আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

{আমার কিছু কথা} হুমায়ুন আহমেদ, মন খারাপ ও পদ্মাসেতু

আমার লেখা পড়ে.................. বাঙলাদেশী বাঙ্গালী আজ বড় শোকাহত । লেখার যাদুকর হুমায়ূন আহমেদকে নিয়া তারা শোকে মূহ্যমান । শুধূ গুটি কয়েক রাম ছাগল জাতীয় বা তার চেয়ে নিচু প্রজাতির ছাগল জাতীয় ধর্মান্ধ বা জামায়ত শিবির ছাড়া । হুমায়ূন আহমেদের জানাযা হবে কিনা, তিনি নাস্তিক , কোন কোন ক্ষেত্রে তার পরিবারকে পর্যন্ত টেনে এন এরা ফেইসবুক , ব্লগ ইত্যাদি জায়গা ভরিয়ে ফেলছে । অথচ আমি যতদূর জানি মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে কটু কথা বলা ইসলামে নিষিদ্ধ ।

তারা ইসলামের দোহাই দিয়েই এসব করছে । তাদের এত রাগের কারণ কি? কারণ কি একজন মৃত মানুষ নিয়ে কটুক্তি করার? হুশায়ুণে আহমেদের উপর তাদের রাগ অনেক । অনেকে পাঠকেরই হয়তো মনে আছে বিটিভির নাটকের সেই বিখ্যাত সংলাপ “তুই রাজাকার” । আজম্ম হূমায়ুন আহমেদ ছিলেন রাজনিতী থেকে দূরে । তারপরও তিনি সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে অনশন-এ বসেছিলেন ।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন অনেক লেখা । তাই অন্ধ এই শিবিরগুলা মৃত ব্যাক্তিকে নিয়ে এত কটু কথা বলছে । এদের এ ধরনের কর্ম কানড দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় , এরা ভিন্ন ধর্মী কোন উগ্র গোষ্ঠীর এজেন্ট । কারণ তাদের এধরনের কর্ম কান্ডের ফলে ইসলাম বিদ্বেষীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে । তবে আমি এ নিয়ে মোটেও শংকিত না ।

কারণ আল্লাহ নিজেই বলেছেন পবিত্র কোরাণের হেফাজত তিনি নিজেই করবে । আমার লিখার শুরুটা হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে শুরু হলো ,যদিও বিষয় মোটেও এটা নয় । কিন্তু কিছুটা জড়িত । লেখকের মৃত্যু নিয়ে মন খুব খারাপ ছিল, খারাপ লাগা আরো বাড়িয়ে দিল ধর্মের ঐ শত্রুগুলো । একজন মৃত মানুষ নিয়ে এমন বাজে কথা ।

যাই হোক, মন খারাপ, রোজা সব মিলিয়ে বেশ ক্লান্ত ছিলাম । তাই বোনের বাসায় গিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । হঠাৎই ঘুম ভেঙ্গে গেল বাজে ভাবে । বিষয় কি?! চোখ মেলে দেখলাম আমার বড় ভাগিনা যার বয়স ছয় (আমার খুবই প্রিয়), সে আমার মূখ হা করানোর চেষ্টা করছে , পাশেই দুই বছর বয়সী তার ছোট ভাই (ছোট ভাগনা), প্ল্যায়াস হাহে দাড়ানো, সাথে ৩-৭ বছর বয়সী আরো বেশ কয়েকজন । নড়তে যেয়ে বুঝলাম আমি “কট” ।

তারা দড়ি দিয়ে আমার হাত-পা বেধে ফেলেছে । আমি অনেক কষ্টে জিজ্ঞেস করলাম - ঘটনা কি? তারা উত্তর দিল – তোমার দাত তোলা হবে । আমি – আমারতো কোন দাত নড়ছে না, তাহলে দাত কেন তোলা হবে? তাদের একজন গম্ভীর ভাবে উত্তর দিল – তুমি আমাদের প্রতিদিন দাত মাজতে বলছো, আমরা তোমার দাত তুলে পরীক্ষা করবো তুমি নিজে দাত মাজ কিনা? যদি দেখি মাজ তাহলে তুমি মুক্ত ও তুমি সৎ মানুষ । আর যদি দেখি মাজ না , তাহলে বুঝতে হবে তুমি উপদেশবাজ অথবা কোন পেষ্ট কোম্পানীর এজেন্ট, বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমাদের উপদেশ দিয়েছ । এ হিসাবে তোমার শাস্তি হবে ।

আমি – তোমাদের মাথায় হঠাৎ এ বিষয় আসলো কেন? তিন বছরের একজন – আমরা টিভি-তে দেখছি তোমরা নিজেরা যা করো না, তা অন্যকে করতে বলো, নিজেরা থাকো আরামে । কি ফাপর বলেনতো । হুমঅয়ুন আহমেদকে নিয়ে মন খারাপ না করলে বা রোজা না রাখলেতো এত ক্লান্তি লাগতো না । ঘুমাতামও না । তারপর তাদের সাথে আলাপ শুরু করলাম ।

কোন ভাবে হাত পার বাধন খুলতে পারলে একটু আরাম হতো । তাদের সাথে কথার বলে যা বুঝলাম তার উত্তর আমার জানা নেই । সারমর্ম বলছি । আপনাদের কারো জানা থাকলে জানাবেন, না হলে তারা বলেছে আমি ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাকে আমার বাধবে অথবা ছাদ থেকে দাড়িয়ে আমার মাথায় প্রেশাব করবে । তাদের কথা--- পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে ।

পুরো জাতি যদিও এখন শোকে মুহ্যমান তারপরও এ নিয়ে আলোচনা থেমে নেই । বাচ্চাদের ক্ষ্যাপার কারণ হলো – সাজেদা চৌধূরীর বিখ্যাত সংলাপ …. দরকার হলে একবেলা বাজার করবো না/খাবো না , এ ভাবেই জনগনের টাকায় পদ্মা সেতু হবে । বাচাদের প্রশ্ন – গরীব, সাধারণ জনগনকে বললে তারা অবশ্যই এক বেলা না খেয়ে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দেবে । ভিখারী, রিক্সঅওয়ালা, সাধারণ চাকুরে সবাই দেবে। তা হলে রাজনিতীবিদরা কেন পদ্মা সেতুর জন্য চাদা দেবে না ? বিষয়টা আরো খুলে বলি ।

বাচ্চারা বলছে সাজেদা চৌধূরীতো অনায়েসে বলতে পারতো- আমরা এমপি হওয়ার সুবাধে ট্যাক্স ফ্রি যত গাড়ী এনেছি সব গাড়ীর ট্যাক্স দিয়ে দেব, সুবিধা নেব না । (ব্যাপারটা মন্দ হতো না, সাধারণ মানুষ যে গাড়ী কিনে ৪ লাখ টাকা দিয়ে তারা কিনে ১ লাখ টাকা দিয়ে) । প্রায় প্রত্যেকেই দামী দামী গাড়ী এনেছেন , আনবেন আরো । সাজেদা বা অন্যান্য এমপিরাতো ঘোষনা দিতে পারতেন- আগামী একবছর সংসদ সদস্য হিসাবে তারা কোন বেতন-ভাতা নিবেন না, সব টাকা পদ্মা সেতুর । এসি ব্যাবহার করবেন না-সব টাকা পদ্মা সেতুর ।

তারা তাদের আরাম আয়েশ কমালেই নেহাত টাকা কম আসতো না । সব চাপ- আব্দার শুধূ জনগনের কেন হবে? আপনাদের কারো এর উত্তর জানা থাকলে – আমি একটু নিরাপদ থাকতাম । ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।