আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই লেখাটা ফাঁকিবাজদের জন্য…

যারা তাদের বিগত শিক্ষাজীবনকে মেয়েবন্ধুর পেছনে পেছনে ঘুরে, বন্ধুবান্ধবের আড্ডা-মাস্তিতে কিংবা তারুণ্যের অহংকারে ব্যয় করেছো; নামী-দামী শিক্ষকদের শর্ট-সাজেশনে ভর করে গোল্ডেন-ডাবল গোল্ডেন বাগিয়ে ফেললেও পাঠ্য বইটা যাদের কাছে এখনো অনেকখানিই অচেনা; পড়াশোনার ব্যাপারে এখনো যাদের অবস্থা অনেকটাই ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ টাইপ এবং যারা তবুও স্বপ্ন দেখো বুয়েট, মেডিক্যাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হওয়ার-আমার এই লেখা তাদের জন্যই। প্রথমেই বলে নেই, এ লেখায় আমি তোমাদের কোনো উপদেশ দেবো না। আমি তোমাদের গল্প বলবো। আমার জীবনের গল্প। আমি তোমাদেরকে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলবো।

একটি চরম ডানপিটে-ফাঁকিবাঁজ ছেলের চরাঞ্চল থেকে বুয়েটে আসার পথে পথে যে থলি-বোঝাই অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে, তারই কিছু তোমাদের মাঝে বিতরণ করবো। আর তাতে তোমাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে না বলেই আশা রাখি। আমি বেড়ে উঠেছি এমন একটি সময়ে যখন আমাদের নদীনির্ভর চরের জীবনেও আধুনিকতার ছোঁয়া একটু একটু করে লাগতে শুরু করেছে। আর তার ফলে আমি সেখানে হাজারো সীমাবদ্ধতার মাঝেও পেয়েছি অসাধারণ মেধাবী কিছু শিক্ষকের সান্নিধ্য। আমাদের মডেল প্রাইমারী স্কুল এবং পাইলট হাই স্কুল- দুটোই ছিলো অত্যন্ত গুণগতমান সম্পন্ন।

অন্তত এটুকু বলা যায় যে, আমার ভবিষ্যতের উপযোগী বেসিকটা গড়ে দিয়েছিলো এই চরের স্কুলগুলোই। এখান থেকে গোল্ডেন এ+ পেয়ে এসএসসি পাস করার পরেই আমার ঢাকা শহরের স্বপ্ন দেখার শুরু। হ্যাঁ, গোল্ডেন এ+ পাওয়াটা ছিলো আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা। গোল্ডেন পেয়েছিলাম বলেই আমি বাবার কাছে ঢাকায় পড়ার আবদার করতে পেরেছিলাম, আমি নটরডেম কলেজ চিনেছিলাম। আর নটরডেম এ এসেছিলাম বলেই আমি জেনেছিলাম বাংলাদেশে বুয়েট নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়।

সত্যি বলছি, তার আগে আমি বুয়েট চিনতাম না; এমনকি ভর্তি ফরম তোলার আগপর্যন্তও জানতাম না যে, বুয়েটে কি কি ডিপার্টমেন্ট আছে আর কার কি কাজ? নটরডেমে এসে আমি বুয়েটের নাম শুনলাম, প্রশংসা শুনলাম। ক্লাসে স্যারদের কাছ থেকে শুনতে লাগলাম, এ বছর আমাদের কলেজ থেকে এতজন চান্স পেয়েছে, নটরডেমের ছেলেরা সাধারণত বুয়েটই টার্গেট করে ইত্যাদি ইত্যাদি। স্কুল থেকেই বায়োলজিটাকে শত্রু শত্রু মনে হতো; ভালো লাগত ম্যাথ আর ফিজিক্স(কেমিস্ট্রি খুব একটা না)। কাজেই স্বপ্ন দেখতাম ঢাকা ভার্সিটিতে ফিজিক্স পড়ার- মস্ত বড় বিজ্ঞানী হবার। কিন্তু ওই যে স্যার আর হোস্টেলের বড়ভাইদের ক্রমাগত বুয়েট কপচানো; স্বপ্নটা তাই অচিরেই বদলে গেলো।

কিন্তু বুয়েটে পড়তে হলে তো বেশি বেশি পড়াশুনা করতে হবে। উহু বাপু, ওইটাতে তো আমি নাই। ক্লাসটেস্টগুলোতে নিয়মিত ‘গোল্লা’, ‘টেন্ডস টু গোল্লা’ টাইপ মার্ক পেয়েই যাচ্ছি; কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ক্লাব-কার্যক্রম, নভেল পড়া, সোশ্যাল ওয়ার্কিং, আড্ডাবাজি- ওসবে আবার আমার ভারি আগ্রহ। আর সেই সাথে ভিকি, হলি আর আইডিয়াল প্রীতি তো আছেই।

