আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্য গ্রেট সালভাদর দালি’র কর্মকাণ্ড (এর আগে পুরোটা দিতে পারিনি, এখন দিলাম)

গনতন্ত্রের শুদ্ধতা চাই সালভাদর দালি (সাল্ভাডর ডালি) আমার মনে হয় যে সামান্য কিছু মানুষ তাদের সৃষ্টিতে ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন দালি তাদের মাঝে অন্যতম একজন। পুরো নাম Salvador Domingo Felipe Jacinto Dalí i Domènech । দালি সাইত্রিশ বছর বয়সেই তার জীবদ্দশায় নিজের জীবনবৃত্তান্ত লিখে যান। বইটার নাম The Secret Life of Salvador Dalí । জন্মগ্রহন করেছেন ১১ মে ১৯০৪ সালে স্পেন এর কাতালান শহরে বড় হয়েছেন স্পেন এ।

তিনি আর্ট এর ওপর পড়াশোনা করেছেন স্পেন এর San Fernando Academy of Art এ। গালা নামে এক রমণীকে তিনি বিয়ে করেন। পরে তাঁর নাম হয় গালা দালি। এর আগে গালা’র একটি বিয়ে হয়েছিল। ১৯২৯ সাল থেকে গালা ও দালি একসঙ্গে থাকলেও তারা বিয়ে করেন ১৯৩৪ এ, দ্বিতীয়বার তাঁরা বিয়ে করেন ১৯৫৮ সালে।

প্রথমবার সিভিল আইন এ ও দ্বিতীয়বার ক্যাথলিক আইনে। দালি ক্যান্ডাওলিজম(Candaulism ) চর্চা করতেন। অর্থাৎ নিজের স্ত্রী কে অন্যের সামনে এক্সপোজ করে এক ধরনের ফ্যান্টাসি পেতেন। এ কারনে গালা এর বিভিন্ন পুরুষের সাথে সম্পর্ক ছিল। এবং এ কারনেই বোধয় দালি গালা’র নগ্ন পোট্রেট এঁকেছেন।

প্রথম দিকে তিনি ইম্প্রেশনিস্ট ম্যানার এর ছিলেন কিউবিজম, ফিউচারিজম, এবং পিউরিজম এর ওপর বেশি আকৃষ্ট ছিলেন, প্রথম দিকে তার কিছু পেইন্টিং প্রদর্শনী করেন কাতালানে। কিন্তু তার পেইন্টিংস এ বীভৎসতা এবং অঙ্গ প্রত্তঙ্গহীন মানব প্রতিকৃতি থাকত বলে মাদ্রিদ এর গ্যালারী গুল তার প্রদর্শনী করা বন্ধ করে দিয়েছিল। দালি শুধুমাত্র যে ছবি আকাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন তা নয়। ১৯২৯ সালে তিনি এবং তার শিক্ষা জীবনের বন্ধু লুই ব্যন্যুয়েল মিলে তৈরি করেন ১৬ মিনিটের একটি শর্ট ফিল্ম নাম Un Chien andalou (An Andalusian Dog) । সাররিয়ালিজম ফিল্ম এর মাঝে এটা ছিল প্রথম দিকের মুভমেন্ট, এবং প্রায় একশ বছর থেকে এই মুভিটা দর্শকদের এখনও কনফিউজড করে রেখেছে।

এমনকি তিনি হিচকক এর সঙ্গেও কাজ করেছেন, তাঁর ‘Spellbound’ মুভিতে তিনি ড্রীম সিক্যুয়েন্স গুলো তৈরি করেছেন। এবং ওয়াল্ট ডিজনি এর সঙ্গে তিনি একটি কার্টুন ফিল্ম তইরির কাজেও হাত দিয়েছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি তাঁর একমাত্র উপন্যাস প্রকাশ করেন নাম ‘Hidden Faces’। এমনকি তিনি একটি অপেরাও লিখেছিলেন ‘Etre Dieu’ এবং তিনি মাঝে পোশাকের ডিজাইন ও করেছেন। তিনি ভীষণভাবে ক্যাপিটালাইজড ছিলেন, অর্থকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন এ ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন – “Liking money like I like it, is nothing less than mysticism. Money is a glory. ” এজন্য অবশ্য কিছু মানুষ তাকে বাকা চোখে দ্যাখে।

