আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিষাদ-নিনিত এবং শাওন অতঃপর...

বাংলা মোদের সোনার বাংলা/নুরের বাংলা হয়ে যায়/বাংলা ভাষা অজানা মোর/ দিলে কিছু কয়ে যায়। । শেষবারের মতন যখন দেশে এসেছিলেন বিদায়ের বেলায় তার মুখখানি দেখছিলাম, যখন ফিরতি ফ্লাইটে উঠছিলেন, কাঁধে ছিল নিনিত। তিনি ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদে’ লিখেছিলেন এই নিনিতের জন্যই তার নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা! তার জন্যই তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন দীর্ঘদিনের ‘বন্ধু’ নিকোটিনকে। আজ আমার বারবার চোখে ভেসে উঠছে নিনিতের কোমল অবয়বটি।

এই ছেলেটি আজ কোনভাবেই বুঝতে পারছে না- তার বাবা শব্দটি মুখে আনার সময় শেষ! আসলেই নিনিত যখন বড় হয়ে জানতে পারবে তার পিতা সম্পর্কে, তার বুকে কত হাহাকারই না থাকবে!? তার পিতার উচ্চতা তাকে আরও বেশি নিঃসঙ্গ এবং বেদনাকাতর করে তুলবে। নিষাদের মুখটিও ভেসে উঠছে, অসুস্থ থাকাকালীন বাবাকে কত যত্নই না করতে এতটুকুন ছেলেটি! বাবার জন্য কত মায়া!! আমি জানি না আজ সে কেমন আছে। তবে ছেলেটিকে খুব তাড়াতাড়িই তার পিতাকে হারাতে হল, বড় অসময়ে, যখন তার পিতার সান্নিধ্য দরকার ছিল বড় বেশি। শাওন কেমন আছে? মেয়েটি এই বুড়ো মত লোকটিকে নিয়ে অনেক যুদ্ধ করেছে! এই লোকটির জন্য তার হৃদয়ে কত মমতা আর ভালবাসা ছিল, তা এই লেখকের লেখনি দিয়ে কোনদিনই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার মতন কোনও ভাষা আজ কারও জানা নেই।

তবুও কেন জানি হাহাকার অনুভব করছি। তার ভরা যৌবনেই তাকে বিধবা হতে হল... সামনের প্রতিটি মুহূর্তে যখন এই অদ্ভুত মানুষটির চেহারা তার মুখে ভেসে উঠবে সে কিভাবে তাকে সামলাবে!? এই লেখায় গুলকেতিনকেও স্মরণ করছি। তার হৃদয়ের অবস্থা জানতে খুব বেশি ইচ্ছে করছে... সাথে নুহাশদেরও! তারা আজ কেমন আছে? নিশ্চয় তাদের হৃদয়ে অঝোরে বয়ে যাচ্ছে শ্রাবণ ধারা... এ শুধু আমার কল্পনা নয়... চাওয়াও!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।