ওয়াচে থাকার রেকর্ড ভাংতে যাইতেছি! উনি চলে য়াবেন একদিন,জানতাম। গতরাতে য়খন জানলাম,নির্বিকার ভাবে শুনে গেছি,আমার বন্ধুর গলা কান্নায ভেংগে পড়ছে,চুপচাপ শুনছি তার হাহাকার। ক্যান্সার উনাকে নিতে পারেনি,অপারেশনের জটিলতা তাকে নিয়ে গেছে। না....। উনি খুব একটা কষ্ট পাননি নিশ্চয়,ঘুমের মধ্যে চলে গেছেন।
আজ ভোরে ফেসবুক খুলতে গিয়ে মনে পড়ল,তার মেযে বিপাশা ত আমার ফেবু ফেন্ড,১০ বছর একই ক্লাশে লেখাপড়া করেছি। না.....বিপাশা আমার বন্ধু হয়ত না,ওর নিজস্ব সার্কেল ছিল,কিন্তু ভাবতে ভালো লাগত আমি হুমায়ুন আহমেদের মেয়ে কে চিনি। ক্লাস ফোরে আমরা রবি ঠাকুরের 'মনে কর যেন বিদেশ ঘুরে মা কে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দুরে' কবিতাটা অভিনয করেছিলাম। মহা সুন্দরী বিপাশা গরদের শাড়ি পরে মা হয়েছিল,বাবা কে বলেই হয়ত বিটিভি থেকে কাঠের পালকি জোগাড় করেছিল। সেই পালকির বেহারা ছিলাম আমি,ডাকাতের মুখে বিপাশা কে ছেড়ে পালিযে গিয়েছিলাম।
আজ বিপাশার সবকিছু আছে। যে আমেরিকার মাটিতে তার বাবা ক্যানসারের সাথে লড়াই করেছে সেই আমেরিকার আরেক প্রাণ্তে সুখের ঘর সাজিয়েছে সে। বাবা কে কি তার কখনো মনে পড়েনি?সমাজ,সংসার,জীবনের নানা জটিলতায় যে বাবার নাম ও সে মুখে আনেনা,সেই বাবা কে নিয়ে আর বিব্রত হতে হবেনা। নাহ,ওর ফেবু দেখে কিচ্ছু বোঝার উপায় নেই যে বাবা বলে কেউ ছিল,আজ নেই। চলে গেলাম নুহাশের ফেবুতে.....রেস্ট্রিক্টেড প্রফাইল.....কিন্তু চোখ আটকে গেলো নুহাশের প্রফাইল পিকচারে.......হুমায়ুন আহমেদ,গুলতেকিন আর তাদের কোলে ছোট্ট নুহাশ।
বুকটা ভেঙে গেলো যেনো। আমাদের সবার পরিচিত এই নুহাশ ছেলেটা,সবাই চেনে বিপাশা শীলা কে.....তোমাদের বাবার কারণেইতো,আজ বাবার জন্য হযত কাদবেনা তোমরা,কিন্তু হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বিপাশা কে,নুহাশ কে যিনি জীবনবোধ টুকু দিয়ে গেছেন,তারা বাবাকে ভুলবেনা কোনদিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।