এবং তিনি তাঁর খ্যাতি কে অত্যন্ত উপভোগ করতেন, তিনি বলেছিলেন – “Each morning when I awake, I experience again a supreme pleasure – that of being Salvador Dali.”। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ছিলেন তাঁর সাররিয়ালিস্টিক এবং এবস্ট্রাক্ট পেইন্টিং এর জন্য। শেশের দিকে তিনি ছবি আঁকা কমিয়ে দেন। তিনি এতোটাই সফল ছিলেন যে তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর ছবির জন্য দুটি মিউজিয়াম তৈরি হয়েছিল একটি হচ্ছে The Salvador Dalí Museum পিটারসবারগ, ফ্লোরিডায় অপরটি Theatre-Museum ফিগুয়েরাস এ। সালভাদর দালি মারা যান ২৩ জানুয়ারি ১৯৮৯।

তাঁর আঁকা আমার অত্যন্ত প্রিয় কিছু পেইন্টিং The Persistence of Memory (স্মৃতির বিদ্যমানতা) ১৯৩১ তৈল চিত্র এটি সালভাদর দালি এর সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম। মাত্র ২৭ বছর বয়সে আঁকা এ পাইন্টিং টি দিয়েই দালি ব্যাপক পরিচিতি পায়। এই ছবিটার দিকে তাকালেই আপনি একটি নিঃশব্দিক আবহ অনুভব করবেন। এই ছবিটি মুলত দালি এর “softness” এবং “hardness” বা ‘মেল্টিং’ থিওরী এর ওপর। অনেকে ধারনা করেন এটা আইনস্টাইন এর ‘থিওরী অফ রিলেটিভিটী’ থেকে অনুপ্রানীত হয়ে ছবিটি এঁকেছেন।

কিন্তু ছবিটি যে সময় আঁকা সেই সময় “থিওরী অফ রিলেটিভিটি” ই কোন প্রতিষ্ঠিত থিওরী ছিলনা। এবং দালি বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এ অ্যাটমিক ব্লাস্ট এর পর। সুতরাং এই ধারনা টা খুব বেশি কারযকর নয়। অনেকে মনে করেন ছবিটা ‘অবচেতন’ এবং ‘সচেতন’ মানসিক অবস্থার পরিস্ফুটন করে। ব্যাপারটার ব্যাখ্যা এমন- ছবিতে আমরা চারটা পকেট ঘড়ি দেখতে পাচ্ছি।

তিনটি ঘড়ি গলিত অবস্থায় আছে। এই তিনটি ঘড়ি মানুষের অবচেতন মনের বহিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। ঘুম মানুষের অবচেতন মনকে জাগিয়ে রাখছে। একটি ঘড়ি কমলা রঙের কিন্তু সেটা গলিত অবস্থায় নাই, এটাকে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন সচেতন মনের দুশ্চিন্তা। কারন কমলা রংটা মনস্তাত্ত্বিক ভাবে দুশ্চিন্তা কে রিপ্রেজেন্ট করে।

কমলা ঘড়িটার ওপরে অনেকগুলো পিঁপড়া , পিপড়াগুল ঘড়িটার কেন্দ্রে আকর্ষিত হচ্ছে। পিঁপড়া কে তিনি অধিকাংশ সময় ক্ষয় বা মৃত্যুর প্রতিক হিসেবে ব্যাবহার করেছেন। এতে বোধয় তিনি বোঝাতে চেয়েছেন সচেতন মনের দুশ্চিন্তা গুলো ঘুম বা ‘অসচেতন’ অবস্থায় বিলুপ্ত হয় । ‘অবচেতন’ মনে দুশ্চিন্তার মৃত্যু ঘটে। ছবিটির কেন্দ্রে একটা প্রতিকৃতি দ্যাখা যায়, প্রতিকৃতি টা অনেকটা মানুষের মুখের মত, সেটার অপর চোখের পাপড়ি দ্যাখা যাচ্ছে।

অনেকে মনে করেন এটতে তিনি বোধয় বুঝিয়েছেন দুঃস্বপ্নে আমরা যে সব দানবীয় আক্রিতি দেখি বা জান্তব আকৃতি দেখি সেগুলকে। এই আক্রিতিগুল সাধারনত আমাদের মনে ঝাপসা ভাবে থাকে। ছবিতেও আকৃতি টাকে ঝাপসা করা হয়েছে। অনেকের মতে আবার আকৃতি টা একটা মাছের। ছবিটাকে অন্যভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়।

ছবিটায় আলো আধারি দুট অংশ আছে। সমুদ্রের তীরে দুটি পাথর পরে আছে। একটি অন্ধকারে অপরটি আলয় আলোকিত। অন্ধকার অংশটাকে ‘অবচেতন মন’ এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। আলোকিত অংশটাকে ‘সচেতন মন’ এর সাথে তুলনা করা যায়।

