জয় হোক নতুন প্রজন্মের, জয় বাংলা.......... নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যেভাবে বাড়ছে তাতে মধ্য ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা শোচনীয়। সবাই চেস্টা করছে কিভাবে ব্যয় কমানো যায়। ব্যয় সংকোচনের জন্য ২০টি উপায় শেয়ার করলাম -
১) বাসায় খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরীজীবি হলে সাধারনত বাসায় রান্না খুব কম হয়। ছুটির দিন ছাড়া কমপক্ষে ২ দিন বাহিরের খাওয়া বাদ দিয়ে হোমমেড লাঞ্চ করুন।
এছাড়া বিকেল ও সন্ধ্যার খাবারও বাসায় করার চেস্টা করুন।
২) নিজের চা-কফি নিজেই বানিয়ে খান। আমরা সবাই দিনে কমবেশি একবার হলেও চা পান করি। বর্তমানে ভালো এক কাপ চায়ের দাম ৮ টাকা। আপনি যদি দিনে একবার বাহিরে চা খান তাহলে আপনার মাসিক খরচ হবে ২৪০ টাকা।
এবার এই চায়ে সাথে টা খেতে যেয়ে মাসিক ৩০০ টাকা খরচ। যেটা আপনি বাসায় নিজে বানিয়ে খেলে ১০০ টাকার বেশি হত না। এবার চিন্তা করুন আপনার ফ্যামিলি মেম্বার কত জন??
৩) শপিং এ যাবার আগে লিস্ট করে নিন। এ সমস্যাটা আমার প্রায়ই হয়। লিস্ট ছাড়া বাজারে যেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়ে আসি।
৪) যে কোন পন্য ক্রয়ের আগে মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ দেখে কিনুন। কারন মেয়াদউর্ত্তীর্ন পন্য যে টাকা দিয়ে আপনি ক্রয় করলেন পুরো টাকাই আপনার জন্য লোকসান।
৫) দামী ব্রান্ড এড়িয়ে চলুন। পোশাকের ক্ষেত্রে দামী ব্রান্ড না কিনে মিডিয়াম ব্যবহারের অভ্যাস করুন।
৬) বিভিন্ন সময় ডিসকাউন্টের দিকে নজর রাখুন।
বছরের বিভিন্ন সময় ঈদ বা পূজা উপলক্ষ্যে এই ডিসকাউন্টগুলো পাওয়া যায়। এছাড়া নববর্ষ উপলক্ষ্যেও ছাড় পাওয়া যায়।
৭) যে কোন দেনা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করুন যাতে সুদ বা মুনাফার পরিমান বৃদ্ধি না যায়।
৮) গ্যাস, পানি ও বিদুত বিল সময় মতো পরিশোধ করুন যাতে লেট ফি দিতে না হয়।
৯) আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স এবং লোন এর ব্যাপারে অবহিত থাকুন।
১০) এটিএম ফি কমানোর চেস্টা করুন।
১১) অতিরিক্ত এনুয়াল ফি সহ ক্রেডিট বা ডেবিট ক্রার্ড ব্যবহার না করাই ভালো।
১২) ল্যান্ডফোন প্রয়োজন না হলে ডিসকানেক্ট করাই ভালো।
১৩) বই কেনার চেয়ে লাইব্রেরী থেকে আনুন অথবা ইন্টারনেটে সার্চ করুন।
১৪) দামী যে কোন কিছু কেনার আগে মূল্য যাচাই করুন।
১৫) অপ্রয়োজনীয় পন্য কেনা পরিহার করুন। এমন অনেক কিছু আছে যেটা আপনার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হতে পারে কিন্তু ২/৩ দিন ব্যবহার করার পরে আপনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যে কোন কিছু কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন এটা কি সত্যিই দরকার আছে?? আমি স্যান্ডউইচ মেকার কিনেছি ২০১০ এ। আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ বার ব্যবহার করেছি।
১৬) ইলেক্ট্রিক ডিভাইসগুলো ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন।
প্রয়োজন ছাড়া অন করে রাখলে আপনার বিল বাড়বে।
১৭) বাচ্ছাদের অযৌক্তিক আবদার এড়িয়ে চলুন।
১৮) ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রন সহজ। তাই ধূমপান কমিয়ে দিন। অনেক সেভ হবে।
১৯) যদি বাই-সাইকেল থাকে তো সেটি ব্যবহার করুন। আমাদের দেশে সস্তা ইমেজ রক্ষায় অনেকেই সাইকেল ব্যবহার করতে চান না কিন্তু সাইকেল ব্যবহার করা মোটেও অসম্মানজনক না। বরং আপনি চাইলে প্রতিদিন ৫০ টাকা রিক্সাভাড়া বাচাতে পারেন সাইকেল ব্যবহার করে।
২০) আড্ডাবাজ ধনী বন্ধু ত্যাগ করুন। আড্ডামারা খারাপ কিছু না কিন্তু সেটি যদি হেভিট হয় তাহলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন।
আর আড্ডাবাজ ধনী বন্ধুর সাথে তাল মিলাতে গিয়ে আপনাকেও অহেতুক খরচ করতে হবে।
রমজানে সবাইকে ফ্রি উপদেশ দিলাম বিনিময়ে সবাই একটু দোয়া করবেন যেন এই উপদেশগুলো আমি নিজেই পালন করতে পারি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।