানুষের আহাজারী। মুরুব্বীরা বললেন। জিয়াউর রহমান এমন একজন ব্যাক্তি যিনি দেশকে এতোই ভালোবেসেছিলেন যে, এই বাংলাদেশের জন্য তিনি বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। নিজের পরিবারের জন্য কখনোই কিছু করেননি। আমরা জানতামই না উনার কয় ছেলেমেয়ে।

এই প্রথম আমরা টিভির পর্দায় দেখলাম উনার ফুটফুটে দুটি ছেলে। এর আগে শুধু উনার স্ত্রীকে দেখেছি। উনার সুন্দর মুখশ্রী দেখে আমরা গর্বিত হতাম, আমাদের রাষ্ট্রপতির এত সুশ্রী স্ত্রী! বারবার একই শাড়ী পড়ে আসতেন বলে আমরা দুঃখ করতাম, আহারে জিয়া, বৌকে একটু দামী শাড়ীও কিনে দিতে পারেন না! কোথা থেকে দেবেন? আমাদের এক আন্কেল চাকরী করতেন সেই ডিপার্টমেন্টে যেখানে রাষ্ট্রপতিসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাদের বেতনের হিসাব হতো। তিনি একদিন অবাক হয়ে বলছিলেন, "জিয়াউর রহমান সাহেবের বেতন হলো সাতাইশশো টাকা, এর মধ্যে পাঁচশ টাকা উনি আবার দান করে দেন! এতো অল্প টাকায় চলেন আমাদের জিয়া!" সেই দেশকে ভালোবাসাই তার কাল হলো। তাকে ঘাতকরা হত্যা করলো তিনি দেশকে ভালোবাসেন বলে।

উনাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো আপনার প্রিয় গান কোনটি? উনি উত্তর দিয়েছিলেন, 'প্রথম বাংলাদেশ' গানটি। উনার জীবন ও কর্মের মধ্যে দিয়ে উনি দেখিয়েছিলেন যে, এই বাংলাদেশই ছিলো তার ধ্যান-জ্ঞান-ভালোবাসা সবকিছু। উনার সমাধীর এপিটাফে লেখা উচিৎ, 'প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ'। সারা দেশে চল্লিশ দিনের শোক ঘোষণা করা হলো। ভারী বুক নিয়ে আমরা পরবর্তি দিন গুলো কাটালাম।

সংবাদে জানতে পারলাম পৃথিবীর অনেক দেশেই ঐদিন পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। গিনির রাষ্ট্রপতি আহমেদ সেকেতুরে জিয়ার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। তারা পরস্পরের দেশ সফর করেন একাধিকবার। সেই গিনিতে শোক করা হয় পুরো এক সপ্তাহ। পরবর্তি জীবনে বিদেশে অধ্যায়নকালীন সময়ে গিনির এক ছাত্রের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়।

তিনি শ্রদ্ধাভরে জিয়াকে স্মরণ করে আমাকে বলেছিলেন, " ও বাংলাদেশ! ও জিয়া! তিনি গিনিতে এসেছিলেন, আমাদের চাল দিয়েছিলেন, আমরা উনাকে ভুলি নাই। " আমার দুই চাচা থাকতেন সুইডেন-এ। তাদের একজন পরে বর্ণনা করেছিলেন, সেখানে উনি সুইডিশদের কাছ থেকেই প্রথম জিয়ার মৃত্যু সংবাদ পান। চাচার বন্ধু এসে বললো, "মান্নান, তোমাদের প্রেসিডেন্টতো মারা গেছেন, উনাকে মেরে ফেলেছে। " শোকার্ত চাচা ফোন করলেন বড় ভাইকে, তিনি বললেন, "হ্যাঁরে মান্নান, বিদেশী শত্রুরা উনাকে মেরে ফেলেছে।

" সুইডেনের টেলিভিশনে এই সংবাদটি বিস্তারিত দেখিয়েছিলো। তারা করমচাঁদ গান্ধী থেকে শুরু করে জিয়াউর রহমান পর্যন্ত উপমহাদেশের ইতিহাসও বর্ণনা করেছিলো। প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রবাসী অনেক প্রতিভাবান ব্যাক্তিকে স্বউদ্যোগে দেশে নিয়ে আসেন। গুলশান মসজিদে মাঝে মাঝে দেখা হয় বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন এস, আর, খানের সাথে। তিনি প্রায়ই স্মৃতিচারণ করেন, লন্ডন প্রবাসী খ্যাতিমান ডাক্তার এস, আর, খান-কে জিয়াউর রহমান নিজে অনুরোধ করে দেশে নিয়ে এসেছিলেন।