Geopoliticus Child Watching the Birth of the New Man ১৯৪৩ , তৈলচিত্র সালভাদর দালি যখন আমেরিকায় অবস্থান করছিলেন। এটি সালভাদর দালি এর আর একটি বিখ্যাত পেইন্টিং। সিম্বলিজম ও রঙ এর ব্যাবহার স্পস্টতই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা প্রকাশ করে। দালি’র আর একটি মাস্টারপিস। ছবিটায় একটা ডিম আকৃতির পৃথিবী দ্যাখা যাচ্ছে।

এবং সেই ডিম থেকে একজন মানুষ জন্ম নিচ্ছে। স্পষ্টতই মানচিত্রে যায়গাটা আমেরিকা। মানুষটার বাম হাত মানচিত্রে গ্রেট ইংল্যান্ড এর ওপর। অর্থাৎ পৃথিবীর ওই অংশ থেকে এমন এক শক্তি জন্ম নিচ্ছে যা গ্রেট ইংল্যান্ড কে আচ্ছাদিত করে রাখছে। মানচিত্রে তৃতীয় বিশ্বের বেশ কিছু অংশ গাড় করে আঁকা, এতে বোঝাচ্ছে যে বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা কাটিয়ে এসব অঞ্চলের ও কিছু দেশ শক্ত ভিত্তি তৈরি করে নিয়েছে।

ডিম আকৃতির গোলকটার উত্তর থেকে দক্ষিন মেরু পর্যন্ত চেরা এবং সেখান থেকে রক্তের প্রবাহ বের হচ্ছে, এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা এবং কি পরিমান রক্ত ঝরেছে তা প্রকাশ করছে। দূরে দাঁড়িয়ে দুটি মানব আকৃতি। বড় মানব আকৃতি টি সেই শক্তির জন্মের দিকে নির্দেশ করছে। বর আকৃতিটির কোন লিঙ্গ নির্ধারিত নাই, আকৃতিটি রুগ্ন, খয়ে যাওয়া, জীর্ণ । আর ছোট শিশুটি সাস্থবান, পরিপুস্ট, এবং বলশালী।

এক্ষেত্রে ফিগার দুটিকে আমেরিকার অতিত অ ভবিষ্যৎ এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, একটি জীর্ণ অতিত থেকে এসে তাঁরা পরিপুস্ট ভবিশ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানব আকৃতি দুটির ছায়ার দিকে খেয়াল করলে দ্যাখা যায় বড় ফিগারটির ছায়া ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে আর শিশুটার ছায়া ক্রমশ বিকাশিতি হচ্ছে। এ ছাড়াও ছবিটি তে আরো পাঁচ টি মানব আকৃতি রয়েছে। গ্লোব এর দুপাশে খেয়াল করলে দ্যাখা যায়। এখানে দুটি আকৃতি নাচ এর ভঙ্গিমায় আছে।

এর মাধ্যমে দালি বোঝানোর চেস্টা করেছেন সমাজের উচু শ্রেনী ধীরে ধীরে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বের হয়ে আসছে কিন্তু তাদের সাথে সমাজের নিচু শ্রেনীর কন সংযোগ নেই। সর্বোপরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়ীক ও পরবর্তী সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা এতো অসাধারন সিম্বলজি এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিটায় যা এই ছবিটাকে একটি মাস্টারপিস এ পরিনত করেছে। The Face of War, 1940 তৈলচিত্র সাল্ভাদর দালি’র অদ্ভুতুড়ে সার- রিয়ালিস্টিক পেইন্টিং গুলোর মাঝে অন্যতম একটি পেইন্টিং এটি। ছবিটি যে সময় আঁকা তসেই সময় দালি’র জন্মভুমি স্পেন এ দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষ হয় । সমস্ত স্পেন লাশের ওপর বাস করছে, চারিদিকে যুদ্ধের বীভৎসতা , খুন, রক্ত, মৃত্যু এবং মৃত্যু ।

মমতাময়ী স্পেন যেন একটা জীবন্ত লাশ এ পরিনত হয়েছে, এবং পাশাপাশি চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। এই সময় এই ছবিটি আঁকেন দালি। ছবিতে দেখতে পাই একটা বিবর্ণ নারী মুখ। পিছনের ল্যান্ডস্কেপ ভয়াবহ শুন্যতা প্রকাশ করছে। ল্যান্ডস্কেপ এবং বিচ্ছিন্ন কঙ্কাল আমাদের যুদ্ধের বীভৎসতার আভাস দিচ্ছে।