তার সাথে ছিলো আরো একটা ব্যাপার। সারা হাইস্কুল লাইফ পিছন পিছন ঘুরেও যে মেয়েকে পটাতে পারিনি, অবশেষে নটরডেমের আইডি’র গুণে সেই ‘প্রেম পসিবল’ হলো। ফলাফল পড়াশুনা পুরাই টাঙ্গে উঠলো। যাই হোক, এতসব কাণ্ড-কীর্তি সত্ত্বেও অধ্যক্ষ বেঞ্জামিন কস্তা, সিএসসি এর কাছ থেকে কোনো প্রকার প্রেমপত্র প্রাপ্তি ব্যতিরেকেই কীভাবে কীভাবে যেন টেস্ট অব্দি পেরিয়ে গেলাম। তারপর কখানা মডেল টেস্ট দিলাম আর নামী-দামী শিক্ষকদের শর্ট-সাজেশন যোগাড় করলাম।

আর ঐ দিয়েই কষ্টে-সৃষ্টে পেরিয়ে গেলাম এইচএসসি এর বাধাও। এ+ আসবে, বুয়েট এক্সামের প্রয়োজনীয় পয়েন্টও থাকবে; কিন্তু ভালো করে বইটাই তো চিনি না। শর্ট সাজেশন আর হ্যাণ্ডনোট দিয়ে তো এইচএসসি পার পাওয়া গেলো, কিন্তু এডমিশন টেস্ট পার পাওয়া যাবে কি? প্রসপেক্টাসে সাফল্যের সচিত্র প্রমাণে প্রলুব্ধ হয়ে সবান্ধবে ভর্তি হয়ে গেলাম একটি নামজাদা কোচিং সেন্টারের শান্তিনগর/মালিবাগ ব্রাঞ্চে। প্রথম তিন সপ্তাহ পুরাই সিরিয়াস। নিয়মিত শীট সলভ করি, গাইড গুতাই আর প্রতি সপ্তাহে একটা করে সাফারী পাই।

এভাবে প্রস্তুতির শুরুটা হলো বেশ মধুরভাবেই। কিন্তু অচিরেই স্পেশাল ব্যাচে চলে গেলাম এবং সেই সাথে অধিক ভালোদের মাঝে মাঝারি হয়ে সাফারী গুলা হাতছাড়া করতে লাগলাম। কনফিডেন্স লেভেল নামতে শুরু করলো। নিজের কাছেই প্রকাশ পেতে শুরু করলো নিজের ঘাটতিগুলো। ঠিক এমনি সময়েই আমি মুখোমুখি হলাম আরেকটি সিরিয়াস সমস্যার।

তৃতীয়পক্ষের উস্কানীতে ওর সাথে ভুল বোঝাবুঝির শুরু হলো। ঝগড়া-ঝাঁটি আর পারস্পারিক দোষারোপে মিষ্টি প্রেমের সম্পর্কটা রূপ নিতে লাগলো তিক্ততাতে। পড়াশুনা আবারো লাটে উঠলো। ক্লাসে মনযোগ থাকতো না আর যাচ্ছেতাই হতো কোচিং এর পরীক্ষাগুলো। এবং একটা সময়ে আমার সামনে রূঢ় বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ালো যে, আমাকে এখন ক্যারিয়ার আর প্রেম- এর মধ্যে যেকোনো একটাকে বেছে নিতে হবে।

আমি নিশ্চয় রোমিও, মজনু, চণ্ডীদাস কিংবা তাদের কাছাকাছি মানেরও প্রেমিক ছিলাম না; আমি হয়তো কাপুরুষ ছিলাম। তাই আমি বেছে নিলাম ক্যারিয়ারকেই। প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটলো; আমি মনোনিবেশ করলাম ক্যারিয়ার গঠনের পথে। আর এই কাপুরুষতার জন্যেই হয়তো আমি এখন বুয়েটে। এবার আমি মনোযোগ দিলাম আমার হারানো কনফিডেন্স পুনরুদ্ধারে।

গাইড বই আর শীটগুলো প্রায় পূর্ণরূপেই ত্যাগ করলাম। উচ্চ মাধ্যমিক বইয়ের গাণিতিক সমস্যা গুলোকে সমাধান করাই প্রথম দায়িত্ব বলে ঠিক করলাম। এভাবে প্রথমে একটা রাইটারের বই, তারপর আরেকটা রাইটারের বই। মূলত একটা বই সমাধান করলেই কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যেত, কারণ সব বইয়েই কিছু সাধারণ সমস্যা থাকতো। এবং শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্য যে, এর সবই আমি করেছিলাম শুধুমাত্র কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে।

