এমন ভাবে আমাকে ব্লক করা হোক যেন ভিসিটর হয়েও ব্লগে আসতে না পারি। এখন আর গ্রামের নব বধুঁকে লম্বা ঘোমটা দিয়ে ঘরের কোণায় লুকিয়ে রাখা হয়না। দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবণ ও কালচার, এখন আর কোন পার্থক্য খুজে পাওয়া যায়না গ্রাম আর শহরের জীবণের মাঝে, প্রত্যান্ত গ্রামে পর্যন্ত পৌছে গেছে মোবাইল ফোন, ইন্টানেট, দ্রুত উন্নত হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনৈতিক অবস্থা ও গ্রামীণ যোগাযোগ, এখন গ্রামে আগের মত রিক্সা দেখা যায় না, গ্রামে প্রচুর সি,এন,জি চালিত আটোরিক্সা চলতে দেখা যায়্, ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌছে গেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রি সরকারী তথ্য সেবা, প্রতিষ্টত হয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র, গ্রামে বসে মানুষ এখন ব্রাউজিং করতেছে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক ওয়েভসাইট, ব্লগ ও পত্রিকার ওয়েভ সাইট, গ্রামীণ জীবণে যান্ত্রিক ছোঁয়া যেমন পড়েছে টিক একই ভাবে তার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে গেছে গ্রামীন কালচার, আগে একসময় গ্রামে বিবাহ হত কনের নিজ বাড়ীতে , এখন আর কনের নিজ বাড়ীতে বিবাহ অনুষ্টান হয়না, মেহেদী অনুষ্টান নিজ বাড়ীতে হলেও বিবাহের মূল পর্ব ও মূল অনুষ্টান হয় কমিউনিটি সেন্টারে, এখন গ্রামে যত্র তত্রে প্রতিষ্টিত হয়েছে আধুনিক ও আকর্ষণীয় কমিউনিটি সেন্টার, এখন বর ও কনে দুই পক্ষ বিবাহের অনুষ্টানের জন্য ছুটে যায় কমিউনিটি সেন্টারে, আগে যখন কনের বাড়ীতে বর আসতো তখন গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা হৈয় চৈয় করে সবাই দৌড়ে আসতো নতুন বর দেখার জন্য, এখন তা আর হয়না , কারণ বর এখন চলে যায় কমিউনিটি সেন্টারে , বরকে দেখতে শুধু ছুটে যায় কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত কনের ও বরের আত্বীয় স্বজনরা, আগে কনেকে বধু সাজাত কনের ভাবী, বান্ধবী, বড় বোনরা কিন্তু এখন বধু সাজানো হয় বিউটি পার্লারে, গ্রামে যত্রে তত্রে গড়ে উঠেছে নব বধুকে সাজাতে বিউটি র্পালার, আগে কনেকে সাজিয়ে একটি ঘরে লুকিযে রাখা হত , বর ছাড়া সাজানো নববধুকে কাউকে দেখানো হত না, কিন্তু এখন বর কমিউনিটি সেন্টারে পৌছানোর অনেক আগে কনেকে বধু সাজিযে কমিউনিটি সেন্টারের ষ্টেজে ঘোমটা খুলে বসিয়ে রাখা হয় যাতে উপস্থিত সবাই সহজে দেখতে পারে নব বধুকে।[ আগে নব বধুর থাকতো লম্বা ঘোমটা এখনে আর লম্বা ঘোমটা নেই, তখন নব বধুকে যদি কেউ দেখতে চায়তো তখন পেচন হতে অন্য জন নববধুর ঘোমটাকে টেনে মুখ দেখাতো হত আর তখন নববধু চোখ বন্ধ করে রাখতো, কিন্তু এখন অন্যকাউকে পেচন হতে নববধুর ঘোমটা খুলেদিতে হয়না, তখন নববধুকে দেখতে হলে টাকা দিতে হত, এখন সেই টাকা দিয়ে বধুদেখার সিষ্টাম নেই, নতুন জামাকে যখন সর্বপ্রথম নববধুর মুখ দেখাতে নিয়ে যাওয়া হত একটি বন্ধ রুমে, তখন ছোট ছোট বাচ্চার কত চেষ্টা করতো একটু ভিতরে গিযে নতুন জামাই বউয়ের মালাবদল ও আংটি পরানো ও মুখ দেখানোর দৃশ্য দেখতে। এখন আর সেই সব বন্ধ ঘরের কোণায় আর করা হয়না, নতুন জামাই বউয়ের মালা বদল, আংটি পরানো , মুখ দেখানো ইত্যাদি করা হয় ওপেন ও খোলা ষ্টেজে সব অথিতির সামনে , একটি সময় ছিল নব বধুর মুখ দেখা খুবই দুষ্কর ছিল কিন্তু এখন নব বধুর মুখ খুবই সহজে দেখা যায়, সবাই ইচ্ছা মত মোবাইলে ছবি তুলে নিয়ে যায়, শুধু তায় নয় এখন খুবই সহজ লভ্য হয়ে গেছে উচ্চ ক্ষমতা সম্মন্ন ভিডিও ক্যামরা , ফলে নব বধুর ও নতুন জামায়ের ছবি ও ভিডিও সহজে নিতে পারে যে কোন মানুষ। তখন একটি সময় ছিল শুধু নিজ আপন আত্বীয় স্বাজনের নতুন বউকে মানুষ দেখতে পাতো, পাড়া পড়ষী ও সারাগ্রামের মানুষ নববধুকে দেখার কোন সুযোগ ছিলনা, কিন্তু এখন নব বধুকে বিবাহ অনুষ্টান শুরু হবার আগে কমিউনিটি সেন্টারে সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয় যার ফলে পাড়া পড়ষী, গ্রামের সব মানুষ সহজে নব বধুকে দেখতে পায়, এখন্ আর নব বধুর মুখ দেখতে কষ্ট করে উকি ঝুকি মারতে হয়না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।