আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নয় মাসে ৯টি প্রাণভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রণব

গত নয় মাস ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে নয়টি প্রাণভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে মোট ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন প্রণব মুখার্জি। ভারতের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে এতো বেশি মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা কিছুটা অস্বাভাবিক। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া’র। অন্যদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণ তার সময়ে একটিও প্রাণভিক্ষার আবেদন বিবেচনায় নেননি। এপিজে আব্দুল কালাম খারিজ করেছেন একটিতে আর প্রতিভা পাতিল তিনটিতে।

ভারতের ইতিহাসে সবচাইতে বেশি সাবেক রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মা তার পাঁচ বছরকালে ১৪ জনের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করেন। গত বছরের নভেম্বরে প্রায় ৮ বছর পর মুম্বাই হামলার আসামি আজমল কাসাবের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন প্রণব। ২০০৪ সালে এপিজে আব্দুল কালাম ধর্ষণ ও খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ধনঞ্জয় চ্যাটার্জির প্রাণভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দেন। এ বছরের জানুয়ারির ৪ তারিখে সাইবান্না নিঙ্গাপ্পা নাতিকরের পর ৩ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টে হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আজমল গুরুর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন তিনি। এছাড়াও তিন আত্মীয়ের হত্যাকারী সাব্যস্ত আতবিরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বিভিন্ন সময়ে বীরাপ্পনের চার সহযোগীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন প্রণব মুখার্জি। বীরাপ্পন ডাকাতসহ তার সহযোগীরা ১৯৯৩ সালে মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। এ মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। একই ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন মামলায় সুরেশ ও রামজি, গুরমিত সিং এবং জাফর আলী। ধর্ষণের মামলায় ধরমপালের মালার পাশাপাশি ২০০১ সালে হরিয়ানার এমএলএ’র মেয়ে সোনিয়া ও তার স্বামী সঞ্জীব মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের পরিবারের আট জনকে হত্যা করে।

সঞ্জীব ও সোনিয়ার বিচারাধীন মামলায় ২০১৩ তে এসে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। এদের বেলায়ও প্রাণভিক্ষা আবেদন ফিরিয়ে দেন এই বাঙালি রাষ্ট্রপতি "বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের অনেক কিছুই শেখার আছে ভারতের রাষ্ট্রপতিদের কাছ থেকে। " ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।