আগেই বলেছি আমি ভীষণ ফাঁকিবাজ পোলা। হোস্টেলে থাকতাম আর সারাক্ষণ আড্ডা মারতাম; পাশের কলেজের মেয়েদের দেখতাম। কোচিং এর বাইরে এই ছিলো আমার কাজ। কাজেই, আমার মতো ফাঁকিবাজ ছেলেকে যা করার কোচিংয়েই করতে হবে। আর এতে করে আমাকে শুধু সপ্তাহের চারদিন দুইঘন্টা করে নয়; প্রায় প্রতিদিনই কোচিং সেন্টারে দেখা যেতে লাগলো।

আড্ডা জমিয়ে নিলাম কো-অর্ডিনেটর ভাইয়াদের সাথে। একেকটা ক্লাস করি, মাথায় গেঁথে নেয়ার চেষ্টা করি আর না বুঝলে পরবর্তী আরেকটা ব্যাচের সাথে একই টপিকের ক্লাসে ঢুকে যাই। আর ক্লাস শেষে ঐ টপিকের উপর বইয়ের প্রবলেমগুলো সলভ করতাম কোনো ফাঁকারুম খুঁজে নিয়ে। সেই সাথে ভাইয়াদের ক্লাসে আর ক্লাসের বাইরে প্রশ্ন করে কান ঝালা-পালা করার ব্যাপার তো ছিলই। এভাবে কোচিং সেন্টারে দেয়া টাকাগুলোর প্রায় শতভাগ সৎব্যবহারই করতে সক্ষম হয়েছিলাম বলা যায়।

আর তাই যারা বলেন, কোচিং কোনো কাজের না; তাদের বলছি, ‘স্যরি, আমি আপনাদের সাথে একমত না। ’ আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু কোনো কোচিং-সেন্টারেই ক্লাস নেই না। যাই হোক, ভর্তি পরীক্ষায় আমার সাফল্যের পিছনে যে জিনিসটার অবদান সবচেয়ে বেশী বলে মনে করি সেটা হচ্ছে আমার আত্মবিশ্বাস। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এতে ছোটোখাট ধাক্কা লাগলেও কেন জানি না এই আত্মবিশ্বাস বস্তুটা সবসময়ই আমার পাশে ছিলো। আমার মাঝে একটা দৃঢ়বিশ্বাস জন্ম নিয়েছিলো যে, আমি পারবো।

মনে পড়ে আমি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিলাম। পদার্থ ১মপত্রের পরীক্ষা ছিলো সেদিন। আজিমপুর কলোনিতে সাবলেটে থাকতাম। তাই পরীক্ষা শেষে হেঁটে হেঁটেই ফিরছিলাম। পথে এক পরিচিত বড়ভাইয়ের সাথে দেখা।

কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলেন, পরীক্ষা-পরবর্তী প্ল্যান কি? আমি বললাম, বুয়েটে পড়বো। হ্যাঁ, ভাইয়া আমাকে আজো বলে, “তুই বলেছিলি বুয়েটে পড়বি; তুই বলিস নি বুয়েটে ট্রাই করবি কিংবা বুয়েটের কোচিং করবি। ” এটাই আত্মবিশ্বাস। লক্ষ্যপূরণের ব্যাপারে নিজের ভিতরে এই আত্মবিশ্বাসের চর্চা করাটা খুব জরুরি বলেই মনে করি। আমার ভিতরে এই আত্মবিশ্বাস ছিলো।

বুয়েট ভর্তিপরীক্ষার মাত্র দুইদিন আগে আমার রোড-একসিডেন্ট হয়। কেউ একজন আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে যান, যাকে আমার কখনোই আর জানা হয় নি; দেয়া হয় নি একটি শুকনো ধন্যবাদও। তারপর জ্ঞান ফিরলে হোস্টেলে যোগাযোগ করে ব্যাণ্ডেজবন্দী মস্তক নিয়ে ফিরি। মাথাটাকে অসম্ভব ভারি মনে হতো। আর পড়াশুনার তো প্রশ্নই উঠে না।

সবাই আমাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলো, এটা-সেটা বলতে লাগলো। আর আমার মাথায় তখন একটাই চিন্তা। আমাকে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে; যে করেই হোক দিতে হবে; কারো সান্ত্বনাই আমাকে আমার হারানো সুযোগ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আর তাই, লক্ষ্যের প্রতি একাগ্র থাকা নিঃসন্দেহে লক্ষ্য অর্জনের পথে আরেকটি অন্যতম শর্ত। পরীক্ষার দিন সকালে মাথাটা আগের চেয়ে হালকা বোধ করলাম।

