যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা। আমি চোখ বন্ধ করলে আজও দেখতে পাই অঝোরে ঝরে যাওয়া পুরনো বৃষ্টির ফোটাগুলি, কান পেতে শোনা যায় বৃষ্টির গান, তোমাদের বলি- জানো আমি কখনো ভালোবাসিনি বৃষ্টি, তবু আমার স্মৃতিতে বসে থেকে আমাকেই হাতড়ে বেড়ায় তারা। পঁচিশ বছর ধরে চুপিচুপি জমে থেকে আজ তারা এক মায়ার সমুদ্র হয়ে আছে। ভাবতে অবাক লাগে, কত নিভৃতে গেছে কেটে এই পঁচিশটা বছর, তারপর- মেঘে ঢাকা ম্রিয়মাণ আলোয় ভেসে গেছে আমার বাকি সব স্মৃতি, মনে হয় এই চেনা পৃথিবীতে ওঠেনি কখনো কোন সূর্য, ডানা ভাঙা ডাহুকরা ক্লান্ত হয়ে ডেকে গেছে তোমাদের, আমি বসে থেকে দেখেছি ঢেউহীন সমুদ্র, শান্ত-নিবিড় জলের মতোই স্থির। আমি ভুলে গেছি নক্ষত্রমাখা আকাশ, অজস্র চন্দ্রমল্লিকার রাত, খুঁজে গেছি আমি তপ্ত মরুর বুক, রাত্রির উষ্ণ বাতাস, তবু ক্লান্ত দেহখানি মেলে দিয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ি রাত প্রহরের মাঝে তখনও জানালা ঘেঁষে আসা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির শব্দ পাই। নেশা ধরানো বৃষ্টির শব্দ। আমি হারিয়ে ফেলেছি দুটো সূর্যের পৃথিবী, ঘাস ফুলদের বুনো গন্ধ; ক্লান্ত পায়ে হেটে হেটে কোন মরুভুমি পারি দিতে যাই- যেয়ে দেখি, আকাশ আবারো ঢেকে গেছে- তারারা নিভে গেছে ; অনেকটা পথ হেটে হেটে চলে এসেছি একা, চেনা কোন এক সমুদ্র তীরে। বিষাদ কখনো কখনো সমুদ্রের মতোই গভীর, এই ছোটো জীবনে তার ঠাই পাওয়া যায় না, মাঝে মাঝে মনে হয়, ভুল কোন পৃথিবীতে এসে জন্মেছি আমি- যেখানে, সাগরের পরেও কোন এক মহাসাগর আছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।