প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা সেদিন চৈত্র মাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ! ল্যাপ্টপের সামনে বসে ঊবুন্টু সেটাপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা মেসেজ আসল। পরলাম। একি দেখলাম আমি? হুমায়ুন আহমেদ নেই? কথাটা কোনোমতেই বিশ্বাস হয়নি। ভুয়া খবর হতে পারে।
তাও মনটা যেন কেমন করতেছিল। টান মেরে ডিস্ক ড্রাইভ খুলে ফেললাম। রাখ তোর ঊবুন্টু। ল্যাপি রিস্টার্ট দিলাম। সামুতে ঢুকে দেখি সবার একি পোস্ট! একি।
এরকমতো হওয়ার কথা না। এখন কি করব? আর কি বইমেলায় যাওয়া হবে? যে টাকা জমাচ্ছিলাম বই কেনার জন্য তার কি হবে? কত বইমেলা চলে যাবে কিন্তু কোনোদিন আর বইমেলায় যাওয়ার উৎসাহ পাবোনা। কোনোদিনই না।
আর কোনো হিমুর সাথে আমাদের দেখা হবে না। আর কোনো মিসির আলি রহস্য উদ্ঘাটন করতে আসবেনা।
তাই সমস্ত রহস্যই হয়তো রহস্যই থেকে যাবে।
তাঁর একটা ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে একটি ক্যান্সার ইন্সটিটিউট করে যাবার। কি হবে এটার? কেউ কি আর উদ্যেগ নিবে? হয়তো না। স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যাবে
একটা গান এখন অনেক মনে পড়তেছে,
ও কারিগর দয়ার সাগর ওগো দয়াময়,
চান্নি পসর রাইতে যেন আমার মৃত্যু হয়।
তার হয়তো চাদনী রাতে মৃত্যু হয়নি।
হয়েছে এমন সময় যখন নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ।
একসময় বই পড়তে আমার ভালো লাগতো না। কিন্তু যেদিন থেকে হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ছি সেদিন থেকেই বই পড়াটা একটা নেশা হয়ে গিয়েছিল। আর কারো বই আমার কাছে তেমনটা মনে হয়নি যেমন তাঁর বই পরে মনে হয়েছিল
তোমার তুলনা কারো সাথেই হয়না হুমায়ুন আহমেদ, তোমার তুলনা শুধুই তুমি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।