সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............ মৃত্যুপূরী থেকে ফিরেঃ-৭
ইডি সাহেব চলে যাবারপর আমি কিছুটা নিঃসংগবোধ করি। দুবাই ও ইসলামাবাদ থেকে PSI কোম্পানীর আট সদস্যের টিম এসেছে-আমরা সবাই একই হোটেলে। ওদেরমধ্যে ১জন পোল্যান্ডের, ২ জন বেলজীয় ও ১ জন জার্মান, ১জন স্পেনীশ বাকী তিনজন পাকিস্তানী। আট জনের মধ্যে জার্মান,স্পেনীশ নারী সদস্য।
এখন সমস্যা হচ্ছে-ইসলামাবাদ থেকে UNFPA,UNICEF আর বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো অফিসার আজও আসছেনা-কারন গতকালই লাহোর-শিয়ালকোট মহাসড়কে এক যাত্রীবাসে আত্মঘাতি বোমায় ২৮ জন লোক মারাগেছে, আহত অনেক! আমরা UNFPA ইসলামাবাদ অফিস এবং বাংলাদেশ দুতাবাসে যোগাযোগ করি।
তারা জানালেন সেনাবাহিনীর কাছে প্রোটকল/ স্কর্ট চেয়েছে-যখন পাওয়া যাবে তখন তাঁরা আসবেন! এ এক অনিশ্চিত সময়!
এখন বাধ্য হয়ে সেডিউল পরিবর্তন করে আমি অন্যসব ইন্ডাস্ট্রিজ ভিজিটকরি এবং সময় সুযোগমতো সাইট সিইয়িং করছি-এখন আমার সংগী কখনো কখনো PSI কোম্পানী Bureau Varitas টিম এর কোনো কোনো সদস্য। বেড়ানোর জন্য বিদেশীদের আগ্রহের কমতি নেই-মেয়েদের আগ্রহ আরো বেশী। আমি এই বিদেশী প্রতিনিধি দলের সাথে মিশতে পারছিনা একটা কারনে। তাহচ্ছে- ওদের ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জনের গলায় ও হাতে উল্কী(ট্যাটু)আঁকা! একজনের পুরো দুই হাতে, গলায় নানান নকশা করা। কোনো এক অজ্ঞাত কারনে আমি উল্কী আঁকা লোকদের সাথে মিশতে পারিনা, এমনকি হ্যান্ড শেক করতেও অস্বস্তিবোধ করি-যদিও এর কোনো মনোস্তাত্বিক হেতু জানিনা।
লক্ষ করেছি- এদেরমধ্যে Ms Mellisa Broheem এর হাতে গলায় উল্কী নেই-তবে শরিরের অনাবৃত যায়গায় থাকাটা অসম্ভব নয়। কারন জার্মানদেরও অসম্ভব উল্কী প্রীতি। Ms Broheem জার্মান নাগরিক হলেও পড়াশুনা ইংল্যান্ডে। Ms Broheem বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে ৯১’র ঘূর্ণীদুর্গতদের মাঝে পিস কোরের সদস্য হয়ে দুই দফায় ৩ মাস কাজ করেছিলেন। আমি বাংলাদেশী এবং একসময় ইংল্যান্ডে পড়াশুনা ও জার্মানীর সাথে এখনও বিজনেস আছে এবং আমি কিছু কিছু জার্মান ভাষাও জানি তাই আমার সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ হয়।
বেশ কয়েকটি বিদেশী ভাষায় দক্ষ মিজ ব্রোহেমের বাংলাদেশ সম্পর্কে কৌতুহল যেমন তেমনি কৌতুহল শিল্প-সাহিত্য বিষয়েও। তিনি পাকিস্তানে বিভিন্ন মেয়াদে ৩ বছর কাজ করেছেন-যারমধ্যে লাহোরেই কাটিয়েছেন ২ বছর। টিমের পাঁচজন বিদেশীদের মধ্যে Ms Broheem পাকিস্তান সম্পর্কে সব থেকে অভিজ্ঞ-তিনিই PSI কোং টীম লীডার। আমরা ছারাও এই হোটেলে বিভিন্ন দেশের অনেক গেস্ট/বোর্ডার আছে-যাদের বেশীরভাগই মিডিয়া কর্মী, বিদেশী কোম্পানী এবং UN মিশনের অফিশিয়াল।
