শিরোনাম
দেখে আঁতকে উঠার কোন
দরকার নাই। যাষ্ট
পুরা পোষ্ট
টা পড়ে একটা পরামর্শ
দিলে বাংলাদেশ
থেকে একজন বেকার
কমবে।
.
.
স্টুডেন্ট ততটা খারাপ
ছিলাম না যতটা খারাপ
রেজাল্ট হৈচে। রি-চেক
দিছি। তবু
জানি যে ফলাফল কিছুই
হবে না আগের মতই অনড়
থাকবে।
কারন পিজিক্স
চিরায়ত নিয়মে আমার
মাথার উপর
দিয়া যাইতো, এবার ও
গেছে। একথা ঠিক
শিক্ষার
পরিবেশটা উন্নত
হৈলে আমাকে
এলিয়েনের রুপ ধারন
করতে হইতো না।
অন্যানদের মত
মিষ্টি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হত।
কলেজটা মস্ফল
এলাকাতে অবস্থিত।
টিচার ছিল না ভাল।
ইনড্রিগ্রেশ আর ভেক্টর
বুজতে বুজতে পুরা লাইফটাতে একা বিশাল
স্পেস পইড়া গেল।
মেধাবীদের মনে প্রশ্ন
উঠতে পারে বাদবাকি পুলাপান
কিভাবে ভাল করলো?
উত্তরটা একধম সোজা।
সাইন্স
থেকে পরিক্ষা দিছে ২৫
জন ফেইল করছে ৫ জন
একটাও A+ পাঁয় নাই। আর
পিজিক্সে B এর
উপরে শুধু দুজন
পাইছে A-! আমি আগেই
বলছি পিজিক্স আমার
মাথার উপর
দিয়া যাইতো।
.
.
পুরো কলেজে একটা মেয়ে মানবিক
থেকে গোল্ডেন পেল।
এলাকায় হিরোইন
হইয়া গেলেও হাজার
হাজার গোল্ডেনের
ভিড়ে ওরে খুঁজে পাইতে আমার
প্রচন্ড বেগ
পাইতে হৈছে।
সুতারাং বুজি গেলাম A+
এ ও কাম নাই।
এইটা একটা ব্রান্ড
অইয়া গেছে। আমার
রেজাল্ট টা তেমন
খারাপ বললে ভুল
হবে কারন
একটা সাবজেক্টেও A এর
নিচে নাই কিন্তু
পিজিক্সে F! ফলাফল
বলে fail in one subject.
ফলাফলের এই
লেখাটা আমারে এলিয়েনে রুপান্তর
কইরা দিল। পোলাপান
আমার দিকে এখন চোখ
বড় বড় করে তাকায়।
বাকশক্তি ওদের প্রচন্ড
রকমের দুর্বল হয়ে পড়ে।
আর যারা একটু
মুরব্বি টাইপের
ওরা সান্ত্বনা দিতে দিতে আমারে কষ্টিত
করে তোলে। আমার
চেয়ে মেধাবি কিছু
পুলাপান ফেইল
করাতে আমি আস্কারা পাইয়া গেছি গা।
তবে আমার
অবস্থা থেকে একটাই
উপকার হৈচে, জুনিয়র
পোলাপান রাত আটটার
পর বাজারে থাকে না।
নিশ্চিত বাড়িত
গিয়া পিজিক্স পড়ে।
পরের বার অবশ্যই
কেমিষ্ট্রিত ফেইল
করবো যেটা আমার
ক্ষেত্রে ঘটছে। অথাত্
কেমিষ্ট্রি পড়তে পড়তে পিজিক্স
খারাপ করছি। আর
ইতেরা পিজিক্স
পড়তে পড়তে কেমিষ্ট্রি।
যাকে বলে ইজি ইকুয়েশন।
.
.
কাজতো একটা কইরা ফালাইচি।
একটা বত্সর গ্যাপ।
অথাত্ পুরাপুরি বেকার।
বাবার আর্থিক
অবস্থা খারাপ
বলে টাকা খুঁজতে লজ্জা লাগে।
ফেইল করছি বলে পকেট
খরচ লাগবে না এমন
কোন কথা নাই।
বুজে নিলাম অর্থের
জোগান দিতে হৈবে।
অনেকে পরামর্শ দিল
টিউশনি করতে। কিন্তু
আমার এলাকার
টিউশনিতে আমারে পোষাবে না।
কারনটা নিচে ব্যাখা করতেছি।
.
.
আমি গ্রামের ছেলে।
এখানে টিউশনির
চেয়ে মাষ্টার বেশী।
যার
কারনে অভিবাকদের
শরীরে একপ্রকার উন্নত
মানের তেল উত্পাদিত
হচ্ছে। উনারা 200-300
টাকার
বেশী দিতে একধম
নারাজ। আমি হলাম
সাইন্সের স্টুডেন্ড। যার
কারনে 9-10 এর
পোলাপান পাওয়া যায়
না। ওরা পিজিক্স
কেমিষ্ট্রি নিয়া আসে না।
ঐ Eight এই সীমাবদ্ধ। ঐ
যে 200-300
টাকা পাওযার কথা তাও
বাপ মা দিতে নারাজ।
মাস শেষে বাপ
ডেকে বলে এই
মাসে একটু টানের
উপ্রে আছি। কয়েকদিন
পর কলা বেঁচে দেব,লাউ
বেঁচে দেব।
এভাবে তিনমাস
বিনমূল্য
সেবা দিতে দিতে চারমাসের
মাথায় তিনটা একশ
টাকার নোট
হাতে এসে পৌছে।
সাথে একটা মর্মস্পর্শী বাক্য
আর দীর্ঘশ্বাস থাকে।
বলে উঠে বাপরে পোলাডারে টাকার
লাইগ্যা পড়াইতে পারলাম
না। তখন দায়িত্ব
মোতাবেক
আমারো বলা লাগে ধুরু
কাকা দিবেন আরকি।
পড়ুক না।
টাকা দিতে হবে না আপ্নার।
কইয়া ত ফালাইলাম
কিন্তু পকেট
চালাইবো কে?
.
.
ভাবতেছি চট্রগ্রাম
যাব গা। বাসা ঠিক
আছে আতুরার ডিপু। কিন্তু
শহুরে খরচ পোষাব
কিভাবে মাথায়
ঢুকতেছে না। কম্পিউটার
অপারেটরের
একটা চাকরি পাইলে ভাল
হইতো। অফিসঁ,ফটোসপ
আয়ত্ত আছে।
কিন্তু
চাকরি দিবে কে? এই
মূহুর্তে আমি কি করতে পারি?
বিজ্ঞরা একটা সাজেশান
দেন। বেকারত্বের হাত
থেকে মুক্ত করে ছাড়েন
আমারে। বাবার ঘাড়
থেকে নামাইয়া দেশের
একটা অথর্ব বেকার
কমাতে সাহায্য করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।