আমি একজন ছাএ
ভোট জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব। মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। ভোটের অধিকার যেমন সে বুঝে, ভোট দেবার ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও সে ভুল করে না। জীবন, জিবীকা, নেতৃত্ব, অধিকার, মুল্যবোধ তথা সমাজের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ক্রমধারায় নাগরিকের ভোটের প্রয়োজনীয়তার কথা চলে আসে।
এখন প্রশ্ন আসে এই ভোট সে কিভাবে দিবে? সে কি সেই মানদাতা আমলের পদ্ধতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি আধুনিকতার সংস্পর্শে আসবে। তথ্য প্রযুক্তিতে বিশ্ব যেখানে এগিয়ে চলছে সেখানে আমাদের চললে দোষ কোথায়? বর্তমান বিশ্বে মডার্ন ভোটিং মেশিন হল ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)। এটা হল ভোটদানে সহজতর এক ব্যবস্থা। এতে ব্যালট বাক্স ও কাগজের ব্যালটের প্রয়োজন পড়ে না। এই পদ্ধতিতে শুধু একটি সুইচ টিপলেই ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু ও অতিদ্রুত শেষ করা যায়।
এই প্রক্রিয়ায় নানাবিধ সুবিধা রয়েছে :
০১। ব্যালটের জন্য কাগজ ও ছাপানোর খরচ লাগে না।
০২। ব্যালট পরিবহন ও গননার জন্য জনবলের আনুসাঙ্গিক খরচ লাগে না।
০৩।
আধুনিক পদ্ধতি হওয়ায় ভোটের ফলাফল পাওয়া যায় নির্ভুল ও দ্রুত।
০৪। যেহেতু এই মেশিন বাতিল ভোট গণনা করে না ফলে প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মূল্যায়ন হয়।
০৫। একই মেশিন বারবার বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা যায়।
০৬। কেন্দ্র দখল করে ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। সারাবিশ্বের মানুষ আজ বিজ্ঞানের আশীর্বাদপুষ্ট। ইভিএম এর সকল দিক বিবেচনা করে যদি এটাকে আমাদের দেশে প্রয়োগ করা যায় তাহলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে তেমনি অন্যদিকে সময়ও বাঁচবে।
তাই আসুন, আমরা সবাই এই পদ্ধতি ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত হই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।