পুর্ব সিদ্ধান্ত মতে আজ আছলাম তাহির(আমি বলি আসলাম গালিভার)দের ফ্যাক্টরী দেখতে যাই।
আছলাম গালিভার PSI টিমকেও ইনভাইট করেছে। আমরা ভিজিট করতে যাবো তাই ফ্যাক্টরী গেইটে বিরাট তোড়ন নির্মাণ করেছে-আলোক স্বজ্জা করেছে! কয়েকটি মেয়ে(শিশু নয়) আমাদের ফুলদিয়ে “মোবারকহো” করে। অফিসে ঢুকতেই ডিজিটাল ডিস্প্লে স্ক্রীণে লেখা-Welcome brotherhood Bangladeshi Business delegates’ honorable guest Mr. ----- --- Managing Director of --- Group. এইসব বাহুল্যতা দেখে প্রথমেই আমি বিরক্তিবোধ করি! আরো বিরক্ত হই-অনেক খানা-পিনার বিশাল আয়োজনে! ফ্যাক্টরীর নামে ওদের অফিস ভিজিট করে বুঝে নেই-আছলাম ম্যানুফ্যাকচারার নয়-ট্রেডার্স। অন্য কোম্পানীর প্রডাক্ট সেল করে। প্রাইস, কোয়ালিটির স্বার্থে আমি কোনো ট্রেডার্সের সাথে বিজনেস করতে তেমন উতসাহী নই।
আসলাম তাহির তার বৃদ্ধ বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ওর বাবার চেহারাও গালিভার টাইপের,সামনের দাঁত নেই, মাথায় কোনো চুলও নেই কিন্তু ৭৫/৭৬ বছর বয়স হলেও এখনও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। একজন বয়স্ক মানুষ হিসেবে আমি যথেষ্ট সম্মান দিয়েই কথা শুরু করি। তিনি উর্দূতে নিজের পরিচয় দেয়-সে অবসর প্রাপ্ত সুবেদার, ১৯৭১ সনে বাংলাদেশে সিরাজগঞ্জ এলাকায় যুদ্ধ করেছিল, "বেশুমার মুক্তি খতম" করেছিল!
আমি প্রশ্ন করি-“Did you kill our fridom fighter or were you beaten by them?”
বুইড়া বলদে বলে-"কিউ ক্যাহা মালুম নেহি, সমজ নেহি-উর্দূমে বাতিয়ে"।
"১৯৭১ সনে বাংলাদেশে সিরাজগঞ্জ এলাকায় যুদ্ধ করেছিল, 'বেশুমার মুক্তিদের খতম' করেছিল" -শোনার পর থেকেই আমি ওকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলি।
বাংলাদেশীদের সম্পর্কে কিছু বাজে ধারনা ওর কথায় ফুটে ওঠে। একপর্যায়ে ফোকলা দাঁত কেলিয়ে বলে-“বাংগাল লাড়কী বহুতী ছুরতী...অউর নাগীণ”-বলার ভংগীটা অনেকটা ছিল অশ্লীল। ভদ্র ভাষায় অনেকটা WWE’s-DX Chops স্টাইলে,সেই সংগে ওর কথায় একটা অসভ্যতার ইংগীত ফুটে উঠেছিল! আমার মাথায় খুন চাপে! আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিষিকা! আমার দুই মামা, এক চাচা, প্রিয় চাচাতো ভাই হারানোর কস্ট আমি সব সময় বয়ে বেড়াই। অনেকটা অবচেতন মনেই ওর টেবিলে বিশাল এক থাপ্পড় মেরে খাস ঢাকাইয়া বাংলায় ভয়ংকর চিৎকার করে বলি-“মাউরারপো(শালীনতার জন্য মূল বাক্য ও শব্দ সংকলীত), আইজ তোর মুহের মধ্যে গামছা হানদ্ধাইয়া কেউন্নামু, পাড়াইয়া তোর জান কবচ কৈইরা ফালামু”। হঠাত আমার বেপরোয়া আগ্রাসী অগ্নি মূর্তি দেখে অসভ্য গালিভারগুলো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