পরীক্ষার হলে গিয়ে বসলাম। শেষমুহুর্তের প্রস্তুতি হিসেবে কিছুই আর পড়া হয় নি। সম্বল বলতে আগের পড়াগুলোই। ধীরে ধীরে মাথার ভিতরে গুছিয়ে নিতে লাগলাম এক্সাম স্ট্র্যাটেজীগুলো। মনে পড়তে লাগলো ভাইয়াদের কথা গুলো।

“তুমি কত বেশী উত্তর করতে পারবে সেটা নির্ভর করবে তুমি কত দ্রুত না পারা জিনিসকে স্কিপ করে যেতে পারছো তার উপর। সময় নষ্ট করা কোনোভাবেই চলবে না। ” “তুমি তোমার সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ নম্বরের উত্তর করার চেষ্টা করবে। কখনোই এটা ভেবে হতাশ হবে না যে, তুমি কত নম্বর ছেড়ে আসছো। তুমি জানো না প্রশ্ন সহজ নাকি কঠিন হয়েছে।

” “ইংরেজী দিয়ে উত্তর শুরু করা ভালো, কারণ প্রশ্নপত্র ঠিক আছে কিনা সেটা চেক করার ফাঁকেই ইংরেজীর প্যাসেজটা পড়ে নেয়া যায়। ” এরকম আরো কিছু টিপস। সেলাই-পরা মাথার ভিতরে একটা চিনচিনে ব্যাথা ক্ষণে ক্ষণেই তার উপস্থিতি জানান দিয়ে যেতে লাগলো। তারই মাঝে সময়ের হিসেব মেনে দ্রুতলয়ে উত্তর করে যেতে লাগলাম। পাশের কারো সাথে কথা বলার কোনো সুযোগই নেই; কারণ তাতে যেকোনো সময় সাইলেন্ট এক্সপেল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আর তাছাড়া কথা বলার মতো ফুসরতই বা কই? এরই মাঝে পরীক্ষা পর্যবেক্ষকেরা আমাদের ছবি নিয়ে এসে চেহারা মেলাতে শুরু করলো। এবং অনেকক্ষণ পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে বিশ্বাস করলো যে, এই ব্যাণ্ডেজে মোড়া মস্তকের ছেলেটা আর ছবির নাদুস-নুদুস ছেলেটা একই মানুষ! পরীক্ষা শেষে বের হলাম। কেউ ছয়শ উত্তর করেছে আর অন্যদিকে কেউ তিনশ ছেড়ে দিয়ে এসে এখন হাউমাউ করছে। আমার সে চিন্তা নাই, ৪৫০ এর মতো উত্তর করেছি; আশা করি চান্স হয়ে যাবে। পুরো কলেজ লাইফ ফাঁকি দিয়ে এসে আর এইরকম শারীরিক অবস্থায় পরীক্ষা দিয়ে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা না করাই ভাল।

……………………………………………… [*]আমার অভিজ্ঞতা বিনিময় আজকের মতো এখানেই শেষ। যদি তা এতটুকুও নবীন স্বপ্নচারীদের কাজে লাগে তবেই এ লেখা স্বার্থক। সেক্ষেত্রে হয়তো আবারো হাজির হতে পারি অভিজ্ঞতার ডালি নিয়ে। [*]বুয়েটে চান্স পাওয়ার পর হারানো প্রেম ফিরে আসতে চেয়েছিলো। কিন্তু ফাটলটা কেন জানি আর জোড়া লাগতে চাইলো না।

কিছু পেতে হলে কিছু তো ত্যাগ করতেই হয়। এখন এটা তোমাকেই ঠিক করতে হবে যে, তুমি কোনটাকে প্রাধান্য দেবে। আর আমার মতে, আগে তোমার ক্যারিয়ার গোছাও, সময়ে বাকি সবই আসবে। [*]বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো আমি ডাক্তার হই। বাবা অনেক আবেগ দিয়ে বলেছিল, “বাবা, আমার বংশে একটা ডাক্তার হলে অনেক শান্তি পাইতাম।

” আমি জবাব দিয়েছিলাম, “আর বুয়েটে যে শুধু তোমার বংশ থেকেই না, পুরো এলাকা থেকেই কেউ চান্স পায় নি?” নিজের ক্যারিয়ারের প্রশ্ন যেখানে সেখানে পছন্দটাও নিজেরই হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীর ডিটারমিনেশন থাকা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি অভিভাবকদের সচেতনতা। [*]কোচিং এর রুম কো-অর্ডিনেটর দানিশ ভাই শেষ কোচিং এর দিন আসার সময় আমি কোন ডিপার্টমেন্টে চান্স পাবো সে বিষয়ে একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। আজো অবাক হই যে, তার মজার ছলে বলা কথাটা কি করে শেষপর্যন্ত সত্য হয়ে গেলো!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।