বলেছিলেন, "দেশের মানুষ চিকিৎসার কষ্ট পায়। আপনার মত ভালো ডাক্তারের দেশে খুব অভাব, আপনি দেশে আসুন, আপনার সহযোগীতার জন্য যা যা লাগে আমি দেব। " এক কথায় দেশে চলে এলেন ডাক্তার এস, আর, খান। বিশিষ্ট সাংবাদিক ফজলে লোহানী ছিলেন লন্ডনে। জিয়াউর রহমান লন্ডন সফরকালে তাকে অনুরোধ করেন বাংলাদেশে ফিরে আসতে।

প্রতিভাবান নির্ভীক সাংবাদিক রাষ্ট্রপতির অনুরোধ ফেললেন না। বিদেশিনী স্ত্রী এলিজাবেথ লোহানীকে সাথে নিয়ে চলে এলেন হতদরিদ্র বাংলাদেশে। দেশের সংবাদ অঙ্গনে কিছু দিয়ে জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে। শুরু করলেন অনন্যসাধারণ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, 'যদি কিছু মনে না করেন'। পাল্টে দিলেন বিটিভির অনুষ্ঠানের স্টাইল।

পাশাপাশি এই প্রথম আমরা পেলাম টিভি রিপোর্টিং। সারাদেশে তখন অল্প যে কয়েকজন ব্যক্তি আছেন তাদের মধ্যে দুজন হলেন, জিয়া আর লোহানী। সেই ফজলে লোহানীকেই চোখের সামনে দেখতে হলো জিয়াউর রহমানের ট্রাজিক ডেথ। শোকে দুঃখে তিনি তৈরী করলেন 'যদি কিছু মনে না করেন'-এর বিশেষ প্রতিবেদন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উপর। সামান্য দুটা স্যুট, শতছিন্ন তালিমারা স্লিপিং ড্রেস, একটি ভাঙা স্যুটকেসের ভিতরে কিছু মামুলি জিনিস।

এই তো ছিলো জিয়ার সম্পদ। যা দেশের মানুষ এতোকাল টের পায়নি। সেই অনুস্ঠান দেখে আমরা আরেক দফা কেঁদেছিলাম। কয়েকদিন পরে পরিবারের সবাই মিলে গেলাম জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে। মাজার প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখলাম মানুষ আর মানুষ।

ক্রিসেন্ট লেকের উপরের বেইলি ব্রীজ ধরে ভীড় ঠেলে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম মাজারের দিকে। যখন মাজারের পাশে এসে দাঁড়ালাম, অবাক হয়ে দেখলাম ফুল আর ফুল স্তুপ হতে হতে দশ-পনের ফুট উঁচু হয়ে সামিয়ানা ঠেকিয়ে ফেলেছে। এই সব ফুল জিয়ার প্রতি দেশের জনগণের মুর্ত ভালোবাসার প্রতীক। কে বলে এদেশের মানুষ ভালো মানুষের কদর বোঝে না? দুই একটা আজেবাজে লোক বাদ দিলে দেশের আপামর জনসাধারণ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই ভালোবাসে। তাই দেশপ্রেমিকের মর্যাদা তারা দিতে জানে।

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই নৃশংস হত্যাকান্ড আমার মনে গভীর ছাপ ফেলে। শোকার্ত হৃদয়ে আমি প্রবল আগ্রহে জানতে চাইলাম কি করে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো? কি হয়েছিলো সেদিন সার্কিট হাউজে? কেন উনাকে রক্ষা করতে পারলো না উনার গার্ড রেজিমেন্ট? কারা এর পিছনে ছিলো? কেন তারা হত্যা করলো জিয়াউর রহমানকে? কেন তাদের এতো আক্রোশ? কি ছিলো তাদের উদ্দেশ্য? এর পিছনে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিলো কি? পরদিন থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আসতে থাকলো এই বিষয়ক লেখা, রিপোর্ট, প্রতিবেদন, সংবাদ ইত্যাদি। গোগ্রাসে গিলতে থাকলাম, আর জানতে থাকলাম অনেক অজানা অধ্যায়। (চলবে) (প্রায় সবটুকুই আমার স্মৃতি থেকে লেখা) প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ, ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।