নাসের দৌড়ে এসে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন-"কাবির ভাইয়া রোখো,রুখযাও, কাবির ভাইয়া রোখো,রুখযাও...... স্যরি ব্রাদার, ভেরী স্যরি-হামলোগ বহুতী শরমিন্দা....ওলোগ বহুতী খতরনখ আদমী"...নাসের আমাকে টেনে অন্যদিকে নিয়ে যায়। আমার জানা সবগুলো নোংরা গালি দিয়ে সকলের সামনে বুইড়ার মুখে একদলা থুথু মেরে হন হন করে বেরহয়ে আসি-সাথে পৃথিবীর জঘণ্যতম গালিটাও আমার মুখ থেকে প্রথম বারেরমত বেরহয়ে যায়!
নাসের জানে মুক্তিযুদ্ধে আমার পরিবারের স্বজন হারানোর কথা-তাই তিনি বুঝতে পারেন আমার মানষিকতা। নাসের বিস্তারিত বুঝিয়ে বলেন মিজ ব্রোহেমকে। আমরা সবাই আজ হোটেলেই ডিনার করি নাসের এর সৌজন্যে।
খাবার শেষে আইস্ক্রীম খেতে খেতে মিজ ব্রোহেম আমাকে বলে-"Mr Kabir, Being an exotic you tried to beat a Pakistani wasn’t it too reckless?"
আমি জবাবে বলি-"When I happen to go to any country I represent Fifteen Crore people of my nation. I render my level best to defend the dignity of my nation. There is no gratification of living when I see my motherland is being humiliated"! খাবার টেবিল থেকে দাড়িয়েই প্রথমে মিস ব্রোহেমসহ একে একে সকল অতিথি আমাকে single huge করে।
আমি, নাসের, Ms Broheem গত দুইদিনে শিয়ালকোটের সব দর্শনীয় স্থান দেখেছি। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে শিয়ালকোট জেলা অবস্থিত। শিয়ালকোট থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দুরেই জম্মু-কাশ্মীর অবস্থিত। একসময় আযাদ কাশ্মীরের শীতকালীন রাজধানীছিল শিয়ালকোট। পাকিস্তানের অন্যতম বিখ্যাত নদীর নাম চেনাব।
চেনাব নদী শিয়ালকোট শহরের অনতিদূরে অবস্থিত। শিয়ালকোট পাকিস্তানের ২য় বৃহত্তম সেনানিবাস(মিলিটারী ম্যাপে নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স)। শিয়ালকোট শহর/জেলার রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস-তাহচ্ছে একসময় এই এলাকা বৌদ্ধ, হিন্দু, গ্রীক, পার্সিয়ান, আফগানদের শাসনাধীন থাকারপর বৃটিশ ভারত আমলে পাঞ্জাব শিখ রাজা রনজিত সিং নিয়ন্ত্রিত ছিল। বিশ্ববিখ্যাত কোহিনূর হীরাটি রাজা রনজিত সিং এই এলাকা থেকেই কোনো এক ইরানী/আফগানী গোত্র প্রধানের নিকট থেকে উপঢৌকন পেয়েছিলেন বলে প্রচলিত। মুঘল আমলে এই শহরে বারবার এসেছিলেন-মুঘল সম্রাট বাবর, আকবর,জাহাংগীর, শাজাহান।
