জাদুনগরের কড়চা
মেয়ের বিয়ে নিয়ে গণি মিয়া চৌধুরী সাহেব বেশ চিন্তায় পড়েছেন। চৌধুরী পরিবারের রেওয়াজ হলো নিজের বাড়িতেই প্যান্ডেল খাটিয়ে, দরকার হলে ছোটখাটো একটা দালান বানিয়ে সেখানে আপ্যায়ণ করা হয় বরযাত্রীদের। কিন্তু চৌধুরী পরিবারের সেই শান শওকত আর নাই। ওদিকে আবার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে রহমত খাঁ এর ছেলের সাথে, রহমত খাঁর দাবি তার গ্রামের যত পারে লোক বরযাত্রী হিসাবে নিয়ে আসবে, সেটার সংখ্যা ২০০ হতে ২০০০ পর্যন্ত হতে পারে, সবাইকে পাকা দালানে ভালো ডাইনিং টেবিলে খেতে দিতে হবে।
২০০০ লোক আসার কথা না, কিন্তু যদি এসে পড়ে আর খাবার না পায়, তাহলে তো বেইজ্জতি।
আবার ২০০০ লোকের খানা পাকিয়ে বসে থেকে যদি তারা না আসে, তবে তো পুরা পয়সাটাই পানিতে পড়বে।
চৌধুরী সাহেবকে বাঁচিয়ে দিলো পাড়ার ক্যাটারিং ব্যবসায়ী আক্কাস বাবুর্চি। বিয়ে, খতনা এসবের ক্যাটারিং করে কাঁচা পয়সা বানিয়ে এখন সে একটা পার্টি সেন্টার খুলেছে। সেখানে নাকি ১০,০০০ লোক বসারও চেয়ার টেবিল আছে, আর দ্রুত খানা পাকাবার সব সিস্টেমও আছে। আক্কাস এক গাল হেসে বললো, চৌধুরী সাহেব, একেবারেই চিন্তা করবেন না, আমার সেন্টার ভাড়া নেন, দালান/টেবিল চেয়ার সব আমি দিবো, খাবারও, যত প্লেট দিবো আপনি কেবল তারই পয়সা দিবেন।
আক্কাসের এই বুদ্ধিটা শেষমেশ খুব কাজ দিলো চৌধুরীসাহেবের। অনেক হম্বি তম্বি করলেও রহমত খাঁ আনতে পেরেছিলো মাত্র ৪০০ জন বরযাত্রী, কাজেই কেবল তাদের খাবার টাকাটাই দিতে হয়েছে আক্কাস বাবুর্চিকে। আক্কাসেরও কোনো লস হয়নি, একই দিনে আরো দুইটা বিয়ে ছিলো, বাকি চেয়ার টেবিল, আর খাবার সেখানে গেছে, তার পুরা ১০ হাজার চেয়ারের সবগুলাই ভাড়া হয়েছিলো সেদিন।
গণি মিয়ার মেয়ের বিয়ের সাথে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সম্পর্ক কোথায়? ক্লাউড জিনিষটাই বা কী? কম্পিউটারের মধ্যে ক্লাউড আসলো কোথা থেকে আবার? এতো সব প্রশ্নের জবাব দিতে যন্ত্রগণক ডট কমে শুরু করা হয়েছে ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যাপারে শেখার একটি কোর্স, ক্লাউড কম্পিউটিং ১০১। এর প্রথম লেকচারে আলোচনা করা হয়েছে, ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে আর এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো।
আর গণি মিয়ার গল্প তো আছেই ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।