মুখাবয়বটির চখ এর ভেতরেও আর একটি কঙ্কাল তাঁর ভেতরে আরো একটি এভাবে চলতেই আছে, এর অর্থ সে শুধু মৃত্যু দেখছে, একের পর এক অগনিত মৃত্যু। কঙ্কাল্টির মুখের ভেতরেই একি অবস্থা। অর্থাৎ সে যা বলছে তাই মৃত্যু আর মৃত্যু। ছবিটিত ডান দিকে নিচে একটা হাতের ছাপ দ্যাখা যায়, দালি বলেছেন ছাপ টা তাঁর নিজের হাতের। দালি বলেছিলেন যে তিনি যুদ্ধ কে অনুভব করেন।

যুদ্ধের বীভৎসতা , মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ , প্রতিটা কস্ট তিনি আলাদা ভাবে অনুভব করেন। এমনকি তিনি নাকি ভবিষ্যৎ যুদ্ধ ও অনুভব করতে পারতেন। এজন্যই তিনি তাঁর হাতের ছাপটা দিয়েছিলেন। Soft Construction with Boiled Beans (Premonition of Civil War) (1936) এই ছবিটি স্প্যানিশ সিভিল ওয়ার এর তিন মাস আগে আঁকা, যুদ্ধ শুরুর পরে দালি দাবি করেন যে তিনি জানতেন যে স্পেন এ গৃহ যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথমে ছবির নাম ছিল Soft Construction with Boiled Beans যুদ্ধের পর নাম পালটে রাখেন Premonition of Civil War।

এই ছবিতেও তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। ছবিটায় তিনি ফ্যাসিস্ট বা রিপাব্লিকান কোন পক্ষই ন্যান নি। স্যুরিয়ালিস্টিক এই ছবিটায় একটা সেলফ ডিস্ট্রাক্টেড দানব দ্যাখা যাচ্ছে, যদিও তা দেখতে অনেকটাই মানুষের মত কিন্তু তা আদৌ মানুষ নয়, আকৃতিটাকে মানুষের মত করার অন্যতম কারন বোধয় রিয়ালিস্টিক দ্যাখানো। এই সেলফ ডিস্ট্রাক্টেড দানব টার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের ধ্বংসাত্মক দিকটা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটায় স্পেনের অপরুপ আকাশ দ্যাখা যাচ্ছে, এটার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, স্বাধীনতা।

স্পেন অচিরেই স্বাধীন হবে। ছবিটার নিচে কিছু সেদ্ধ শিমের বিচি পড়ে আছে। এ ব্যাপারে দালি বলেছিলেন “one could not imagine swallowing all that unconscious meat without the presence of some mealy and melancholy vegetable.” এর অর্থ বোধয় এই যে স্প্যানিশ নাগরিকদের সামনে বহু বিপদ আছে কিন্তু সেসবের মাঝে থেকেই তাদের সমাধান বের করে আনতে হবে। The Great Masturbator 1929 এটা দালির একটা শেল্ফ পোট্রেট, সঙ্গমের প্রতি তার চুড়ান্ত ভয় এবং বিতৃষ্ণা কে ফুটিয়ে তুলেছেন এই ছবিতে। এখানে ভুমির দিকে তাক করা পাথরের অবয়বটাই দালি এর মুখের অবয়ব।

মুখটা ফোলা, শান্ত, চোখ বন্ধ, এতো বোধয় পরিশ্রান্ত অবস্থা বোঝানো হচ্ছে, আর নাকের কাছে একটা ঘাস ফড়িং তার পেটে আবার পিঁপড়া, দালি ছোটবেলায় ঘাস্ফড়িং প্রচন্ড ভয় পেতেন, এখানে তিনি বোধয় তার ভয় টাকেই প্রকাশ করেছেন। একটা নারীর মুখ পুরুষাঙ্গের কাছে গিয়ে থেকে আছে, এটা বোধয় তার মৈথুনের ফ্যান্টাসি ছিল। পুরুষটার পায়ের কাছে রক্ত ঝরছে, এতে কি খোজাকরন বঝানো হয়েছে? হতে পারে। ছবিতে আরো বেশ কিছু অবজেক্ট আছে, ডিম, সিনহের মুখ, তিনটা মানুষের অবয়ব (ছবিটায় আর বেশি কিছু বুঝিনি আমি, আমার মাথা জট পাকায় যাচ্ছে) >চলব আপাতত দালি কে নিয়ে মেকানো এর গাওয়া অসাধারন একটা গান শোনেন- কথা না বুঝলেও সমস্যা নাই, গান্টা চমৎকার।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।