পাকিস্তান আন্দোলনে শিয়ালকোট এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিল পাকিস্তানের তাত্বিক রাজনিতীবিদ কবি আল্লামা ইকবাল। কবি ইকবাল ১৮৭৭ সনে এই শিয়ালকোট(ওল্ড শিয়ালকোট) শহরে জন্মেছিলেন। ১৯৪৪ সনে অল ইন্ডিয়া মুসলিমলীগ সভায় আল্লামা ইকবাল পাকিস্তান রাস্ট্রের ঐতিহাসিক ভিত্তিতত্ব উপস্থাপন করেছিলেন-যা ইতিহাসে “শিয়ালকোট কনভেনশন” নামে পরিচিত। শিয়ালকোট কনভেনশনে এক মাত্র বাংগালী নেতা শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।
শিয়ালকোট যুগেযুগে বিদেশীদের দ্বারা বারবার দখল হয়েছে।
এমনকি ১৯৬৫ সনে ইন্ডো-পাক যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনী শিয়ালকোটের বেশীরভাগ (নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স) এলাকা দখল করে নিয়েছিল। ঐ সময় অনেক বাঙ্গালী সেনা অফিসার ইন্ডিয়ান আর্মীদের বিরুদ্ধে মরনপণ যুদ্ধ করে ইন্ডিয়ান সেনাদের হাত থেকে শিয়ালকোট মুক্ত করে। বিখাত সেই যুদ্ধের নাম- ‘চাউইন্দা যুদ্ধ’। তখন বাঙ্গালী সেনাদের সাথে শিয়ালকোটের সাধারন জনতাও যুদ্ধে যোগ দেয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার বাঙ্গালী সেনা অফিসারদের ও শিয়ালকোটের জনগনকে ”হিলাল ই ইস্তেকলাল”-খেতাবে ভূষিত করে।
১৯৬৫ এমনকি ১৯৭১ সনে ইন্ডো-পাক যুদ্ধেও সারগোদা, গিলগীট, শিয়ালকোট-শাখারগার্ট সেক্টরে বাঙ্গালী সেনারা অসীম সাহসের সাথে যুদ্ধ করে ইন্ডিয়ান সেনাদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিল। বাংগালী সেনাদের সেই বীরত্বের কথা পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের অজানা নয়-তাই বাংগালীদের ওরা সমীহ করে, সম্মান করে।
শিয়ালকোট অনেক বিখ্যাত লোকের জন্ম স্থান। যাদেরমধ্যে রয়েছেন-বলিউড তারকা রাজেন্দ্র কুমার,পাকিস্তানের ওহাহিদ মুরাদ,গজল সম্রাট ওস্তাদ গুলাম আলী, ওস্তাদ আল্লাহ রাখা, পাকিস্তান কৃকেটের ইজাজ বাট, জহির আব্বাস, ইজাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক(শিয়ালকোট শহরের সকল দর্শনীয় স্থান, হোটেল রেস্টুরেন্ট সর্বত্রই সোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার বিশাল বিশাল ছবি লাগানো। সোয়েব মালিক সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করায় পাকিস্তানীরা মনে করে-ওরা ইন্ডিয়াকে যুদ্ধে পরাজিত করেছে!), জাহিদ ফজল, আবদুর রেহমান।
হকি খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন-কামরান আশ্রাফ, তারিখ শেখ, জাহিদ শেখ, মনির ভাট্টিসহ অনেক। এই শহরেই জন্মে ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত সাংবাদিক কুলদিপ নায়ার। বর্তমানে বিশ্বখ্যাত পাকিস্তানী সাংবাদিক খালিদ হাসান, হামিদ মীর। পাকিস্তানের বর্তমান সেনা প্রধান আশরাফ কায়ানীও শিয়ালকোটের সন্তান।
গত ক’দিনেরমত আজ সারাদিনে আসলাম তাহির অনেকবার ফোন করেছে-“মাফী মাংগে কিছু তোওফা/ইনাম দিজিয়ে” দেখা করতে চায়।
আমি আসলামকে ঘৃণা করি, এভয়েড করি। আসলাম তাহিরদের সাথে বিজনেস হবেনা-তা ডাইরেক্ট বলেদিয়েছি, কারন "আছলাম তাহিরের বাবার হাতে বাংগালীর রক্ত, ওর চোখে এখনও ৭১ এর বর্বরতা। ওর বাপকে আমি ঘৃণা করি, করুণা করি-ঐ বৃদ্ধ জানোয়ারকে আমার পিটাতে ইচ্ছা করে..."-এই কথাগুলো আমি ডাইরেক্ট বলেছি! কিন্তু অশিক্ষিত আছলাম তাহির ইংরেজী কথা বোঝেনি নিশ্চিত। যদিও কথাগুলো আমি ভাংগা ভাংগা উর্দ্দূতেও বলেদিতে পারতাম-কিন্তু ঐ জানোয়ারের সাথে এখন আমার "শখের উর্দ্দূ" আসেনা।
রাত প্রায় এগারোটা।
পূর্ব প্রতিশ্রুতিমত জাবিরদের বাড়িতে ডিনার করে রুমে ফিরছি-ভিজিটরস লাউঞ্জে বসে আছে আছলাম তাহির। আমাকে দেখেই দাঁড়িয়ে সালাম দেয়- হাতে কয়েকটা প্যাকেট-ভিতরে কি আছে জানিনা। কাছে এসে কাচুমাচু হয়ে বলে-“স্যার ম্যায় মাফী মাংতা, আপকি লিয়ে কুছ তোওফা ভী হ্যায়"। আমি ওকে ইগনোর করে হেটে যাচ্ছি- অসভ্যটা এবার সামনে এসে আবার বলে- “স্যার ম্যায় মাফী মাংতা, আপকি লিয়ে কুছ তোওফা ভী হ্যায়”। আমি শুধু বলি-“ওকে, গেট লস্ট রাইট নাও”।
এবার আসলাম তাহির আমার পাশে এসে হাতের প্যাকেটগুলো নিতে অনূরোধ করে আর ফিশ ফিশ করে বলে- "স্যার মজাক্ক লুট চাহিয়ে? বহুতী বিউটিফুল আফগান লাড়কী মেলেগী......হামলোগ পে করুংগে”-আমি আছলাম গালিভারের দিকে তাকিয়ে ক্রুদ্ধ কন্ঠে বলি-“গেট আউট বাস্টার্ড! সিকিউরিটি! সিকিউরিটি......”! সিকিউরিটি ডাকায় ভয় পেয়ে বলে-“গোস্তাকী মাফী, গোস্তাকী মাফী স্যার”।
আমি সুযোগ হাতছারা নাকরে বলি-“ও লাড়কীকো তুমসে বুড্ডা লুচ্চা বাপকো দেজিয়ে, সাথ সাথে তেরা মা অউর বহিনকো লিয়ে, তেরা বহু(বৌ)- লাড়কীকো লিয়ে-তুমহারা বাপ বেটা মিলনে মজাক্ক লূটিয়ে-শালা কুত্তার বাচ্চা”!
৪/৫ জন হোটেল সিকিউরিটিমেন দৌড়ে এলে আমি সব খুলে বলি-সাথে সাথে ওকে পাকড়াও করে নিয়ে যায়............
প্রিয় পাঠক, আছলাম তাহিরের বাপের সাথে প্রথম দিনের নোংরামীর পর থেকেই ক্ষোভে-দূঃখে আমার শরির-মন বিষিয়েছিল, আমার শরির যেনো চলছিনা-এই গালিগুলো ঝাড়ার পর থেকেই নিজেকে খুব ফ্রেশ লাগছে!
(পরের পর্বে.........)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।